অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: নির্বাচনের খরচ গোপন করে সে বিষয়ে সংসদে সঠিক তথ্য উপস্থাপন না করার অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার বিরুদ্ধে সংসদে অনাস্থা ভোটের দাবি জানিয়েছে দেশটি তৃতীয় সারির রাজনৈতিক দল আফ্রিকান ট্রান্সফর্মেশন মুভমেন্ট (এটিএম)।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্পিকারের নেতৃত্বে প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
এর আগে আফ্রিকান ট্রান্সফর্মেশন মুভমেন্ট নেতা ভ্যোলওয়েথু জুঙ্গুলা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রামাফোসার প্রতি অনাস্থা ভোটের দাবি জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কোভিড-১৯ এর লকডাউনে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম সীমিত হয়ে যাওয়ার কারণে ভোট আয়োজন সম্ভব হয়নি।
প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের (এএনসি) জাতীয় সংসদে ২৩০টি আসন রয়েছে। অন্যদিকে ৪০০ সদস্যের জাতীয় সংসদে অনাস্থা ভোটের দাবি করে আসা আফ্রিকান ট্রান্সফর্মেশন মুভমেন্টের মাত্র দুটি আসন রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসা প্রতি অনাস্থার দাবি তুলে স্পিকারের কাছে ভোটের আয়োজন প্রসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইব্রাহিম ফকির স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, যদিও রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসায় অবিশ্বাসের ভোট এমন এক সময় এসেছিল যখন তিনি দুর্বলতম অবস্থানে ছিলেন। তবে এখন আর তার বিরুদ্ধে অনাস্থা তুলে ভোটের দাবি করা বিরোধীদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
ফকির আরও বলেছেন, এ জাতীয় দাবি তুলে সফলতা অর্জন করা দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিতে একটি অলৌকিক চিন্তা। এটা করতে সংখ্যাগরিষ্ঠভাবে ২০১ জন সদস্যের ভোট দরকার হবে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা সংসদের প্রধান বিরোধী দল ডিএ ইতোমধ্যে পরিষ্কার করে বলেছে যে, তারা এই রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটে যাচ্ছে না। এটা থেকে ধরেই নেয়া যায় ফল কি হবে।
ডিএ বলেছে, তারা এটিএম’র দাবি সমর্থন করে না। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল ইকোনমিক ফ্রিডম ফাইটার্স (ইএফএফ) বলেছে, এই মূহূর্তে অনাস্থা ভোটের প্রয়োজন আছে বলে মনে তারা করে না।
ডিএস/এএইচ