ছড়া

দুই টাকা ছাড়
শাহ আলম বাদশা
আট-ছয় ষোলো হয়
দুই টাকা ছাড়
চৌদ্দ টাকা যে
নেয় দোকানদার।
খুশিমনে টাকা দিয়ে
পথও আঁকাবাঁকা দিয়ে
গিয়ে বলি-মা
দুইটাকা ছাড় পেয়ে
এলাম খাবার খেয়ে
বকা দিও না!
মা যে কী খুশি হলো
এরপরই হুঁশ-ই হলো
বানালো বেকুব?
হিসেবের মারপ্যাচে
মাথাটাই গ্যাছে গ্যাছে
হাসলাম খুব!!
আয় কে-যাবি
শেখ বিপ্লব হোসেন
জুই-চামিলি, গোলাপ-বেলি
হাছনাহেনার দল,
আয় ছুটে আয় খেলবো সবাই
চল মাঠে যাই চল।
আজকে সবাই পাখি হবো
উড়বো হাওয়ায় ভেসে,
নদীর বুকে ঢেউয়ের সাথে
খেলবো হেসে হেসে।
পরীরদেশেও ঘুরতে যাবো
দেখতে পরীর ছানা,
তাদের সাথেও খেলবো অনেক
থাকবে নাতো মানা।
সবুজবনে সঙ্গোপনে
দেখবো তাদের নৃত্য,
বুনোফুলের সুবাস নিয়ে
ভরবো সবার চিত্ত।
দোয়েল কোয়েল ময়না-টিয়ের
দেখবো কোলাহল,
আয় কে-যাবি সঙ্গে আমার
ছোট্টসোনার দল!
দেশটা সর্বলোকের
আবদুল হাই ইদ্রিছী
সবুজপাতার মুক্ত হাসি
পাখির কলরব,
যেদিক তাকাই মনটা জুড়ায়
যেমন ফুলের টব।
এমন রূপের দেশটা আমার
যে করিলো দান,
হৃদয় ভরে গাইযে আমি
তার-ই গুণগান।
দেশটা আমার দেশটা তোমার
দেশটা সর্বলোকের,
দেশটা হবে ভালোবাসার
নয়নমণি চোখের।
দেশের মাটি হতে হবে
সবার তরে সুখের,
এই জমিনের জন্য পারি
রক্ত দিতে বুকের।
আসুন সবে প্রাণটা ভরে
দেশটা ভালোবাসি,
আমরা হবো এই জমিনের
সাম্য-শান্তির চাষী।
মেঘ ও কাশফুল
শরীফ সাথী
শরৎ এলো তাই আকাশে
সাদা সাদা মেঘের ভেলা,
এদিক ওদিক ওড়াউড়ি
দৃশ্য গড়ে করে খেলা।
নদী তীরে হিম বাতাসে
কাশফুলেদের বিশাল মেলা,
প্রকৃতির রঙ রূপ লাবণ্যে
মেখে আছে সারাবেলা।
মেঘপরী
কৌশিক সূত্রধর
নীল আকাশে ভাসছে দেখো শুভ্র মেঘের তরী,
সেথায় বসে উড়ছে কত ফুটফুটে মেঘপরী।
ফসলের ঐ নাচন দেখে উঠলো তারা মেতে,
ছুটলো তারা হাওয়ায় উড়ে আমন ধানের খেতে।
নদীর ধারে কাশের বনে এলো যে তারা ছুটি,
কাশফুলের ঐ শুভ্রতাতে বাঁধলো তারা জুটি।
মুক্তার মতন চমক হাসিতে উঠালো সূর্য দিনে,
শিউলি ফুলে নাড়া দিয়ে ঝরালো শিশির তৃণে।
নরম রোদে তালগাছেতে বসলো তারা দলে,
পাকা তালের মিষ্টি ঘ্রাণে, দারুণ মজার বলে।
জ্যোৎস্না মাখা চাঁদনীরাতে হাত রেখে হাতে,
গাইলো তারা শরৎগীতি সুর তুলে একসাথে।
শরৎকাল
আব্দুল্লাহ বিন রওহা তুহিন
শরৎ এলে বাগান জুড়ে
কাশফুলের মেলা,
নীল আকাশে পাখির সাথে
সাদা মেঘের খেলা।
শিশির ভেজা দুর্বাঘাসে
প্রজাপতি ওড়ে,
ফড়িং ছানা ওড়তে দেখে
মনটা সবার কাড়ে।
লাল-সাদা শাপলা দেখে
জুড়ায় মনও প্রাণ,
মাটির বুকে বাউল গায়
ভাটিয়ালি গান।
মাঠের ধারে সোনালি ধান
দুখী কৃষাণ দেখে,
গোলার ভরার আশা নিয়ে
সুখের স্বপ্ন আঁকে।