প্রবাসীদের জন্য কাল শনিবার থেকে ৫ দেশে চালু হতে পারে বিশেষ ফ্লাইট
স্টাফ রিপোর্টার : কঠোর লকডাউনে প্রবাসী কর্মীদের বিষয়টি মাথায় রেখে কাল শনিবার (১৭ এপ্রিল) থেকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টরা বৈঠকে মিলিত হন। এতে প্রাথমিকভাবে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে পাঁচটি দেশে ১০০ থেকে ১২০টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
লকডাউনকালীন বিদেশগামী কর্মীদের গন্তব্যদেশে যাওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্মকর্তা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমানের এমডিসহ পদস্থ কর্মকর্তারা।
জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, কাল শনিবার থেকে পাঁচ দেশে বিশেষ ফ্লাইট চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এসব দেশে ১০০ থেকে ১২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করবো। গতকাল রাতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় সব কিছু সুনির্দিষ্ট করা হয়।
বুধবার অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রবাসীকল্যাণ সচিব বলেন, “বিদেশগামী যাত্রীদের করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমানবন্দরে আনার দায়িত্ব রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহকে নিতে হবে।”
শর্তসাপেক্ষে প্রবাসীকর্মীদের দেশে ফিরতে দেওয়ার সিদ্ধান্তও সভায় নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মুনিরুছ সালেহীন বলেন, “প্রবাসী কর্মীগণ কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনের ছাড়পত্র গ্রহণ করে এবং দেশে প্রযোজ্য কোয়ারেন্টিন শর্ত মেনে কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে আসতে পারবেন।”
বুধবার থেকে শুরু সর্বাত্মক লকডাউনের সময়ে বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিল বেবিচক। ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল লকডাউনের মধ্যে পড়া দুই ফ্লাইটের সময় এগিয়ে আনা হয়েছিল। সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন বিদেশে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা কয়েক হাজার প্রবাসী।
আব্দুল ওয়াদুদ সালেহ নামক এক কাতার প্রবাসী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এক বছর দুই মাস বাড়িতে বেকার বসে আছেন তিনি। ঋণ করে এখন একটা যাওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন। ”আড়াই লাখ টাকা খরচ করে আবার কাতার যাওয়ার জন্য সব ঠিক করলাম। বাট আবার লকডাউন শুরু। আমি বুঝিনা যেতে কিসের প্রবলেম? যারা আসতেছে তাদের হোটেল কোয়ারেন্টিন করাক।”