রবিবার ০২ এপ্রিল ২০২৩
Online Edition

গ্রীষ্মেও দেশে জন্মাবে পেঁয়াজ

স্টাফ রিপোর্টার : পেঁয়াজের উন্নত জাত উৎপাদনে জোর দেবে সরকার। আর এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ড সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, তাদের সহায়তা পেলে গ্রীষ্মকালেও বাংলাদেশে পেঁয়াজ উৎপাদন করা যাবে।  গতকাল বুধবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সফরের অর্জন ও কৃষির সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পেঁয়াজ আমাদের দেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মসলা। সারা পৃথিবীতে পেঁয়াজের ব্যবহার রয়েছে। তবে আমাদের দেশে এপ্রিল, মে মাসে পেঁয়াজের উৎপাদন হয়ে থাকে। এই সময়ে দাম অনেক কমে যায়। পেঁয়াজ একটি পচনশীল পণ্য। বেশি দিন রাখা যায় না। ফলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে ঘাটতি দেখা দেয়। এ সময় আমাদের পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। আমরা যোগাযোগের সুবিধার জন্য ভারত থেকে আমদানি করি। সম্প্রতি অস্বাভাবিকভাবে শিপমেন্ট খরচ বেড়েছে। ফলে আমরা নেদারল্যান্ড ও ইউরোপ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারিনি। বিষয়টি স্বাভাবিক হলে তারা প্রতিযোগিতামূলক দামেই পেঁয়াজ দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে পেঁয়াজ সংরক্ষণেও সমস্যা রয়েছে। সংরক্ষণের অভাবে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য পেঁয়াজের উন্নত জাত উৎপাদন ও সংরক্ষণকাল বৃদ্ধির প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে নেদারল্যান্ডস।’ পাশাপাশি আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণেও দেশটি সহায়তা করবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নেদারল্যান্ডস ও ইউরোপের যে পেঁয়াজের জাত রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি জাতের পেঁয়াজ প্রাকৃতিকভাবে ৪ থেকে ৫ মাস রাখা যায়। আমরা পেঁয়াজের সেই জাতটি আনব। পেঁয়াজে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাব। ১২ মাস পেঁয়াজ হয় এমন জাত এনেছি। গত বছর আমরা বীজ এনেছি। যদিও একটু দেরি হয়েছে। আশা করছি গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশে পেঁয়াজ হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। আগে আমাদের ঘাটতি ছিল। এখন আমাদের সব ফসলেই নতুন প্রযুক্তি এসেছে, নতুন জাত এসেছে, উৎপাদন বেড়েছে। ফলে আমরা ১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারছি। আমরা উৎপাদন বৃদ্ধি করছি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এখন চ্যালেঞ্জ একটাই, সেটা হলো- ম্যানুফেকচারিং খাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে মানুষের আয় বাড়ানো। বিদ্যুৎ, গ্যাস, রাস্তা, বন্দর ও পদ্মাসেতু হয়েছে- এগুলো ব্যবহার করে আমাদের ম্যানুফ্যাক্চারিং খাতে শিল্প-কারখানা স্থাপন করতে হবে। তাহলে আমাদের উৎপাদন বাড়বে, যা বিদেশে রফতানি করতে পারব। এগুলো করতে পারলেই দেশ উন্নত হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ