মদ খেয়ে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে জখম
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানার একাধীক মাদক মামলার আসামী রুজুর বিরুদ্ধে মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার দুপুরে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হচ্ছেন, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের মৃত তক্কেল মন্ডালের ছেলে রায়হান (৬০) এবং তার আপন দুই ভাই করিম (৪০) ও রহিম (৩০)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের রায়হান বাড়ির পাশে বট গাছে গরু বেঁধে রাখে এ সময় কয়া গ্রামের আনারের ছেলে জীবননগর থানার একাধীক মাদক মামলার আসামী রুজু মাতাল অবস্থায় কাছে থাকা দেশীয় হাসুয়া দিয়ে গরুর দড়ি কেটে গরু ছেড়ে দেয়। রায়হান রুজুকে গরু ছেড়ে দেয়ার কারণ জিজ্ঞেস করায় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রুজুর কাছে থাকা হাসুয়া দিয়ে রায়হানের মাথায় কোপ মেরে মারাত্মক আহত করে। রায়হানের আর্ত চিৎকারে তার ভাই করিম ও রহিম বাড়ি থেকে ছুটে আসলে মাতাল রুজু সহ তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন ভারতীয় তারকাটা ও হাসুয়া নিয়ে তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং হাসুয়া দিয়ে তাদের মাথায় ও শরীরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে আহতদের অবস্থা খারাপ দেখে রুজুসহ তার সঙ্গীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আহতদের আসংঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় জনগণ উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাদের তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠান ।
আহত রায়হান অভিযোগ করেন, রুজুর সাথে আমাদের কোন দ্বন্দ্ব নেই, তা ছাড়া সে একজন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় ভয়ে তার সাথে কেউ কোন কথা বলতে চায়না। সে হঠাৎ আমার গরু বাধা থাকা অবস্থায় দড়ি কেটে দেবার কারন জিজ্ঞাসা করতেই সে মাতাল অবস্থায় তার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে আমার মাথায় কোপ মারে। আমার চিৎকার শুনে আমার ছোট দুই ভাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে রুজুর সাথে থাকা তার ভাই তুহিন, তোপার ছেলে মিনা, সনে, মিলনসহ বেশ কয়েকজন আমার ভাইদের উপর উপর হামলা করে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রুজুর নামে জীবননগর থানা সহ পার্শ্ববর্তী থানায় একাধীক মাদক মামলা আছে। ভারতীয় তাঁরকাটা কেটে বিশেষ কৌশলে বাংলাদেশে গরু আনায় সে সীমান্ত এলাকায় কালা মানিক নামে পরিচিত লাভ করেছে। এদিকে মাদক সম্রাট রুজু দিনদুপুরে জনসম্মুক্ষে তিন জনকে কুপিয়ে আহত করে কয়া গ্রামে তার সঙ্গীরা মিলে হাসুয়া নিয়ে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াতে দেখে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন বলেন, কয়া গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে এটি আমি শুনে তাদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম, ততক্ষণ রোগীর অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় রোগীর পরিবারের লোকজন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।