কবিতা
ফিরতে পারিস যখন তখন
আকিব শিকদার
তোর চোখের মাপের আকাশ আমার নেই
তাই পাখনা মেলে উড়তে বলি না তোকে
ইচ্ছে হলে যা খুশি তা করিস, পূর্ণ অধিকার দেই।
তোর মনের মাপের উঠোন নেই এ বুকে
তাই নীড় সাজিয়ে বসতে বলি না তোকে
স্বাধীনতা দিলাম, বাসা বাঁধিস যার খুশি তার ডালে।
কিন্তু বলি শোন, আমার আকাশে কোনো বন্ধন নেই
সোনার খাঁচার দ্বার রেখেছি খুলে
ফিরতে পারিস যখন তখন তোর আকাশে দুরন্ত ঝড় এলে।
লক্ষ্য
জাহাঙ্গীর অরণ্য
ধনুকের মতো বেঁকে
হাত ধরেছি আমরা
মাঝখানে ইস্পাতের বাঁধা
তাই রেলের পাতের মতো চলছি
সমান্তরালে; সীমাহীন লক্ষ্যে
মাঝে মাঝে রেলের গর্জনে স্তব্ধ হই
লৌহ চক্রে হই পিষ্ট
তারপর আবার চলি।
বৃক্ষের ছায়ায় খুঁজি জীবনের আশ্রয়
পাই না।
রোদে ঝলসাই
জঙ্গলের হরিণের মতো শুধু ছুটে পালাই
নিজেদের রক্ষার তাগিদে।
তবু থেমে নই
নয় অসহায় সমর্পণ।
এবার নরম বাহুতে জড়াচ্ছি
বজ্রের সুকঠিন তীব্রতা।
তোমার সময় হয়না বলেই
হাসান নাজমুল
তোমার সময় হয়না বলেই-
মেঘের অক্ষরে সাজাই জীবন;
বালুচরে বুনো আবহাওয়ায়
অবিরাম ফেলি মরণ-নিঃশ^াস,
ইদানীং সঙ্গী হয়ে গেছে ঝড়;
আমার মতোই এই পথগুলো-
এলোমেলো আর উদাসীন খুব;
দিনগুলো ভেজাÑঅন্ধকারে ভেজা,
তোমার সময় হয়না বলেই-
এই সব রাতে জেগে থাকি একা।
পুড়ছে শহর
রুদ্র সাহাদাৎ
পুড়ছে প্রানের প্রিয় শহর
কালো ধোঁয়া উড়ছে ঐ
পুড়ছে বাপ-দাদার ভিটেমাটি, দোকান-ঘর
পুড়ছে পাড়া-মহল্লা, নগর -বন্দর।
পুড়ছে হৃদমাজার কেউ দেখে না
ভূমিকম্পনে ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠি
নিঃস্ব হলাম বুঝি আবারও
জ্বলছে আগুন জ্বলছে ঐ
পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ
চকবাজার, মগবাজার, বানানী, গুলশান।
ফায়ার সার্ভিসের পানিতে আগুন নিভে
বুকের গহিনে পোড়া ক্ষত মুছে না আর
তুষের আগুন যেনো
মাঝে মাঝে চমকে উঠি ঘুমেও......