বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩
Online Edition

শোভন কুমার খানের ইসলাম গ্রহণ

শোভন কুমার খান তার ইসলামপূর্ব নাম, তিনি ইসলাম গ্রহণের পর মুহাম্মাদ খান নাম নির্বাচন করেন। তিনি ১৮ই আগস্ট ১৯৭০ সালে ভারতে দিনাজপুর জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। ইংলিশ মিডিয়ামে লেখা-পড়া করেন। ১৯৯৯ সালে কুয়েতে আসেন চাকুরির উদ্দেশ্যে। তিনি কুয়েতে এয়ারওয়াইজে আপ্যায়ন বিভাগে কর্মরত আছেন। দীর্ঘ ১৪ বছর কুয়েত এয়ারওয়েজেই সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। দুর্ভাগ্যবশত কুয়েতে তাকে কারাবরণ করতে হয়। কারণ কুয়েত এয়াপোর্টে তল্লাশিতে কুয়েত এয়াওয়েজে হেরোইন পাওয়া যায়, যা কুয়েতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তাকে জেল হাজতে যেতে হয়। আর এই কারাবরণই তাকে ইসলাম গ্রহণের পথ সুগম করে দেয়।

তিনি একজন শিক্ষিত লোক। তিনি শিক্ষা জীবনে বিভিন্ন ধর্ম নিয়েও গবেষণা করেন। যদিও তিনি একজন হিন্দু ধর্মের লোক কিন্তু খ্রীষ্টধর্ম নিয়ে তিনি অধ্যয়ন করেন, বাইবেলের বিভিন্ন অধ্যায় তিনি ব্যাপক গবেষণা করেন। কুয়েতের এই দীর্ঘ সময় কর্মরত থাকার পর ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হিসেবে তাকে জেলে যেতে হয়, তিনি সেখানে পবিত্র কুরআনের ইংরেজি অনুবাদ পড়ার সুযোগ পান। পূর্বে বাইবেল পড়া আর বর্তমানে কুরআনের অনুবাদ পড়ে নিজের মধ্যে দু’টি গ্রন্থ নিয়ে তুলনা করতে থাকেন, কোনটি বিজ্ঞান সম্মত ও নির্ভুল। অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্বের পর তার মন সায় দেয় যে, পবিত্র কুরআনই নির্ভুল। তিনি পবিত্র কুরআনের অনুবাদ পাঠ করে ইসলাম গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। 

৪০ দিন জেল হাজতে থাকার পর, তাকে কোর্টে ওঠানো হয়, প্রথম কোর্টেই তিনি বেকসুর খালাস পান। তার মন পাগল পারা, কোথায় কিভাবে তিনি ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হবেন? তারই একজন (কুয়েতি) সহপাঠিকে তার মনের কথা খুলে বলেন, কুয়েতি তাকে ইসলাম প্রেজেন্টেশন কমিটি (আই. পি.সি)-এর প্রধান কার্যালয় মালিয়াতে নিয়ে আসেন। বিভিন্ন বিষয় প্রশ্ন করা হয়, যখন স্পষ্ট হলো তিনি কারো প্ররোচনায় নয় বরং স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করার নিয়তেই আই. পি. সিতে এসেছেন, তখন আমরা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে শাহাদাতাইন পাঠ করায়ে ইসলামের ছায়াতলে গ্রহণ করে নেই। আমরা তার জন্য দোয়া করি, তিনি যেন আমরণ ইসলামের উপর অটল থাকতে পারেন। আমীন

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ