মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩
Online Edition

যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষের মহামিলন সূচনা করে -বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক উসকানি, বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবালয়ে আক্রমণ ও ভাঙচুর অতিমাত্রায় সংঘটিত হচ্ছে। বর্তমানে দুর্গাপূজার প্রাক্কালে দেশের কয়েকটি স্থানে প্রতিমা ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির ঘটনা উদ্বেগজনক। গতকাল রোববার দলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল তার বাণীতে বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। আবহমানকাল ধরেই এই উপমহাদেশে ধর্মীয় উৎসবটি আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে। যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই সাম্প্রদায়িক ভেদরেখা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মহামিলন সূচনা করে। শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব সকলের মধ্যে নিয়ে আসে আনন্দের বার্তা। তিনি বলেন, এই উৎসব বাংলাদেশের একটি শাশ্বত সার্বজনীন উৎসব। উৎসব জাতি-রাষ্ট্রে সর্বমানুষের মিলনক্ষেত্র। বিএনপি আবহমানকালের ঐতিহ্যের ধারায় ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ নীতিতে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মূল্যবোধে বিশ্বাস করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের আমলে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবালয়ে আক্রমণ ও ভাঙচুর অত্যুগ্র মাত্রায় সংঘটিত হচ্ছে। বর্তমানে দুর্গাপূজার প্রাক্কালে দেশের কয়েকটি স্থানে প্রতিমা ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির ঘটনা উদ্বেগজনক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ঘটনা-মহল বিশেষের মদদ ছাড়া অসম্ভব। আমি এই সমস্ত অশুভ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সুদীর্ঘকাল ধরেই বাংলাদেশে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করছে। ধর্মীয় উৎসব সাম্প্রদায়িক সীমানা অতিক্রম করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে এক বৃহত্তর শুভেচ্ছার প্রাঙ্গণে মিলিত করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ। আমরা সবাই বাংলাদেশি এটিই আমাদের গর্ব, এটিই আমাদের একমাত্র পরিচয়। আমি শারদীয় দুর্গাপূজার সার্বিক সাফল্য কামনা করি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ