কেশবপুরে চাষি সাইফুলের ড্রাগনগাছে ফল এসেছে

মোল্যা আব্দসু সাত্তার, কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা : যশোরের কেশবপুরে সাতবাড়িয়া গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা সাইফুলের ড্রাগনগাছে ফল আসায় তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। শুধু তাই নয় তার ড্রাগন ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে বেগুন আবাদ করেও তিনি পেয়েছেন সফলতা। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসছেন তার ড্রাগন ক্ষেত দেখতে।
সাতবাড়িয়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলামের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ করার। সে লক্ষ্যে তিনি ১০ মাস আগে ৮বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল বাগান করেন। পাশাপাশি ড্রাগন বাগানে সাথী ফসল হিসেবে তিনি বেগুনের আবাদ করেন। ফসলের নিয়মিত পরিচর্যা করায় তিনি ভালো ফলন আশা করছিলেন। তার ড্রাগন ক্ষেতে সিমেন্টের তৈরি ১৮শ’ পুতে তার মাথায় টায়ার স্থাপন করেন। ড্রাগনগাছ টায়ারের ওপর দিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় দৃশ্যমান হয়েছে ড্রাগন ক্ষেত।
সরেজমিনে ড্রাগন ক্ষেতটি পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, প্রতিটি পিলারে ৪টি করে ড্রাগনগাছ লাগানো হয়েছে। ক্ষেতের দু‘পাশে সারিবদ্ধভাবে বেগুন গাছ লাগানো হয়েছে। তার উৎপাদিত বেগুন ক্ষেত থেকেই বিক্রি করা হয়ে থাকে। পোকার আক্রমণ থেকে ফসলকে রক্ষায় ক্ষেতে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, ড্রাগন বহু পুষ্টিগুণে ভরা একটি সুস্বাদু ফল। একবার আবাদ করলে ২০/২৫ বছর ফল খাওয়া যায়। ইতোপূর্বে তার ক্ষেত পরিদর্শন করা হয়েছে। তিনি শুধু ড্রাগন ফলের আবাদ করেননি। সৌদি খেজুর ও মাল্টার আবাদও রয়েছে তার। তিনি একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা।