শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩
Online Edition

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে খুলনায় আটক-জরিমানা 

খুলনা অফিস: করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে খুলনায় আটক-জরিমানাকে ‘থোড়াই কেয়ার’। মাস্ক ছাড়াই বাসে, রাস্তায় ও জনবহুল এলাকায় নির্বিচারে চলাচল করছে জনতা। এদিকে, খুলনায় ৮-১০ ঘন্টা করে আটক রাখা হলেও কাউকে কারাদন্ড দেয়া হয়নি। প্রয়োজন হলে কারাদন্ডও দেয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। নগরীর বিভিন্ন সড়ক, অলিগলি, হোটেল ও গণপরিবহনে হাতেগোনা কয়েকজনকে মাস্ক পরতে দেখা গেছে। বেশিরভাগ মানুষই মাস্ক ছাড়া চলাচল করছেন। সোনাডাঙ্গা ও রূপসায় কয়েকটি বাসের ভেতরে কথা হয় যাত্রী রাসেল শিকদারের সঙ্গে। মুখে মাস্ক নেই কেন- জানতে চাইলে হেসে বললেন, ‘ভাই মনে ছিল না।’ জরিমানা কথা মনে করিয়ে দিতেই বললেন, ‘জানি। মাস্ক ব্যবহার করাই ভালো। ভবিষ্যতে ভুল হবে না।’ খানজাহান আলী (র.) সেতুতে আড্ডা দিচ্ছিলেন দুই তরুণ-তরুণী। কেউ মাস্ক ব্যবহার করেননি। ‘মাস্ক নেই কেন’ বলার সঙ্গে সঙ্গে তারা সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ঘুরে তাদের সামনে গিয়ে হাজির হতেই তারা বলেন, ‘ভাই আমরা লজ্জিত। আসলেই ব্যবহার করা উচিত। নাই বুঝে অনেকেই থোড়াই কেয়ার করে চলছে। তবে, আমরা সঙ্গে আনতে ভুলে গেছি। এখন কিনে নেবো।’ একথা বলেই তারা সরে পড়েন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, নগরীর বিভিন্ন, মার্কেট, রাস্তার পাশের চায়ের দোকান, খেলাধুলার স্থান ছাড়াও প্রধান সড়কগুলোতে পুলিশ-র‌্যাব ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিনই চলছে অভিযান। এসব অভিযানে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক দেওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলী বলেন, মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রায় প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। শতাধিক লোককে ৮-১০ ঘন্টা আটক করে রাখা হয়েছে। পরে মুচলেকা এবং জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে, এখনও কাউকে জেল দেয়া হয়নি। প্রয়োজন হলে দেয়া হবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২১ জুলাই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এরপর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’নীতি নির্ধারণের নির্দেশনাও দেয়া হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ