ফিলিস্তিনীদের পাশে দাঁড়ানো বিশ্বের মুসলমানদের নৈতিক দায়িত্ব -মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং আল-আকসা মসজিদকে ইসরাইলী দখলদার মুক্ত করা বিশ্বের সকল মানুষের বিশেষ করে মুসলমানদের নৈতিক দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুক্ত বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। আন্তর্জাতিক আল-কুদ্স দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আল-কুদ্স কমিটি বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ‘আল-কুদ্স মুক্তির অন্বেষায়’শীর্ষক এক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরো বলেন, দখলদার ইসরাইল গত কয়েক দশক ধরে যেভাবে ফিলিস্তিনে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে তা সব ধর্মেই হারাম। তিনি বলেন বিশ্বের সকল মানবতাবাদী মানুষের উচিত ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো। আমরা এ সেমিনারের মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বর হামলার নিন্দা জানাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ও আল কুদ্স কমিটি বাংলাদেশ-এর সভাপতি প্রফেসর ড. শাহ কাউছার মুস্তফা আবুলউলায়ীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মাদ রেজা নাফার, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান ও সিটি ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, ইস্টার্ন প্লাস জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমীন এবং বিশিষ্ট চিন্তাবিদ আবদুল্লাহ আল ক্বাফি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক জামাল উদ্দিন বারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আল-কুদ্স কমিটি বাংলাদেশ-এর সহ-সভাপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জনাব এ.কে.এম. বদরুদ্দোজা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সফল হওয়ার পর ইমাম খোমেনী (র) পবিত্র রমযান মাসের শেষ শুক্রবারকে কুদ্স দিবস ঘোষণা করেন। সেই থেকে ইরানসহ বিশ্বের বহু দেশে কুদ্স দিবস পালিত হয়ে আসছে। ফিলিস্তিন ও পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দাস দখলদার ইহুদিবাদীদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্যে মুসলমানদের জাগিয়ে তোলাই আল-কুদস দিবসের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
সেমিনারের পাশাপাশি ফিলিস্তিন পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। সেমিনারের আগে একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয় এবং দুপুরে প্রেসক্লাবের সামনে নিপীড়িত ফিলিস্তিনীদের সমর্থনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।