ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ৩৫

১৫ জানুয়ারি, ইন্টারনেট : ইন্দোনেশিয়ার সুলায়েসি দ্বীপে শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে ৬.২ মাত্রার এই ভূমিকম্পে ৩৫ জন নিহত ও ছয়শ’রও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিলো মাজেনে শহর থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তরপূর্বে মাটির দশ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের কবলে পড়ে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ভলকানো-র ওপর অবস্থিত ইন্দোনেশিয়া। অর্থাৎ,ভৌগোলিক কারণেই ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। প্রায়ই দেশটিতে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানে। আর তাতে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়।
গতকাল শুক্রবার সকালে সুলায়েসি দ্বীপের ভূমিকম্পে মাজেনে শহরের উত্তরাঞ্চলে একটি হাসপাতালের ভবন ধসে পড়ে ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছে বহু রোগী ও হাসপাতাল কর্মী। আরিয়ান্তো নামের এক উদ্ধারকর্মী জানান, ‘হাসপাতালটি ভেঙে পড়েছে আর রোগী ও কর্মীরা আটকা পড়েছে। আমরা তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।’
নিহতদের মধ্যে অন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে মামুজু শহরে। এছাড়া সুলায়েসি দ্বীপের পশ্চিমাঞ্চলে আরও আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মামুজুর দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান আলি রহমান বলেন, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কিন্তু প্রার্থনা করছি তা যেন না হয়... মারা যাওয়া বহু মানুষ ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েছে।
ভূমিকম্প ও আফটার শকের কারণে তিনটি ভূমিধস হয়েছে। এর কারণে মাকাসার শহরের মতো আঞ্চলিক হাবগুলো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, সেখানে যাওয়ার সেতুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পে ৬০টি আবাসিক ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া দুটি হোটেল, প্রাদেশিক গভর্নরের অফিস, শপিং মলেরও ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে মামুজুতে ভেঙে পড়েছে হাসপাতাল। ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়েছেন রোগী, চিকিৎসক, নার্স সকলেই।
মামুজু শহরের একটি উদ্ধারকারী সংস্থার সদস্য আরিয়ান্তো বলেন, ‘হাসপাতাল ধসে গেছে, বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে এটি। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে রোগী ও হাসপাতাল কর্মীরা। আমরা এখন তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।’ তবে ঠিক কত সংখ্যক মানুষ চাপা পড়েছেন তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সুলায়েসি দ্বীপের পালু শহরে আরেকটি ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানে। এতে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়।