নারায়ণঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের স্কুলছাত্রীদের যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলায় শিক্ষক আশরাফুল আরিফের আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি
নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা: নারায়ণঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের স্কুলছাত্রীদের যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলায় শিক্ষক আশরাফুল আরিফ আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আহমেদ হুমায়ূন কবীরের এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। গত শনিবার বিকেলে পুলিশ শিক্ষক আশরাফুল আরিফ ও প্রধানশিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত শুনানী শেষে শিক্ষক আশরাফুল আরিফকে দুই মামলায় ৩ দিন করে এবং প্রধানশিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে এক মামলায় ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ ৩ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আহমেদ হুমায়ূন কবীরের আদালতে পাঠায়। পরে আশরাফুল আরিফ আদালতে ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। উল্লেখ্য, নারায়ণঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় অক্সফোর্ড হাইস্কুলে নানা কৌশলে ওই ছাত্রীদের ফাঁদে ফেলে তিনি শারীরিক সম্পর্ক করে এর ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। এরপর সেটি দেখিয়ে ওই ছাত্রীদের মায়েদের জিম্মি করে তাদের সাথেও একইভাবে যৌনাচার এবং মোটা অংকের অর্থ আদায় করেন। ২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) সকালে তারা স্কুলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আশরাফুল আরিফের মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ছাত্রীর সাথে যৌন মিলনের ছবি দেখে তাকে গণপটিুনি দেন। পরে র্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আশরাফুল আরিফ ও স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানশিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে আটক করে। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে অভিযুক্ত শিক্ষক আশরাফুল আরিফের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন স্কুলের নির্যাতিত সকল ছাত্রীর পরিবারের পক্ষে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপর মামলাটি দায়ের করে র্যাব। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত র্যাবের মামলাটিতে অনৈতিক কাজে মদদ দেয়ার অপরাধে প্রধানশিক্ষককেও আসামী করা হয়েছে। পরে অভিযুক্ত শিক্ষকদ্বয়কে র্যাব-১১ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশে হস্তান্তর করে।