ঢাকা, মঙ্গলবার 21 March 2023, ৭ চৈত্র ১৪২৯, ২৮ শাবান ১৪৪৪ হিজরী
Online Edition

সামান্য ত্রাণে দু-তিন বেলার  বেশি চলে না

 

খুলনা অফিস : করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধি-নিষেধ না মেনে মংলার নদ-নদীতে চিংড়ির পোনা আহরণ করছেন জেলেরা। উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি এলাকার প্রান্তিক জেলেরা বলছেন, পেটের দায়ে তারা মাছ ধরছেন। সামান্য ত্রাণে দু-তিন বেলার বেশি চলে না।

শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকশ' নারী পুরুষ দল বেঁধে নিষিদ্ধ নেট জাল দিয়ে নদীতে চিংড়ির পোনা আহরণ করছেন। জেলেরা জানান, করোনা নিয়ে তাদের চিন্তা নাই, তাদের চিন্তা শুধু খাদ্যের জোগান নিয়ে।

এক জেলে বলেন, 'পেটে যদি না মানে, মৃত্যুর ভয় করে লাভ আছে? মৃত্যু তো একদিন হবে। ঘরে চাল নাই, ছেলেমেয়েদের খাবার কে দেবে? তাই নদীতে নেমে পড়েছি।'

আরেকজন জেলে বলেন, 'আজ মাছ না ধরলে, কাল না খেয়ে মরে যাব, ত্রাণ হিসেবে যে দুই কেজি চাল, দুই কেজি আলু আর ডাল পাচ্ছি, তা দিয়ে দুবেলা চলবে, তারপর কী হবে?'

চিলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম জানান, জেলেদের কোনোভাবেই বোঝানো যাচ্ছে না।

সুন্দরবনের নিষিদ্ধ ঘোষিত যে খাল বা নদীতে জেলেরা অবাধে মাছ ধরছেন, সেখানে সংশ্লিষ্টদের কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন পশুর রিভার ওয়াটার কিপার মো. নুর আলম শেখ।

মংলা জয়মনি নৌথানার মাত্র আধা কিলোমিটারের মধ্যে নারী পুরুষদের পোনা আহরণ প্রসঙ্গে নৌথানার ওসি মো. আবুল হোসেন শরিফ বলেন, 'এখানকার জেলেরা খুব গরিব। পেটের দায়ে, অভাবে স্বভাব নষ্ট হয়েছে। তাদের কী করবো বলেন? তারপরও এসব ঠেকাতে মাঝে মধ্যে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ