আজ থেকে বন্ধ ২০ লাখের বেশি সিম

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: অবৈধ প্রায় ২১ লাখ সিম কার্ডের সংযোগ বৃহস্পতিবার রাতের (রাত ১২টা) জিরো আওয়ার থেকে বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। সকালের মধ্যে সব সিম বন্ধ হয়ে যাবে।। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে সংযোগ বন্ধ করার এই খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির অধিক নিবন্ধিত থাকা মোবাইল সিমগুলো করে দেয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল বিটিআরসি। কিন্তু বিটিআরসি দেখেছে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে নিবন্ধন হওয়া অতিরিক্ত সিমের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এজন্য অতিরিক্ত সিম কমিয়ে ফেলতে বিটিআরসি তৈরি করেছে ‘সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম।’
সংস্থার সিনিয়র পরিচালক জাকির হেসেন খান পিবিএ-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “আইন অনুযায়ী এই সিমগুলো বাজারে থাকতে পারে না। তাই এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।”
বিটিআরসির পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ১৫টির বেশি নিবন্ধন করা হয়েছে এমন সিমের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯২৭টি। এগুলো বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, ‘নিরাপদে মোবাইল সিম ব্যবহারে এ প্রচেষ্টা আরও গ্রাহক বান্ধব হবে এবং এ খাত অধিকতর সুশৃঙ্খল হবে। আশা করছি এর ফলে জনসাধারণ নির্বিঘ্নে উন্নত টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণ করতে পারবে।’
বন্ধ হতে যাওয়া সিম কার্ডগুলোর মধ্যে গ্রামীণফোনের ৪৬১,২৬১টি, বাংলালিংকের ৪৫৫,৮৩১টি ও রবির ৪১৯,২০২টি এয়ারটেলের ২২৫,৭৪১টি ও টেলিটকের ৪৮৭,৮৯২টি।
বিটিআরসির বক্তব্য, অবৈধ সিমের একটি তালিকা তারা আগেই তৈরি করেছিলেন। এই সিমগুলো ২৬ এপ্রিলের আগেই বন্ধ করে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বিটিআরসি একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম কার্ডের সীমা নির্ধারণ করে দেয়। তার আগে একজন সর্বোচ্চ ২০টি সিম কার্ড নিতে পারতেন।
তবে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটব সিম বন্ধ করতে সরকারের কাছে আরও দুই মাস সময় (২৬ জুন পর্যন্ত) চেয়ে আবেদন করেছে। অ্যামটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ স্বাক্ষরিত ওই আবেদনে সিম বন্ধ হলে গ্রাহকদের চারটি সমস্যা হবে উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো সিম বন্ধ হলে সংশ্লিষ্ট নম্বরের বিপরীতে খোলা মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব (মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস) বন্ধ হয়ে যাবে, অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক হিসাব বা ক্রেডিট কার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের (বিশেষত ফেসবুক) আইডি নিষ্ক্রিয় হবে এবং ওটিপি-ওভার দ্য টপ (বিভিন্ন অ্যাপস ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা) বাধাগ্রস্ত হবে। তবে বিটিআরসি তাদের এই আবেদন আমলে নেয়নি বলে জানিয়েছে।
ডিএস/এএইচ