মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩
Online Edition

মাল্টা চাষে ভাগ্য বদল কলেজ ছাত্র সুজনের

 

এম এম সামছুল ইসলাম, জুড়ী (মৌলভীবাজার): মাল্টা চাষ করে নিজের ভাগ্য বদলানোর স্বপ্ন দেখছেন মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের বাছিরপুর গ্রামের তরুন উদ্যোক্তা মশিউর রহমান সুজন। সুজন প্রথমে বাড়ীর পাশে পরীক্ষামূলক ভাবে কয়েকটি মাল্টার চারা রোপণ করেন। সে সময় গাছে হাতেগুনে কয়েকটি ফল আসলেও থেমে থাকেনি তাঁর বাগান করার স্বপ্ন। একদিকে পড়ালেখার চাপ অন্যদিকে মাল্টা চাষের স্বপ্ন, দুটোই এগিয়ে চলে সমানতালে। সুজন সিলেট এম সি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী।  শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের জুন মাসে তাঁর বহুল কাঙ্খিত চেষ্টায় তৈরি ছোট্ট এক মাল্টা বাগান। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি তাঁর বাড়ীর পাশে ১০ শতাংশ জায়গায় ভারি-১ জাতের প্রায় ৪০টি মাল্টার চারা রোপণ করেন। অন্যের সাহায্য না নিয়ে প্রথম থেকে নিজেই চারাগুলো পরিচর্চা করতে থাকেন, ধীরে ধীরে গাছগুলো বড় হতে থাকে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ৬ মাস আগে লাগানো গাছগুলো সুজনের পরিশ্রম আর কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকিতে অল্প দিনেই চারাগুলোতে এসেছে ফলন এবং পরিণত হয়েছে সুন্দর এক মাল্টা বাগানে। যা মশিউর রহমান সুজন এর ভাগ্য বদলানোর আরেকটি দিক।  মাল্টা চাষি মশিউর রহমান সুজন বলেন, মাল্টা চাষ এ অঞ্চলে নতুন , তারপরও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেকেই এ ফলের চাষকরে সাফল্য পেয়েছেন। আর সেই অনুপ্রেরণা থেকেই আমার মাল্টা চাষের দিকে আগ্রহ হওয়া।  তিনি আরও বলেন, মাল্টা চাষ অত্যান্ত লাভজনক ব্যবসা বলতে পারেন। কম পরিশ্রমে অল্প পুজিতে বাগান করা যায়। এই মাল্টা বাগানের সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমি আগামীতে এখানে দার্জিলিং মেন্ডারিন চায়না জাতের কমলা চাষ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। জুড়ী উপজেলা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে। এ অঞ্চলের মাটিতে মাল্টা চাষের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। চাষিদের আমরা পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ