কবি কাজী নজরুল ইসলামের কুলি মজুর কবিতা

তাজ ইসলাম : সময়টা ১৮৭৫ সাল। পেনসেলভিয়ার কয়লাখনির কিছু শ্রমিক।অসংগঠিতই বলা যায়। সে অবস্থায় তারা জ্বলে উঠল নিজেদের দাবীর স্বপক্ষে।তারা উপলব্ধি করল শ্রম ও শ্রমজীবীর মুক্তির জন্য গর্জে ওঠতে হবে নিজেদেরই।তাদের সেদিনের সে স্ফুলিঙ পরিণত হল দাবানলে। আর তা ছড়িয়ে পড়ল আমেরিকার শিকাগো শহরে।সে দাবানলে পুড়তে থাকল শিকাগোর হ্যা মার্কেটের আভিজাত্যের দম্ভ। পুলিশের গুলিতে নিরীহ শ্রমিকরা আত্মদান করল।সেটি ১৮৮৬ সালে ১ মে। এরপরের ইতিহাস সারা পৃথিবীর জানা। ১ মে ক্রমান্বয়ে শ্রমজীবী মানুষের দাবী আদায়ের মহান দিবস হিসেবে আবির্ভুত হল। বিশ্বজুড়ে পালিত হতে থাকল মে দিবস। মে দিবসের সেদিনের আওয়াজ ছিল ন্যায্যতার পক্ষে। মানবিকতার পক্ষে। সেটি শুধু কর্ম ঘন্টা নির্ধারণের দাবী বললে বিষয়টি একপেশে হয়ে যাবে। শ্রমিকদের দাবীটা মূলত ছিল মানুষের মত বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদাগুলো আদায়ের স্বপক্ষে। মানবিকতার দাবি ছিল দানবের বিপক্ষে, পাষাণের বিপক্ষে।
শিকাগো শহরে সেই সাড়া জাগানো মর্মান্তিক ঘটনার পর শত বছরের অধিককাল অতিক্রান্ত হলেও শ্রমজীবী মানুষের পরিবর্তন কতটুকু হয়েছে চোখ মেলে চারপাশে তাকালেই তা সহজে অনুমেয়। সারা বিশ্বের সর্বত্রই শ্রমজীবী মানুষের কপাল যেন একই সমতলের অপরিবর্তিত কোন এক কঠিন পাথর। এত বছর অতিক্রমের পরও কাঙ্খিত অর্জন বলতে তেমন কিছু নেই।
যুগে যুগে কবি সাহিত্যিক সাংবাদিকেরা মানবিক কলমে সে চিত্র চিত্রায়িত করেছেন নিজেদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আর উপলব্ধির রসায়নে।কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি। দুঃখ দারিদ্রতার সাথেই ছিল তার বসবাস। শ্রমজীবনের চৌকাঠেও ছিল তার পদচিহ্ন। তার উপলব্ধির মাত্রাও তাই বর্ণিল। দরিদ্রতার ভিতর তিনি খুঁজে পেয়েছেন মহিয়ান হওয়ার মন্ত্র। তিনি লিখেন
"হে দারিদ্র্য, /তুমি মোরে করেছ মহান্। /
তুমি মোরে দানিয়াছ /খ্রীষ্টের সম্মান /
কন্টক-মুকুট শোভা।-দিয়াছ,/ তাপস, /
অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস/
উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি, বাণী ক্ষুরধার,/
বীণা মোর শাপে তব হ’ল/ তরবার! "/
তার এই অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস,উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি,ক্ষুরদার বাণী ও বীণার তরবারীর আঘাতে উন্মোচিত হয়েছে অনেক সত্য, অনেক অসংগতি।তার অসংখ কালজয়ী সৃষ্টি সমুহের একটি" কুলি মজুর" কবিতাখানি।ইতিমধ্যে নজরুল সাহিত্য নিয়ে বিভিন্ন গবেষক বহুমাত্রিক আলোচনায় নিজেদের শ্রম মেধা নিয়োগ করেছেন।আমরা মে দিবসকে সামনে রেখে তার কুলি মজুর কবিতাখানি পাঠ ও পাঠোপলব্ধির গভীরে প্রবেশের চেষ্টা করব।
"দেখিনু সেদিন রেলে, /
কুলি ব’লে এক বাবু সা’ব তারে/ ঠেলে দিলে নীচে ফেলে!/ "
" দেখিনু সেদিন রেলে " বক্তব্যের এই অংশটুকুকে ধরে নেয়া যায় কবির অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞানের বয়ান।কুলি আর বাবু সা'ব হিসেবে চিত্রিত চরিত্রের রূপায়নে এখানে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সমগ্র মানব জাতী গোষ্টির দুটি স্পষ্ট শ্রেণী।কুলি শ্রমিক শ্রেণীর প্রতিনিধি। তথা নির্যাতিত,বঞ্চিত,নিপীড়িত মানুষের পক্ষের। আর বাবু সা'ব নিপীড়ক,শোষক নির্যাতক চরিত্রের মূর্ত প্রতীক। রেলকে ধরে নিতে পারি শ্রমিকের কর্মক্ষেত্র। সমগ্রবিশ্বের কর্মক্ষেত্রগুলোতে চোখ মেলে তাকালে দেখা যায় তথাকথিত বাবু সাবরা কুলি বা শ্রমিকদেরকে অবজ্ঞা অবহেলায়
কুলি ব’লে একেক বাবু সা’বরা তাদের ঠেলে নীচে দেয় ফেলে!
এ দৃশ্য দেখে মানবিক যে কোন হৃদয় তখন বেদনা কাতর হয়ে বলে ওঠেন
"চোখ ফেটে এল জল, /
এমনি ক’রে কি জগৎ জুড়িয়া/ মার খাবে দুর্বল?/ "
আরো করুণ কাহিনী হল
"যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ঐ/ বাষ্প-শকট চলে, /
বাবু সা’ব এসে চড়িল তাহাতে,/ কুলিরা পড়িল তলে।/ "
এখানে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে
এই যে বিশাল অট্টালিকা,কর্পোরেট অফিস,গাড়ি, কলকারখানা তথা পৃথিবীকে আধুনিক করে গড়ে তোলার বা বিলাশী হিসেবে উপস্থাপন করার যারা কারিগর দিন শেষে তাদের প্রত্যাবর্তন পোশাক শ্রমিকের হাতে শূন্য টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে জীর্ণ শীর্ণ গিঞ্জি বস্তি মুখীর মত। অপর দিকে মালিক পক্ষের আকাশ মুখী উদার জমিন থেকে যেন বিলাসের উড়োজাহাজে চড়ে বসে। যে দধীচিদের হাড় দিয়ে তৈরী হল মখমল সুখ সেই দধীচিরা লাঞ্ছনা বঞ্চনার বস্তিই তাদের শেষ আশ্রয়। আর বাবু সাবেরা উহা ভোগের মালিক। কবি তাই এরপর আর চোখ বুঝে সব সহ্য না করে গর্জে ওঠেছেন এবং হুংকার ছেড়ে বলেন:
"বেতন দিয়াছ?-চুপ রও যত/ মিথ্যাবাদীর দল! /
কত পাই দিয়ে কুলিদের তুই কত/ ক্রোর পেলি বল্?/ "
দাবী আদায়ের এই যে বজ্র কণ্ঠ কবির কবিতা এখানে এসে মে দিবসের মাহাত্ম্যের সাথে মিলেমিশে একাকার।
এভাবেই এগিয়ে চলেছে কবিতার ¯্রােত।
কবি শ্রমিকের মর্যাদা, শ্রমিকের ন্যায্য পাওনার স্বপক্ষে রচনা করেন যুক্তিনির্ভর কাব্যপঙক্তি।তিনি শোষক শ্রেণীর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার জন্যই যেন লিখেন
"রাজপথে তব চলিছে মোটর,/ সাগরে জাহাজ চলে, /
রেলপথে চলে বাষ্প-শকট, দেশ/ ছেয়ে গেল কলে, /
বল ত এসব কাহাদের দান!/ তোমার অট্টালিকা /
কার খুনে রাঙা?-ঠুলি খুলে দেখ,/ প্রতি হঁটে আছে লিখা। /
তুমি জান না ক’, কিন্তু- পথের/ প্রতি ধূলিকণা জানে, /
ঐ পথ, ঐ জাহাজ, শকট,/ অট্টালিকার মানে! /"
শ্রমজীবী মানুষের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার পরও যখন তারা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত তখন তিনি মেহনতি মানুষদের অভয়বাণীর সুরে
"আসিতেছে শুভদিন, "
এবং যারা এই বঞ্চনা তৈরী করে রেখেছেন তাদের প্রতি হুশিয়ার উচ্চারণের মাধ্যমে বলেন
"দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা/ শুধিতে হইবে ঋণ!/ "
"হাতুড়ি শাবল গাঁইতি চালায়ে/ ভাঙিল যারা পাহাড়, /
পাহাড়-কাটা সে পথের দু’পাশে পড়িয়া যাদের হাড়,
তোমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি,
তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি; "
তাদেরকে আজ তুমি প্রভাব প্রতিপত্তির জোরে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য কর,কর অবহেলা,ভাব হীন নিচ।কবি তার কলম দিয়েই দিয়েছেন এর যথাযথ জবাব। লিখেছেন তার কাব্য শক্তি দিয়ে "কুলি মজুর কবিতার একেকটি চরণ।কবি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেন "তারাই মানুষ, তারাই দেবতা,/ গাহি তাহাদেরি গান, /
তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে/ আসে নব উত্থান! /"
যাদের শ্রম ঘাম দিয়ে গড়া হল সুরম্য অট্টালিকা সেই অট্টালিকার
তেতালার উপরে তুমি শুয়ে থাকবে আর আমরা শ্রমিকরা থাকব তার নীচে, আর তুমি ভাববে
তোমারে কেবল দেবতা জ্ঞান করব, সে ভরসা আজ মিছে! যেনে রেখ তোমার মত এমন ভন্ডদেবতার থেকে তারাই উত্তম
"সিক্ত যাদের সারা দেহ-মন/ মাটির মমতা-রসে /
এই ধরণীর তরণীর হাল রবে/ তাহাদেরি বশে! / "
পাঠকের বোধগম্যের জন্য এই কবিতার আরো কিছু অংশ উদ্ধৃত করছি বিশ্লেষণহীনভাবে।নিজের বোধের জগতের দ্বার উন্মুক্ত করে পাঠক নিজেই বিশ্লেষণের দোয়ার খুলে প্রবেশ করুক কবিতার বর্ণিল ভাবের জগতে।কারণও আছে কবি তার পাঠককে উদ্দেশ্য করে বলেছেনও"আকাশের আজ যত/ বায়ু আছে হইয়া জমাট নীল,/
মাতামাতি ক’রে ঢুকুক্ এ বুকে/, খুলে দাও যত খিল! / "আমরাও চাই পাঠক খুলে দিক হৃদয়ের বন্ধ যত খিল তারপর পাঠে মনোনিবেশ ঘঠিয়ে পড়ুক
"তারি পদরজ অঞ্জলি করি’/ মাথায় লইব তুলি’, /
সকলের সাথে পথে চলি’ যার/ পায়ে লাগিয়াছে ধূলি! /
আজ নিখিলের বেদনা -আর্ত/ পীড়িতের মাখি’ খুন, /
লালে লাল হ’য়ে উদিছে নবীন/ প্রভাতের নবারুণ! /
আজ হৃদয়ের জমা-ধরা যত/ কবাট ভাঙিয়া দাও, /
রং-করা ঐ চামড়ার যত আবরণ/ খুলে নাও! /
আকাশের আজ যত বায়ু আছে/ হইয়া জমাট নীল, /
মাতামাতি ক’রে ঢুকুক্ এ বুকে,/ খুলে দাও যত খিল! /
সকল আকাশ ভাঙিয়া পড়ু-ক/ আমাদের এই ঘরে, /
মোদের মাথায় চন্দ্র সূর্য তারারা/ পড়–ক ঝ’রে। / "
এই কবিতায় চিত্রিত হয়েছে শ্রমিক ও মালিক শ্রেণীর বৈষম্যের কথা,বর্ণিত হয়েছে শ্রমিকের মর্যাদার কথা,উচ্চারিত হয়েছে তাদের ন্যায্য অধিকারের কথা,ব্যাখ্যা দেয়া আছে সমগ্র উন্নয়নে শ্রমজীবী মানুষের অবদানের কথা।কবিতার ভাষা, ভাব,বক্তব্য দেশ কালের সীমাকে অতিক্রম করে ধারণ করেছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণের বিষয়।কোন কবি তার কোন লেখা একটি দিবস বা বিষয়কে কেন্দ্র করে লিখেননি।তিনি রূপায়ন করেন তার অভিজ্ঞতা আর বাস্তবতার নিরিখে বিবেক ও দূরদর্শীতায় সৃজন সত্তার একেকটি সৃষ্টি কর্ম।বড় লেখক বা কবির সাফল্য হল তার সেই সৃষ্টি দেশ,কাল,জাতী গোষ্ঠিকে অতিক্রম করে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সম্পদে পরিণত হয়। অথবা সকল দেশ, সকল কাল,সকল সম্প্রদায়ের আবেগকে ধারণ করতে সক্ষম হয়। কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা ভাষার কবি,বাংলাদেশের জাতীয় কবি কিন্ত তার রচিত অনেক সৃষ্টিকর্ম সকল যুগের সকল দেশের সকল সময়ের আবেগকে ধারণ করতে সক্ষম বলেই আমাদের ধারণা।এই কবিতাখানি তারই একটি।এটি যেনো সারা পৃথিবীর শ্রমজীবী মানুষের হৃদয়ের না বলা কথার অনুরনন।নজরুল সাহিত্যে দারিদ্রপীড়িত মানুষের আর্তিযুক্ত অনেক পঙক্তিই রচিত হয়েছে।যা একজন সফল নজরুল গবেষক নজরুল সাহিত্যের অলিগলি চষে তা সনাক্ত করতে সক্ষম হবেন।তিনি গেয়েছেন মানবতার গান, গেয়েছেন সাম্যেরগান , গেয়েছেন শান্তির গান।অধিকার আদায়ে তার বিদ্রোহী কণ্ঠ ছিল স্বতন্ত্র।তার রচিত পঙক্তির আবেদন স্বদেশের সীমা অতিক্রম করে বিশ্ব মানচিত্রের সকলকেই আলোড়িত করে এবং করছে।তাই তার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে আমরা উদ্ধৃত করতে পারি
গাহি সাম্যের গান- /
যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান/ "
যেখানে মিশছে হিন্দু-বৌদ্ধ/-মুস্লিম-ক্রীশ্চান। /
গাহি সাম্যের গান!/ (সাম্যের গান) "আমরা বলতে চাই হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ খ্রীস্টান ছোট বড় জাতজ্ঞান ভুলে আমরা যখন সব মানুষকে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দিতে শিখব তখন ঘুচে যাবে সব ভেদাভেদ।
১ মে যেমন একটি দেশের একটি স্হানকে অতিক্রম করে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময় কবি কাজী নজরুল ইসলাম'র কাব্যাহবান ও নিজের দেশ জাতিকে অতিক্রম করে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ার সামর্থ রাখে তার কবিতার বক্তব্য। তিনি ডাক দিয়েছেন বিশ্ব মজলুম, বিশ্ব মানবতার পক্ষে।আমরা তা পাঠ করি অবাক বিস্ময়ে।অনুভব করি তার দূরদর্শীতা আর বিশ্ব মানবতার প্রতি দরদ ও প্রজ্ঞার গভীরতায় অবাক হই। তিনি বিবৃত করেন
"সকল কালের সকল দেশের/ সকল মানুষ আসি’ /
এক মোহনায় দাঁড়াইয়া শোনো/ এক মিলনের বাঁশী। /
একজনে দিলে ব্যথা- /
সমান হইয়া বাজে সে বেদনা/ সকলের বুকে হেথা। /
একের অসম্মান /
নিখিল মানব-জাতির লজ্জা-/সকলের অপমান! /
মহা-মানবের মহা-বেদনার/ আজি মহা-উত্থান, /
উর্ধ্বে হাসিছে ভগবান, নীচে/ কাঁপিতেছে শয়তান! /
মে দিবস যাদের জন্য,যে দাবী উত্থিত হয়েছে মে দিবসে নজরুল সৃষ্টির বিশাল অংশ জুড়েই আছে সে সব নিপীড়িত, নির্যাতিত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত মানুষের পক্ষ হয়ে উজ্জল পঙক্তি। কুলি মজুর সেসব রচিত সৃষ্টি সমুহের নক্ষত্রতুল্য একটি।কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বহুমাত্রিক লেখক। জীবনের সকল বিষয়েই লিখেছেন দুর্বার গতীতে।চলার পথে নজরুল পাঠ যেন অনিবার্য হয়ে দেখা দেয় বারবার।তার বিস্তৃত সৃষ্টি সমুহে শ্রমজীবি মানুষের জন্য আরো যেসব অপরিহার্য্য সৃষ্টির আলোক রশ্মি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তা বিশ্ব দরবারে বিষয় ভিত্তিকভাবে উপস্হাপন করা নজরুল প্রেমিক, নজরুল গবেষকদের জন্য আবশ্যিক হয়ে দেখা দিয়েছে। তার সৃষ্টির গভীরে গ্রন্থিত রস আস্বাদনের জন্য নজরুল সাহিত্য পাঠ এখন সাহিত্যের অনিবার্য অনুসঙ্গ।