শ্রমিকদের শ্রম আইনের আওতায় আনার দাবি
স্টাফ রিপোর্টার: প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক নির্বিশেষে সব শ্রমিকদের শ্রম আইনের আওতায় আনাসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফোরামের আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডের নয় বছর উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব বুলবুল, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ প্রমুখ।
সংগঠনটির অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে, ক্ষতিপূরণের জাতীয় মানদণ্ড তৈরি করতে হবে; আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে; পেশাগত রোগে আক্রান্ত ও দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট স্থাপন করতে হবে; পেশাগত রোগে আক্রান্ত ও দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে হবে; প্রতিটি শিল্প কারখানায় ‘শ্রমিক কল্যাণ তহবিল’ গঠন ও কার্যকর করতে হবে এবং শ্রম সংক্রান্ত আইন ও বিধি-বিধান লঙ্ঘনকারীর উপযুক্ত শাস্তির বিধান করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের নয় বছর আজ। সেদিনের আগুন কেড়ে নিয়েছিল ১১৩ শ্রমিকের প্রাণ। তাজরীনের পর রানা প্লাজা ভবন ধসে ১ হাজার ১৩৪ জনের প্রাণহানি। কে.টি. এস, স্পেকট্রাম, তাজরীন, হামীম, স্মার্ট, রানা প্লাজা, আসওয়াদ, টাম্পাকো, হাসেম ফুডসসহ সব প্রতিষ্ঠানেই শ্রমিকের মৃত্যুর মিছিল চলছেই। গত ১০ বছরে গার্মেন্টস শিল্পে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন হাজারেরও বেশি শ্রমিক। তারা আরও বলেন, তাজরীন ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে এ শিল্পের কর্ম পরিবেশ ও শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ২০১৩ সালে ন্যাশনাল ট্রাইপার্টাইট প্ল্যান অব অ্যাকশন (এনটিপিত্র) গ্রহণ। পোশাক শিল্প কারখানা নিরীক্ষণ, যার মধ্যে ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ ১ হাজার ৫৪৯টি, অ্যাকর্ড ১ হাজার ৫০৫টি এবং এলায়েন্স ৮৯০টি কারখানার নিরীক্ষণ সম্পন্ন করে।
কারেকশন অ্যাকশন প্ল্যান (সিএপি) বাস্তবায়নের জন্য সংস্কার সমন্বয় সেল (আরসিসি) গঠন : কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ৫৫৭ জন পরিদর্শক সহ মোট জনবল ১৯৩ এ উন্নীতকরণ এবং ২৩টি জেলায় কার্যালয় স্থাপন; শ্রমিকদের অভিযোগ গ্রহণে টোল ফ্রি হটলাইন নাম্বার ১৬৩৫৭ চালুকরণ : পোশাক শিল্প কারখানা পরিদর্শন, অভিযোগ ব্যবস্থাপনা, সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে শ্রম পরিদর্শন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ্লিকেশন (লিমা) চালুকরণ।