কাউখালীতে পানের দামে খুশি পানচাষীরা
রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা : অনুকূল আবহাওয়া ও শীতের তেমন প্রকোপ না থাকায় এবার পিরোজপুরের কাউখালীতে পানের আবাদ ভালো হয়েছে। গত বছর শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে পানের ব্যাপক ক্ষতি হলেও এবার ফলন ও দাম ভালো পেয়ে খুশি পান চাষিরা।
পান ক্রেতা তারিকুল ইসলাম বলেন, পান ও সুপারির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। দিন দিন পানের দাম বাড়ায় অনেকে এরই মধ্যে পান খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে।
এদিকে, এবার পানের ভালো দাম পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে যেসব চাষিদের পানের বাম্পার ফলন হয়েছে তারা এখন বেজায় খুশি। কাউখালীর বেশ কয়েকজন চাষি জানান, চলতি মৌসুমে যাদের ফলন ভালো হয়েছে তারা দামও তেমন পাচ্ছেন।
এদিকে, পানের বরজ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। সারা বছর পানের বরজে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এখানকার কয়েক শতাধিক দিনমজুর পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাউখালীসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে পানের বাজার এখন বেশ চড়া। হাটবাজার ও পাইকারি মোকামগুলোতে সর্বকালের রেকর্ড মূল্যে বিক্রি হচ্ছে পান।
মোকামের একাধিক পাইকারি পান ব্যবসায়ী জানান, ভালো মানের পান এক জোড়া (৯৬টি) বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা। যা আগে ছিল ২০০ টাকা। মাঝারি মানের প্রতি জোড়া পান বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, যা আগে ছিল ১২০ টাকা ও ছোট আকারের পানের প্রতি জোড়া বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। যা আগে ছিল ৫০ টাকা করে। এখান থেকে সপ্তাহে দু’দিন সোম ও শুক্রবার লাখ লাখ টাকার পান দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হয়।
পানের হাট-বাজার গিয়ে দেখা যায়, বেচা-কেনা করতে কয়েক শতাধিক চাষি পান নিয়ে বাজারে বসেন। আর ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা চাষিদের থেকে পান কিনছেন। এসব পান ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যান।
কাউখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী আজিম শরীফ জানান, এই উপজেলায় ১০৫ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হচ্ছে। উপজেলায় ৬৫৫টির মতো পানের বরজ রয়েছে। উপজেলার পান চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।