সংবাদ আদান প্রদানে ইসলামের নীতিমালা

-ড. মো: ছামিউল হক ফারুকী
ভাবের আদান-প্রদানের মতই সংবাদ আদান-প্রদান মানুষের স্বাভাবিক প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। পারষ্পরিক প্রয়োজনেই মানুষ সংবাদ আদান-প্রদান করে থাকে। মনের ভাব যেমন ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, তেমনি সংবাদ আদান-প্রদানের জন্যও মাধ্যম একান্ত প্রয়োজন। সংবাদ সঠিক কিনা, তা নির্ভর করে সংবাদদাতা বা সংবাদ মাধ্যমের উপর। বাহক বা মাধ্যম নির্ভরশীল ও বিশ্বস্ত হলে সংবাদটি সঠিক হয়, অন্যথায় সংবাদটি নির্ভরশীল নাও হতে পারে। যে সংবাদ নির্ভরশীল নয় অথবা যে সংবাদ ভিত্তিহীন তা অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। এ ধরনের সংবাদ দ্বারা মানুষ বিভ্রান্ত হয়। এমনকি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের কারণে অনেক সময় সমাজে বিপর্যয় ও বিশৃংখলা দেখা দেয়। সেজন্য সংবাদ আদান-প্রদানের মাধ্যম বিশ্বস্ত ও নির্ভরশীল হওয়া একান্তই প্রয়োজন।
কিন্তু বর্তমানে অনেক সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিক সত্য, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা হ্রাস পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমে অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ হতে দেখা যায়। আবার অনেক সময় কারো প্রতি বিদ্বেষ বা আক্রোশবশতঃ অপপ্রচারও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ফলে ‘হলুদ সাংবাদিকতা’ নামে একটি পরিভাষা প্রচলিত হয়েছে। সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমের সাথে ‘হলুদ’ বিশেষণ যুক্ত হওয়া আদৌ সম্মানজনক নয়। মিথ্যা সংবাদ, গুজব, অপপ্রচার প্রভৃতি অতীতে যেমন অনেক বিপর্যয়ের জন্ম দিয়েছে, তেমনি বর্তমানেও তা নানাবিধ অঘটনের জন্ম দিচ্ছে। এ জন্য সংবাদ মাধ্যমে সত্য ও ন্যায় কথা বলা ও প্রকাশ করা বাঞ্ছনীয়।
ইসলাম সমাজের সর্বক্ষেত্রে সার্বিক সংস্কার সাধনের মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন সাধন করেছে। অন্যান্য ক্ষেত্রের মত সংবাদ প্রদান, প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রেও আমূল সংস্কার সাধন করেছে। এ ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশনাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নে সেগুলো প্রদত্ত হলো,
১. সংবাদ হতে হবে সত্য, সঠিক, নিরপেক্ষ ও ন্যায়ভিত্তিক। সংবাদকে তার স্বরূপে প্রকাশ করতে হবে। সংবাদ প্রদানের ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূলকে যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা প্রনিধানযোগ্য। তিনি বলেন,
“আর (হে নাবী) তাদের নিকট আদমের দুই ছেলের সংবাদ সঠিকভাবে বিবৃত করো।” (৫, সূরা আল্ মায়িদা : ২৭)
আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদেরকেও সদা সত্য কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সুতরাং তারা যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং সঠিক কথা বলে।”(৪, সূরা আন নিসা : ৯)
তিনি আরো বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল।’ (৩৩, সূরা আল আহযাব : ৭০)
অনুরাগ বা বিরাগ, লোভ বা ভীতি অথবা স্বজনপ্রীতি কোনো কিছুই যেন সত্য ও ন্যায় কথা বলা ও প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখতে না পারে সে ব্যপারে সদা সতর্ক থাকতে হবে। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
‘আর যখন তোমরা কথা বলবে, তখন ন্যায় কথা বলবে, যদিও তা নিকটাত্মীয়ের ব্যাপারে হোক।’(৬,সূরা আল্আন‘আম: ১৫২)
এ আয়াতগুলোতে আল্লাহ মানুষকে সতর্ক করেছেন, যাতে তারা আল্লাহকে ভয় করে এবং সদা-সর্বদা সত্য, ন্যায় ও সঠিক কথা বলে এবং সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখে। রাসূলুল্লাহ (সা) এ প্রসঙ্গে বলেন,
‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে অথবা চুপ থাকে।’(বুখারী, কিতাবুল আদাব, হাদীছ নং : ৬০১৮)
সর্বাবস্থায় হক ও ন্যায় কথা বলা প্রতিটি মুসলিমের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এমনকি ন্যায় ও হক কথা বলার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হলেও তা থেকে বিরত থাকা যাবে না। মানুষের ভয়ে হক কথা বলা থেকে বিরত থাকতে আল্লাহর রাসূল (সা) নিষেধ করেছেন।
আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘মানুষের ভয় যেন কোন ব্যক্তিকে সত্য কথা বলা থেকে বিরত না রাখে, যখন সে তা (সত্যকে) দেখবে অথবা তার সাক্ষ্য দেবে।’
এ ক্ষেত্রে কোনো কিছুই যেন সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সত্য সংবাদকে আড়াল করা হয় দু’টি কারণে :
ক. সংবাদটি যদি নিজের বা আত্মীয়ের বিরুদ্ধে যায়। সে ক্ষেত্রে সত্যকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্ট করা হয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “ হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর জন্য ন্যায়ের সাক্ষী হয়ে দাঁড়াও, তা তোমাদের অথবা তোমাদের পিতা-মাতা এবং আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে হলেও।” (৪, সূরা আন্নিসা : ১৩৫)
খ. অন্যের প্রতি বিদ্বেষ বা শত্রুতা। সে ক্ষেত্রে সত্যকে বিকৃত করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের অপচেষ্টা করা হয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ হলো,
“হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর জন্য সত্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়াও। আর এক্ষেত্রে কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদেরকে ন্যায় বলা থেকে বিরত না রাখে। ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ আচরণ করো, এটিই তাক্ওয়ার অধিক নিকটতর। আর আল্লাহকে ভয় করো, নিশ্চয় আল্লাহ তোমরা যা করো সে সম্পর্কে পূর্ণ অবহিত।” (৫, সূরা আল্ মায়িদা : ৮)
২. সংবাদ প্রকাশের পূর্বে সংবাদটি সঠিক কিনা, তা যাঁচাই-বাছাই করতে হবে। এ জন্য সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারে যারা কাজ করবেন তাদেরকে নির্ভুল ও ভুল এবং নির্ভরযোগ্য ও অনির্ভরযোগ্য বর্ণনার মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। বর্ণনার সূত্র নির্ভুল কিনা অথবা বর্ণনাকারীগণ নির্ভরশীল ও নির্দোষ কিনা সেটি পর্যালোচনা করতে হবে। মহান আল্লাহ তাআলা এ প্রসঙ্গে বলেন,
“হে ঈমানদারগণ, যদি কোন ফাসিক ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ নিয়ে আসে তবে তোমরা তার সত্যতা যাচাই করে নাও। এমন যেন না হয় যে, তোমরা অজ্ঞতাবশতঃ কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতি সাধন করে বসবে আর পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হতে হবে।” (সূরা হুজুরাতঃ ৬)
এসব আয়াত থেকে প্রমাণ হচ্ছে যে, ফাসেক ব্যক্তির সংবাদ বাতিল এবং অগ্রহণযোগ্য এবং যে ব্যক্তি ন্যায়পরায়ণ নয় তার সাক্ষ্য ও সংবাদ প্রত্যাখ্যাত।
সংবাদ প্রদান ও সাক্ষ্যদান বিভিন্ন কারণে যদিও পৃথক জিনিস এবং এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে, কিন্তু এ দু’টি শব্দ একটি ব্যাপক অর্থের মধ্যে এক ও অভিন্ন। বিশেষজ্ঞদের কাছে ফাসিক ব্যক্তির সংবাদ যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি তার সাক্ষ্যও প্রত্যাখ্যাত। বস্তুত আল-কুরআন যেভাবে ফাসিকের খবর পরিত্যাজ্য বলেছে, অনুরূপভাবে হাদীস থেকে অনির্ভরযোগ্য ব্যক্তির বর্ণনাও নাজায়েয বলে প্রমাণিত। যেমন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
হাফস ইবনু আসিম (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শোনে (যাচাই ব্যতীত) তাই বলে বেড়ায়। (মুসলিম)
“যে ব্যক্তি জেনে-শুনে আমার নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করে সে মিথ্যাবাদীদের একজন।” (মুসলিম)
সংবাদ আদান প্রদানের ক্ষেত্রে এ হাদীছ দু’টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি। শুনা কথা কোনো প্রকার যাঁচাই-বাছাই ব্যতিতই বলে দেওয়া মিথ্যাচারের শামিল। যাঁচাই-বাছাই ছাড়াই শুনা কথা বলা বা প্রকাশ করা মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। অপর দিকে পরের হাদীছটিতে কারো কথা মিথ্যা জানা স্বত্ত্বেও যদি কেউ তা বলে অথবা প্রচার বা প্রকাশ করে তাকেও মিথ্যাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সংবাদের তথ্যসূত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সংবাদের তথ্যসূত্র সঠিক কিনা তা যাঁচাই করাকে ইসলাম খুবই গুরুত্ব প্রদান করে। এ প্রসঙ্গে মুহাম্মদ ইবন সীরিন বলেন,
নিশ্চয়ই এই ইলম (ইলমে হাদীসের সূত্র) দীনের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই তোমরা কার নিকট থেকে তোমাদের দীন গ্রহণ করছো তা ভালো করে দেখে নাও। (মুসলিম)
৩. নিশ্চিত না হয়ে শুধুমাত্র ধারণার ভিত্তিতে কোনো সংবাদ প্রকাশ না করা। ধারণার ভিত্তিতে যে সকল সংবাদ প্রকাশ করা হয়, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রকৃত সত্যের বিপরীত হয়ে থাকে। ফলে তা উদোর পি- বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার কাজ করে। এতে প্রকৃত দোষীরা আড়াল হয়ে যায় এবং নির্দোষ ব্যক্তিরা হয়রানির শিকার হয়। এ কাজটিও কখনো কখনো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কাউকে হেয় ও হয়রানি করার জন্য করা হয়ে থাকে, যা খুবই দুঃখজনক। ইসলাম এটিকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আল কুরআনে বলা হয়েছে,
“হে ইমানদারগণ, অধিক ধারণা পোষণ করা থেকে বিরত থাক, কেননা অনেক ধারনাই গুনাহের শামিল।” (৪৯, সূরা আল্ হুজুরাত : ১২) এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,
“ তোমরা ধারণা থেকে বিরত থাকো, কেননা ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা।” (বুখারী, কিতাবুল আদাব, বাবু মা ইউন্হা ‘আনিত্ তাহাসুদি ওয়াত্ তাদাবুরি, হাদীছ নং ৬০৬৪)
অসত্য সংবাদ প্রকাশের কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যেমন ক্ষতি হয়, অনুরূপভাবে এর দ্বারা সংবাদ প্রকাশকারীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ দুনিয়াতে তিনি ‘হলুদ সাংবাদিক’ আখ্যায় আখ্যায়িত হন, যা অপমানজনক। আর অপরদিকে আখিরাতেও তাকে কঠিন জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে। অবশ্য যারা আত্মমর্যাদা ও আখিরাতে জবাবদিহির পরোয়া করে না, তাদের কথা ভিন্ন। তবে কোনো ব্যক্তি আখিরাতের তোয়াক্কা করুক বা না করুক, আখিরাতে তাকে জবাবদিহির সম্মুখীন হতেই হবে।
আখিরাতে প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রতিটি কথা ও কাজের হিসাব দিতে হবে। এজন্য আল্লাহ তা‘আলা বান্দার প্রতিটি কথা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। আল কুরআনে বলা হয়েছে,
‘সে যে কথাই উচ্চারণ করুক না কেন, তার সাথে নিযুক্ত সদা সতর্ক সংরক্ষক তা সংরক্ষণ করে।’ (৫০, সূরা আল কাফ : ১৮) এজন্য কথা বলা ও লেখার ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক হতে হবে এবং সত্য, সঠিক ও ন্যায় কথা ব্যতীত অন্য কোনো কথা বলা বা লেখা যাবে না।
মানুষের ভয়ে হক কথা বলা থেকে বিরত থাকলে তাকে আখিরাতে জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে।
আবু সাঈদ খুদরী (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন নিজেকে হেয় প্রতিপন্ন না করে। তারা বললো, ‘হে আল্লাহর রাসূল (সা) আমাদের কেউ নিজেকে কিভাবে হেয় করবে? তিনি বললেন, সে দেখবে যে তার জন্য কিছু বলা (সত্য কথা বলা) আবশ্যক, অথচ সে সেখানে সত্য কথা বলল না। আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামাতের দিন তাকে বলবেন, ঐ ঐ দিনে (সত্য কথা) বলতে তোমাকে কিসে বাধা দিয়েছিল। সে বলবে, মানুষের ভয়। তখন আল্লাহ বলবেন, একমাত্র আমাকে ভয় করাই তোমার উচিৎ ছিল। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১১৫৮৭।
জালিম শাসকের সামনে সত্য কথা বলাকে হাদীছে সর্বোত্তম জিহাদ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আবু সাঈদ খুদরী (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সা) আসরের পর সূর্যের আলো পরিবর্তিত হওয়া পর্যন্ত আমাদের সামনে খুৎবা দিলেন। খুৎবায় তিনি একথাও বললেন,
সাবধান! কোন ব্যক্তিকে লোকদের ভয় যেন সত্য বলা থেকে বিরত না রাখে। জেনে রেখো, সর্বোত্তম জিহাদ হলো জালিম শাসকের সামনে সত্য কথা বলা। (আহমাদ, হাদীস নং ১১১৪৩)
সাংবদিকদেরকে নির্ভিক কলম সৈনিক বলা হয়। নির্ভয়ে সাহসিকতার সাথে সত্য প্রকাশে ব্রত হলেই তাদের এ নাম স্বার্থক হবে। এ জন্য সংবাদকর্মী ও সংবাদ মাধ্যমগুলোকে ইসলামের উপরি উক্ত নির্দেশনা অনুসরণ করা একান্তই বাঞ্ছনীয়।