রবিবার ২৮ মে ২০২৩
Online Edition

খুলনায় আদা ও রসুনের দাম বৃদ্ধি

খুলনা অফিস : সপ্তাহের ব্যবধানে আদা ও রসুনের দামের ঝাঁজ বেড়েছে। রমযানের শুরুর দিকে খুচরায় প্রতি কেজি আদা মানভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে সেই আদা মানভেদে খুচরায় ২০০ থেকে ২১০ টাকা। রসুনও প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। রোযার শুরুর দিকে প্রতি কেজি রসুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই রসুন ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, কুরবানির ঈদের আগে আদা ও রসুনের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
ভারতীয় পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম বেশি। তিন থেকে চার দিন ধরে বাড়তি এসব পণ্যের দাম। তবে অনেকটাই স্থির আছে মরিচ ও হলুদের দাম।
২০১৮ সালের জুলাই মাসের দামের তুলনায় ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এসে আদা দিগুণ এবং রসুন বিক্রি হচ্ছে তিনগুণ দামে। অর্থাৎ ২০১৮ সালের জুলাই মাসে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে (দেশি) ৪০-৫০ টাকায়, (বিদেশি) ২৫-৩০ টাকায়, রসুন (দেশি) ৬০-৮০ টাকায়, (বিদেশি) ৯০-১০০ টাকায়, আদা ৯০-১০০ টাকা এবং শুকনা মরিচ ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এসে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে (দেশি) ২৫-৩০ টাকায়, (বিদেশি) ২৫-৩০ টাকায়, রসুন (দেশি) ১৪০-১৫০ টাকায়, (বিদেশি) ১৬-২০ টাকায়, আদা ২০০-২১০ টাকা এবং শুকনা মরিচ ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
নিউমার্কেট এলাকার বাসিন্দা মো. সোনালী আক্তার জানান, কুরবানির প্রভাবে এখনই বাজারে দাম বেশি। ভাবলাম আগে থেকেই কিনে রাখবো কিন্তু সেই একই। দাম বাড়বে শুনলেই দাম বাড়ে কিন্তু কমবে শুনলে দাম কমে না। বাজার তদারিকর অভাবে এমনটি হচ্ছে। রমজানের মত বাজারে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলে ব্যবসায়ীরা ঠিক হয়ে যাবে।
বড়বাজার এলাকার হাসেম স্টোরের মো. আবুল হাসেম জানান, খুলনার বড়বাজার এলাকায় আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। কিন্তু লোকাল বাজারে খামখেয়ালীভাবে আদার দাম বাড়িয়েছে। বাজার তদারকি থাকলে এটি হতো না।
খুলনা জেলা বাজার কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদার জানান, গত দু’বছর আদা এবং রসুন চাষিরা ভাল দাম পায়নি। ফলে এবছর চাষে তাদের আগ্রহ কম থাকায় চাষাবাদ কম হয়েছে। তবে দেশীয় আদা এবং রসুন বাজারে আসলে দাম কমে যাবে।
কেসিসি পাইকারী কাঁচা বাজার কল্যাণ সমিতির সভাপতি শেখ মো. নজরুল ইসলাম জানান, রসুন এবং আদা আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আমদানি কমেছে, বৃষ্টিও হয়েছে তার সব কিছুর প্রভাবের কারণে দাম বাড়তি। কুরবানির ঈদের আগে আর কমবে না, তবে বাড়তে পারে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ