কেশবপুরে আবাসিক এলাকায় অবৈধ দুই ইটভাটা!

কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা : কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর বাজারের আবাসিক এলাকায় ৩ ফসলী জমিতে দু‘টি ইটভাটায় অবৈধভাবে ইট উৎপাদন ও বেঁচাকেনার কাজ চলছে। ভাটা দু‘টির পরিবেশ অধিদপÍরের কোন ছাড়পত্র নেই। এর প্রায় সাড়ে ৬‘শ মিটার দূরে রয়েছে একটি বাজার ও ২‘টি বিদ্যালয়। ভাটা দু‘টি স্থাপণকালে এলাকাবাসি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়াসহ আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখে। কিন্তু সে সময় ভাটা মালিকরা এর কোন তোয়াক্কাই করেনি। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভাটা দুটি। ফলে হুমকির মুখে রয়েছে ভাটার চারপাশের ফসলী জমি।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপণ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ বলছে, আবাসিক এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও ফসলি জমির এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপণ করা যাবে না। এছাড়া কোন সড়ক থেকে অর্ধকিলোমিটার দূরাত্বে ইটভাটা স্থাপণ করতে হবে। কিন্তু এ আইন লঙ্ঘন করেই কেশবপুর চিংড়া সড়কের গা ঘেষে উপজেলার শ্রীরামপুর বাজারের পাশে প্রায় সাড়ে ৬‘শ মিটার দূরাত্বে ৩ ফসলী জমিতে অবৈধভাবে গোল্ড ব্রিকস ও গাজী ব্রিকস নামের দুটি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। ভাটা দুটির পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের কোন লাইসেন্স নেই। ভাটার চারপাশে উচ্চ ফলনশীল কৃষি জমি। এমনকি ভাটার অভ্যান্তরেই রয়েছে বসত বাড়ি। ওই ভাটা দুটির কারণেই নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া, শস্যহানিসহ পরিবেশ রয়েছে মারাত্নক হুমকির মুখে।
এ কারণেই ভাটা দু‘টি স্থাপণকালে এলাকাবাসি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়াসহ আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিলেন। ভাটা মালিকরা এর কোন তোয়াক্কা না করেই প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘ ৫/৬ বছর ধরে ইটভাটা দুটি চালাচ্ছেন। এর ৫‘শ মিটার দূরে রয়েছে শ্রীরামপুর বাজার, সাড়ে ৬‘শ মিটার দূরে রয়েছে মসজিদসহ শ্রীরামপুর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ভাটা দুটির পাশে স্তুপ করে রাখা হয়েছে কৃষি জমির টপ সয়েল। ফলে উর্বরা শক্তি হারাচ্ছে কৃষি জমি। ওই ভাটার জন্যে ব্যবহারকারী ইট ও মাটিবাহী ট্রাক ও ট্রাক্টরের ঘন ঘন যাতায়াতের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। ভাটার কালো ধোয়ায় পরিবেশ হচ্ছে বিনষ্ট, ঘটছে মারাত্মক ফসলহানি।