মিরপুরে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার: বেতন বাড়ানোসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে শ্রমিকরা গোল চত্বরে জড়ো হয়ে এ বিক্ষাভ করে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে শ্রমিকরা ধীরে ধীরে রাস্তা ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যায়। মিরপুর মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকালে শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে অবস্থান নেয়। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা চালায়। শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নিলে ওই এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। টানা পাঁচ ঘণ্টা চলার পর দুপুর দুইটায় শেষ হয়।
বেলা দুইটায় মিরপুর-১৩ নম্বরের মূল সড়কে সমবেত হয়ে আজকের মতো আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে আবারও আন্দোলন শুরু হবে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান তারা। এর আগে মঙ্গলবার আন্দোলন চলাকালে মালিকপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের হামলায় দুইজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং তিনজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। আহত তিন শ্রমিককে মিরপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সহকর্মীরা।
বিএমএ গার্মেন্টসের আন্দোলনকারী শ্রমিক সাদিয়া সকালে ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাড়ি ভাড়া, খাবার খরচসহ সব পণ্যের দাম বাড়তি। অথচ আমাদের বেতন ও সুবিধাদি বাড়ানো হয়নি। তাই বেতনভাতা বাড়ানোর দাবিতে তিনদিন আগে থেকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন শুরু করেছি। আমাদের দাবি, বেতন বাড়ানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের ওপর হামলার দায়ে মালিককে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া আব্দুর রহমান নামে এক শ্রমিক বলেন, হামলা চালিয়ে যেসব শ্রমিককে মেরে ফেলা হয়েছে এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। হামলাকারীদের সঠিক বিচার করতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের বেতন ও হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, সবাইকে ঈদ বোনাসের আওতাভুক্ত করা এবং বাৎসরিক ছুটির অর্থ প্রদান করতে হবে।
সকালে আন্দোলন শুরু হলে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় জানিয়ে মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। আন্দোলনে কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি। তবে আন্দোলনের কারণে মিরপুরে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।