পর্দা : আল্লাহর এক অনিবার্য আইন
মারইয়াম জামিলা হাফসা:
পর্দানশীন নারীরা আল্লাহর কাছে যেমন প্রিয় তেমনি মুসলিম উম্মাহর কাছে ও অনেক সম্মানিত। আল্লাহর পক্ষ থেকে হেদায়াতপ্রাপ্ত রমনীরাই পরিপূর্ণ পর্দা করতে পারে। পর্দা করার এ হিদায়াহ সবার নসীবে জোটে না। পর্দা হীনতার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই। কুরআনের প্রতিটা বিধি বিধান মানার মধ্যেই কল্যাণ নিহিত। কাজেই কেহ যদি নামাজ,রোযা, হজ্জ পালন করা সত্ত্বেও পর্দাকে নিয়ে তামাশা করে ... মানুষের উপর যুলুম নির্যাতন করে ... আলেমদের কটাক্ষ করে জঙ্গি বিষবাণে জর্জরিত করে ... তাদের জিন্দানখানায় বছরের পর বছর চার দেয়ালে বন্দি করে রাখে ... ... তাহলে আল্লাহর কাছে সে কতটুকু প্রিয় হতে পারলো?
দুনিয়াতে আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দেই। বোর্ড পরীক্ষায় গুরুত্বের সাথে অল সাব্জেক্টে “A+” পাওয়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক মেহনত করতে হয় ... ...। তেমনি আখেরাতের সফলতা অর্জন করতে হলে ঠিক দুনিয়ার পরীক্ষার মেহনতের চাইতেও বেশী মেহনত করতে হবে।
কুরআনের এক অংশকে মেনে অপর অংশকে পরিত্যাগ করলে তা কুফুরী করারই নামান্তর। আখেরাতের কল্যাণ লাভ করতে হলে কুরআনের প্রতিটি হুকুম আহকাম পড়তে হবে, জানতে হবে, সবাইকে জানানোর পাশাপাশি নিজেকে ও হুকুম আহকামের আলোকে তৈরী করতে হবে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার আয়াতে বলেছেন, (১৫৯) “যারা আমার নাযিল করা সুস্পষ্ট নির্দশন সমূহ ও পরিষ্কার পথ নির্দেশকে গোপন করে, মানুষের হেদায়াতের জন্য যা আমি ইতিপূর্বে বিস্তারিত ভাবে আমার কিতাবে বর্ণনা করে দিয়েছি। -যারা এসব কিছু গোপন করে এদের উপর শুধু আল্লাহই অভিশম্পাত করেন না,আসমান-জমীনের অধিবাসীরাও এদের উপর অভিশম্পাত করে।
(১৬১) মানুষের মাঝে যারা আমাকে অস্বীকার করেছে এবং অস্বীকার করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ, ফেরেশতাদের অভিশাপ, সর্বোপরি অভিশাপ সমগ্র মানব কূলের।
(১৬২) এ অভিশাপ নিয়েই তারা আমার আযাবে চির নিমজ্জিত থাকবে।আমার সাথে কুফুরীর সেই ভয়াবহ শাস্তির মাত্রা এদের জন্য বিন্দু মাত্র কম হবেনা।
যুগ যুগ ধরে আবু লাহাব, আবু জেহেলের বংশ ধরেরা কুরআনের বিধি নিষেধ উপেক্ষা, অবজ্ঞা করে আসছে।
এর পরিণতি কি? অবশ্যই জাহান্নাম।
হে যুগের অধিপতিরা!!
আল্লাহর বিধানকে নিয়ে যতই তামাশা, হাসি ঠাট্টা করোনা কেন?? নমরুদ, ফেরাউনের মত একদিন তোমার বাহাদুরি শেষ হবেই।
“ঐ কবরে গহীন আধাঁর সবার আপন ঘর
ক্ষমতার বল টিকবে নাকো সবাই হবে পর।”
কবরের সীমাহীন আযাব ও জাহান্নামের শাস্তির কথা, সবাইকে স্মরণ করে আখেরাতের জিন্দিগীকে উজ্জল করার মানসে দুনিয়াবী খ্যাতি, লোভ লালসা পরিহার করে মুমিনের গুণাবলী অর্জনে সচেষ্ট হতে হবে।
নিন্দুকরা নিন্দা করুক, করুক তিরষ্কার
কি আসে যায় তাতে???
ধৈয্য ধরার ফল অমীয়, প্রভূর কাছে হবে প্রিয়
আখেরাতে ঠকবে নাকো আর।
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে হিদায়াত দান করুন। -আমীন