কবিতা
নীল স্বপ্ন
কে জি মোস্তফা
আকাশে মৃত্যুর বিষ-
সামনে না জানি কী সব ঘটবে!
অদৃষ্টের খেলাঘরে
স্বপ্নহীনতার হাহাকার,
তবু পড়ে থাকা প্রাণ নিয়ে
নিত্য দিবাস্বপ্ন দেখি।
ব্যর্থতার অলিগলি পার হয়ে
চোরা কুঠুরিতে দুলে ওঠে মায়া-মোহ.
হৃদয়ের মধ্যে রোদবাটিকের খেলা-
যদি আসে সুগন্ধের নিবেদন
যদি সাহসী চাওয়ার নীলস্বপ্নে
মুহূর্তে রচিত হয় বাস্তব কিছু।
এমন আবহমান জীবন যাপনে
আবেদনহীন এমন নিয়তি
এমন স্বপ্নের ব্যবধানে
সন্ধ্যানীড়ে অন্ধকার,
সুখে ও অসুখে মোমবাতি পোড়ে।
মানব জীবন
আহসান হাবিব বুলবুল
মানব জীবন - জীবনের কক্ষপথ ঘুরে
একদিন নিঃশেষ হয়
জীবনের পথে, অন্যকে কাঁদিয়ে ;
সূর্যমুখী যেমন সূর্যের কক্ষপথ ঘুরে
নি:শেষ হয় দিন শেষে,
সৌন্দর্যটুকু বিলায়ে।
জীবনের যত দায় হিসেব-নিকেশ
চুকিয়ে ফেল বেলা শেষের আগে।
পৃথিবী চন্দ্র সূর্য গ্রহ-তারা
ঘুরছে নিজ নিজ কক্ষপথে
একটি লক্ষ্যে।
এই প্রদক্ষিণ শেষ হবে একদিন
খোদার নির্দেশে।
জীবন সেদিন ব্যর্থ হবে না
ভালোবাসার আবেশে
শুধু দুষ্টচক্রই পতিত হবে
অগ্নি গহীন গহব্বরে !!
ছড়াই সুবাস
মুহাম্মদ রেজাউল করিম
কোথায় যাবে- কোন পথে
সব পথে মৃত্যু আছে
কোথায় পালাবে বলো
মৃত্যুতো পিছনে পিছনে ঘোরে
এসো তবে ভালোবাসি আল্লাহকে
তাঁর পথেই হাঁটি
তাঁর পথে চলাই সুখ
মৃত্যু তো পিছনে পিছনে হাঁটে
আর যাবে কতদূরে
যদি সুখ চাও
তবে চলো তাঁর পথে
এছাড়া কোন উপায় নেই
এসো তবে আল্লাহকে ভয় করি
তাঁর পথেই চলি দুর্বার
মৃত্যু তো অনিবার্য পরিণতি
তবে পালাবে কোথায় বলো
এসো তবে ফুটাই গোলাপ
ছড়াই সুবাস॥
তোমায় মনে পড়ে
শাহীন সৈকত
যাদের কথা মনে করে আমি সারা দিনমান পার করে যাই
সন্ধায় ফিরে আমি দেখি, কেউ তারা আমায় মনে রাখে নাই।
হতাশা আর ব্যর্থতা নিয়ে, যখন রাত্রি নামে আমার ঘরে
নির্ঘুম চোখে পার হয় রাত আমার চোখে না পলক পরে।
মোহের পিছনে ছুটছে যারা আমিতো তাদের দলের নই
কাজহীন এই জীবনে আমি ভেজেই চলেছি পরের খই।
তোমরা যারা ধোঁকায় ফেলে আমাকে তিমিরে রাখতে চাও
অভিশাপ নয়, অনেক বেশি তোমাদের জন্যে, করুণা নাও।
এখনও আমি বেশ ভালোই আছি
তোমরা কেমন? জানি না তা,
শীত বুঝি যায় ঝরিয়ে দিয়ে গাছের সকল হলুদ পাতা।
এখানেই পাবে আগমন ধ্বনি বসন্ত লাগুক সবার প্রাণে
ফুলে ফলে হেসে উঠবে সবাই
নতুন কোন প্রেমের টানে।
মোহান্ধ
জাফর পাঠান
অর্থ- বিত্ত- বৈভব, আর বাহুবল
এমনভাবে ওদের করেছে অন্ধ,
ওরা চোখে দেখে, সব কর্মই করে
শুধু- বিবেকের কপাট রাখে বন্ধ।
যায় দিন, যায় মাস, যায় বছর
ভাবে-ওরা সত্য, বাকিরা মিথ্যা সব,
কেন কাঁদে মা-কাঁদে বাবা-কাঁদে শিশু
ভাবে না ওসব, ধরেছে ওরা ভব।
কেবা দেখে- মাটি ফেলে দীর্ঘ নিঃশ্বাস
বুকে বাড়ছে- বহমান রক্তনদী,
বাতাসে ভাসে বিন্দু বিন্দু অশ্রু বিন্দু
কাঁদে লুকিয়ে, কেউ দেখে ফেলে যদি।
আকাশে মেঘ, গুমট দুঃখ পাহাড়
দেখে- মানবতার অসহায় ক্ষয়,
দিক-দিগন্তে- শয়তান ঢামাঢোল
শুধু অমানুষদের- প্লাবনী জয়।
দিকে দিকে শুধুই ভয় আর ভয়
মনুষ্যত্বের ভয়াবহ অবক্ষয়,
এতেই খুশি, বাজায় বিষের বাঁশি
ওরা থাকবে নাকি! অমর-অক্ষয়!
পরিচয়
মোশাররফ হোসেন খান
ঝরাপাতার খবর রাখে না কেউ
তা না রাখুক।
আমি কোনো আগন্তুক নই
নই কোনো বেদুঈন যাযাবর।
আমাকে চেনে প্রতিটি বৃক্ষ ও বিহঙ্গ
চেনে প্রতিটি নদ-নদী আর তার স্রোতধারা
আমাকে চেনে সবুজ শস্যক্ষেত
ফুল ও ফুলের পাপড়ি
চেনে প্রতিটি পথ-ঘাট, সমুদ্র ঢেউ
পশুপাখি মৌমাছি কীটাণুকীট
আমাকে চেনে-
ধুলোঝড় বাউড়ি বাতাস প্রতিটি ঋতু।
আমি কোনো আগন্তুক নই
নই কোনো যাযাবর বেদুঈন।
আমার পায়ের শব্দে এখনো জেগে ওঠে
দুস্তর প্রান্তর
জেগে ওঠে ঘুমন্ত শহর-বন্দর
আমি কোনো আগন্তুক নই
নই কোনো বেদুঈন যাযাবর।
আমার জন্ম এই পলল মৃত্তিকায়
যাকে জন্মভূমি কয়
কেউ না জানুক তুমি জানো
আমার পরিচয়।
এবনে গোলাম সামাদ
সায়ীদ আবুবকর
সেদিন হঠাৎ থমকে দাঁড়াই পথে-
কে এই লোকটা, উস্কোখুস্কো চুল,
কথায় কথায় জীবনের মতামতে
যুক্তির বাণে বাঁধায় হুলস্থূল?
চোখ দুটো তাঁর অগ্নির মতো জ¦লে,
লোকটা বুঝি বা জ্যান্ত ভিসুভিয়াস
ঠোঁট দুটো তাঁর রূপকথা শুধু বলে
কোন এথেন্সে বলো তার বসবাস?
আমি তাঁকে দেখে হয়ে যাই হয়রান
হয়ে থাকে যদি লোকটা সক্রেটিস,
তাহলে তো তাঁকে করতেই হবে পান
অবহেলা আর মহাউপেক্ষার বিষ!
বেহেশতি বাতাস
হারুন আল রাশিদ
আকাশের অসীমতায় পাখা মেলে দাও
প্রেমের পাখা
হৃদয়ে ধারণ করো সাগরের গভীরতা
প্রেমের সাগর
জমা দাও প্রভুর কাছে জীবন, মৃত্যু, বাসনা
ভারমুক্ত হও
ভালোবাসায় ভরা মায়াবি উঠোন
পরিত্যাগ করো
নিমগ্ন হও আরাধনায়
দু’চোখ কি দেখতে পায় না
কিয়ামতি আলামত?
সামান্য ভাইরাসের দাম্ভিকতায়
আতঙ্কিত পৃথিবীর মুখ?
তওবার দরজা খোলা আছে
শুদ্ধ হও
নির্মল করো চেতনাকে
জনে জনে ছড়িয়ে দাও ঈমানী ফসল
তবেই মুক্তি পাবে গজবের ছোবল থেকে
পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে বেহেশতি বাতাস।
এখন সান্ধ্যকাল
সিদ্দিক আবু বকর
নরম সকাল
গনগনে দুপুর
কিংবা গোধূলি বিকেল বলে কোন ক্ষণ নেই
প্রহর বিভাজন বলে কোন ধারাপাত নেই
জুয়েলের বিরামহীন টিকটিক, সেও স্থবির অদ্ভুত নিয়মের গ্যাঁড়াকলে
সেকেন্ড মিনিট ঘন্টার কাটায় অলিখিত ধর্ম এখন।
পেন্ডুলামের ঘাড়ে বসা পাষুটে কাল
দিনের বিন্যাসে এখন একটাই ক্ষণ
বুকের উপর চেপে বসা উদ্ভট সান্ধ্যকাল।
চাঁদের আলোই এখন সূর্যের প্রতিবিম্ব
আলোর বিচ্ছুরণ আজ জৌলুসহীন একঘেয়ে
বড় বেশি মেড়মেড়ে
সকাল দুপুর বিকেলের দেয়াল এখন, সন্ধ্যায় পরিপাট!
সূর্যকে ছাপিয়ে চাঁদের শাসন
যাপিত জীবন জুড়ে গন্ধ বর্ণহীন অনির্দিষ্ট সান্ধ্যকাল।
মেঘ ও রোদ্দুর
সানজীদ নিশান চৌধুরী
জানে মেঘ কোথায় রোদ্দুর
ভেজে বৃষ্টিতে ঝুমঝুমপুর,
সেই খানে জুড়ে শালিখের জুটি
এমনও দিনে কেউ চায় ছুটি।
ওই দূরে চুপচাপ মেহেগনী বন
চারপাশ ফাঁকা-বিষন্ন নির্জন,
মনে হয় ওই খানে যাই
আজ যদি তার দেখা পাই।
হারিয়ে কোথায় গেছে সব
মনে মনে মেঘের কলরব,
তবুও এই বরষার মাসে
যদি সে ফিরে আসে।
এমন মেঘে এমন রোদ্দুরে
কে যায় কখন ঝুমঝুমপুরে
পাহাড় ও বনে মিতালী ও খুনসুটি
এমনও দিনে চাই একবার ছুটি।
একদিন আমি প্রজাপতি হবো
শাহিদ উল ইসলাম
এই যে আমি শূককীট অবহেলা অনাদরে
আছি মিশে তোমাদের সংসারে
তাই বলে ভেবো নাকো কোন একদিন এই আমি
মূককীট হবো না
এবং প্রজাপতি হয়ে মেলবো না ডানা ঐ
অনাদির আকাশে।
বয়সী গোলাপের পাপড়ির মতো
যেদিন যাবো ঝরে পৃথিবীর বুক থেকে
কবরে শায়িত মূককীট আমি
আবার সেজদায় নত হবো; কারণ
প্রজাপতি জীবনের আকাক্সক্ষায়!
একদিন আমি প্রজাপতি হবো
কেননা আমার জন্য অপেক্ষায়
সত্তুর রঙ্গিন ফুল বুকে প্রেম
পুষে বসে আছে আমারই পথ চেয়ে,
আছে সুপেয় শীতল জলস্রোত
রতœখচিত এক অট্টালিকা
অতি উত্তম সিগারেট ও সরাব
একটি গ্রন্থাগার আর যা যা চাই
কী নেই সেখানে?
একদিন আমি প্রজাপতি হবো
এবং সেজদায় নত হবো বারবার
মাতালের মতো; পাগলের মতো।
এই যে আমি শূককীট অবহেলা অনাদরে
আছি মিশে তোমাদের সংসারে
তাই বলে ভেবো নাকো কোন একদিন এই আমি
মূককীট হবো না
এবং প্রজাপতি হয়ে মেলবো না ডানা ঐ
অনাদীর আকাশে।
কুরবানি
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ
যারা ভাবো কুরবানিটা উৎসব বই অন্যকিছু নয়
তাদের ষোলআনা জীবনের ষোলআনা-ই ক্ষয়।
এই কুরবানির রয়েছে যে গৌরবময় এক গাঁথা
তাকওয়ার পরাকাষ্ঠায় নবী ইব্রাহিম হলেন মাথা।
আল্লাহর রাহে নিবেদিত তাঁর প্রিয়পুত্র ইসমাইল
ত্যাগের এই মহিমায় সুখবর দিলেন জিবরাইল।
খুশি হলো গ্রহ-তারা, ফেরেশতারা এবং আকাশ
সেই খুশিতে খোদা কুরবানির নিয়ম করেন প্রকাশ।
তবুও কিছু কিছু খারাপ লোকেতে পশু হত্যা কয়
তারা সারাবছর মাংস খায়, সেটা কি হত্যা নয়?
জীবন, মরণ সবকিছু আল্লাহর সৃষ্টি, তাঁরই দান
তাঁর তরে যে জীবন দিবে, সে-ই হবেন মহীয়ান।
আমরা কেবল শিক্ষা নেব, নেব দীক্ষা তাকওয়ার
তবেই মোদের করবেন ক্ষমা, মহান পরওয়ার।
আজ ঘরে ঘরে বিলিয়ে দেবো, জান্নাতি সেই সুখ
তবেই অন্ধসমাজ থেকে পালিয়ে যাবে ভাই দুঃখ।।
হজ্বের ঈদ
আবুল খায়ের নাঈমুদ্দীন
সু স্বাগতম হজ্বের ঈদ।
মুসলিমের জাতির সবচেয়ে বড় তামান্না,
জীবনে একবার হলেও হজ্ব করা,
সকল ঈদের চেয়ে বড় ঈদ আনন্দ।
আরাফাতে নিরন্ন জনতার মতো রাত্রি যাপন
ক্ষুধিতের মতো আহাজারী ভরা প্রার্থনা
হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার কুরবানি।
সৌভাগ্যশালীদের কাতারে নিজের নাম
সে এক মহান বার্তার ঈদ।
কাবার চত্বরে হযরত ইব্রাহীম ইসমাঈলের স্মৃতি,
মা হাজারের সাফা মারওয়ার দৌড়,
সকল নবীর তাওয়াফের পরশ,
আখেরী নবী মুহম্মদ সঃ এর বিদায় হজ্বের বাণী,
আবেগাপ্লুত লাব্বাইক ধ্বনিই আসল ঈদ।
মুসলিম জাহানের লাখো জনতার নিবিড় ক্রন্দন,
মৃত্যুর পোশাকে সজ্জিত হয়ে নশ্বর পৃথিবী ভুলে
মহান রবের একান্ত সান্নিধ্যে যাওয়াই
মহান ঈদ- হজ্বের ঈদ।
ভাগ্যলিপি
গোলাম রববানী
যে জলে কচুরিপানার জন্ম সে জলই ফাঁক
যেই বৃক্ষে শুভ্র গোলাপ সেই বৃক্ষেই ঝঁঝাট।
যে হাওয়া তপ্ত ধরে সেই হাওয়াতেই হিম
যেই মুখে মুক্ত ঝরে সেই মুখেতেই ইয়াস।
যে আকাশে আনন্দধারা সেই আকাশেই অসুখ
যেই মাটিতে গড়া দেহ সেই মাটিতেই নিঃশেষ।
শেষযজ্ঞে পড়ে রবে ছাইপাঁশ তবুও দিয়ে যায় বাঁশ
সম্পদের পাহাড় গড়ো দেখে লাগে কবির অট্টহাস।
তখন তুমি নদী ছিলে না
মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন
এই মাটি ছুঁতেই তোমার মুখ ভেসে উঠলো চোখে
শহর এক দেশের মানচিত্র পৃথিবীকে আঁকতে
গোলাপ আর গোধূলি রঙিন দিয়েছিলে তুমি
মানচিত্রে কালের লালা সূর্যের মিছিল, এই আমাদের।
কেমন হিসাব দেবো আমি গোলাপের বিচ্ছিন্ন
কতো সবুজ হলে রক্তের দুঃখ সে ভোলা যায়?
কথা ছিলো কাঁদতে দেবো না তোমায় কোনোদিন,
তুমি শুধু চেয়েছিলে ওয়াদার মানচিত্র
কান্নার স্বাক্ষরে আপত্তি ছিলোনা এইটুকু
আমি তোমার দু চোখে চোখ বিছালাম অপলক।
তখন তুমি নদী ছিলে না, অবিচল পাহাড়।
সুখ দুঃখ
হাসান ইমতিয়াজ
কেউ কি থাকে সব সময়ই সুখী?
কেউ পোষে না দুঃখ সাদাসিধে?
চলতে গেলে জীবন পথে রোজ-ই
দুঃখগুলো কাঁটার মতো বিঁধে।
তাই বলে কি ব্যথায় হবে কাতর?
চলবে না পা ভঙ্গুর পথের দিকে?
হাজার ব্যথায় লক্ষ্য যাদের অটুট
তারাই তো সব জীবন পথে টিকে।
এই যে যত পাহাড় দেখো তুমি
সবার বুকেই দুঃখ বালুকণা,
নদীও তো ভাঙন থেকেই গড়া
সয় তবু সে জলোচ্ছ্বাসের ফণা !
কুরবানি করো
নাসরীন জামান
কুরবানি করো কুরবানি করো
হিংসায় ভরা মন
কুরবানি করো এবার তোমার
পাপময় আয়োজন।
কুরবানি করো অসৎ যত না
চিন্তা চেতনা আজ
কুরবানি করো পুঁজিবাদী হয়ে
পরকে ঠকানো কাজ।
কুরবানি করো দানবীয় রূপি
হিংস্রতা আর ক্ষোভ
কুরবানি করো জ্বালাও-পোড়াও
ক্ষমতা দখলি লোভ।
কুরবানি করো মানবতাহীন
জোর দখলটা আর
কুরবানি করো জুলুম শোষণ
সুদ ঘুষ অনাচার।
বিধির বিধানে কুরবানি শুধু
অবলা পশুটা নয়
কুরবানি করো মনের পশুটা
বিধাতাকে করে ভয়।
মিউজিয়াম
মোহাম্মদ ইসমাইল
কতনা জীবন সাদৃশ্যের সেই রোমন্থন স্মৃতির নয়নাভিরাম
এই অন্তর সত্তার ছবি মানে এ-ই মিউজিয়াম!
তার চিত্র প্রস্ফুটিত প্রতিটা জীবন্ত ইতিহাস আর অসাধারণ কিছু ঐতিহ্যে
কারুকার্যময় এক অমোঘ চিত্রশালা হয়ে যেন ফুটে ওঠে; এই আমাদেরি মাঝে!
পৃথিবীর ক্রমবিবর্তমান মানুষের প্রতিটা রক্ত-মাংসময় শরীরে
মিউজিয়ামের প্রতিটা প্রতিচ্ছবি। তাইতো বুঝি এতো সে রূপকথা হয়েই খেলা করে?