মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩
Online Edition

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ ও খুন-গুম, গণধর্ষণ বন্ধে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি

গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণধর্ষণ, নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, নারী নীতিমালায় কুরআন সুন্নাহ বিরোধী ধারা বাতিলসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয় -সংগ্রাম

দেশের শীর্ষ ইসলামী নেতৃবৃন্দ চলমান গণধর্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী নির্যাতন, খুন-গুম ও দুর্নীতি বন্ধ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ার আহবান জানান। গতকাল বুধবার সকাল ১১ টায় দেশে বিরাজমান এ মহামারি থেকে রক্ষা পেতে এবং নারী নীতিমালায় কুরআন সুন্নাহ বিরোধী ধারাসমূহ বাতিলসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের নেতৃবৃন্দ এ আহবান জানান।
মাওলানা আবু তাহের জিহাদী আলকাসেমীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের সমন্বয়ক ড.মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে টেকেরহাটের পীর মাওলানা কামরুল ইসলাম সাইদ আনাসারী, জনসেবা আন্দালনের আমীর মুফতি মাওলানা ফখরুল ইসলাম, শর্ষীণার ছোট পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা লুৎফর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, ড. মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা কামরুল হাসান শাহীন, মুফতি হাফেজ নুরুল আমীন, মুফতি শফিকুল ইসলাম, মাওলানা আজম খান, শায়েখ জামাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ আতীকুর রহমান, মাওলানা সাহেল সিদ্দিকী, মুহাদ্দীস হাফেজ মিজানুর রহমান, মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফ, মুফতি সোহাইল  হোসাইন, মুফতি বাকি বিল্লাহ, মুফতি আবুল কালাম আজাদ, মুফতি আবুল কাসেম কাসেমী, মুহাদ্দীস মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, সরকার প্রধান নারী নারী হয়ে যদি নারীর মর্যাদা না বোঝেন তাহলে এ দুঃখ রাখার জায়গা নাই। আমরা সরকারকে বলব, অনতিলম্বে ইসলামী আইন প্রণয়ণ করে ইসলামী আইনে নারী নির্যাতনের এবং ধর্ষণের বিচার করুন। তাহলে ইনশাল্লাহ চিরদিনের জন্য এদেশ থেকে ধর্ষণ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। ঘাপটিমেরে থাকা দুর্নীতিবাজ ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, খুন, গুম, নারী নির্যাতন, নারীরা প্রতি সহিংসতার আজ মহোৎসব শুরু হয়েছে। চারদিকে নারী নির্যাতনের যে মহামারি শুরু হয়েছে তার প্রতিবাদে আজ সারাদেশ উত্তাল হয়ে পড়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলার জমিনে নারীদের প্রতি অবিচার চলতে থাকবে,নারীর প্রতি সহিংসতা চলতে থাকবে, মা বোনদের উপর অমানবিক পৈশাচিক নির্যাতন চলতে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত উলামায়ে কিরাম, পীর মাশায়েখ, মারকায, দরবার ছেড়ে যেভাবে রাজপথে নেমেছেন এ হিংস্রতা ও পাশবিকতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবে না। তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান অপরাধী যে দলরেই হোক তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় দলীয় রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে অপরাধী ও সন্ত্রাসীরা দেশকে রসাতল করে ছাড়বে। পীর আনসারী বলেন, ধর্ষক ও অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা করবেন না। সরকার আসে সরকার যায়, অপরাধ করে কেউ পার পেতে পারে না।
মুফতি ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশে আজ হত্যা,গুম, নারী নির্যাতন ,নারী ধর্ষণ, ইভটিজিং মহামারি  আকার ধারণ করেছে। এগুলো বন্ধের কার্যকরী উদ্দোগ না নিলে সরকারকে পদত্যাগ করা উচিত। শর্ষীণার ছোট পীর মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, ইসলামী অনুশাসন ছাড়া নারী ধর্ষণ বন্ধ হওয়া সম্ভব নয়। সকল ধরণের অপরাধ বন্ধ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলের সমন্বিত আন্দোলন একান্ত জরুরী।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আবু তাহের জিহাদী বলেন, আমি আহবান জানাই আগামীতে আমাদের ১০ দফা দাবির সাথে যারা একমত হয়ে মাঠে থাকবে তাদের সাথে আমরা মাঠে থাকব। আমরা তাদের সাথে ঐক্যমত গঠন করে আন্দোলন চালিয়ে যাব। সকল ধরনের ব্যাভিচার, ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতাসহ সকল ধরণের বৈষম্য দূর করতে তৌহিদী জনতার ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। আইন শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজ সংস্কার সমাজ উন্নয়ন, ও অপরাধ মুক্ত সমাজ গঠনে দেশের সর্বস্তরের ইসলামী জনতা সম্মিলিত প্রয়াস চালিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
তিনি আগামী ২৫ শে অক্টোবর রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সর্বদলীয় মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও বুদ্ধিজীবীদের অংশগ্রহণ করার আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ