মাদকাসক্তের বন্দি থেকে স্ত্রীকে উদ্ধার
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসদরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ওসমান মিয়ার সদ্য নির্মিত ৪তলা ভবনে মাদকাসক্ত ছেলের জিম্মি থেকে পুলিশ, মাদক নিরাময় কেন্দ্রের কর্মী, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় কৌশলে তার স্ত্রী জেরিন তাসনিমকে উদ্ধার করে ও মাদকাসক্ত ফারুককে আটক করে। পরে কিশোরগঞ্জ মাদকনিরাময় কেন্দ্রের লোকজন চিকিৎসার জন্য তাকে কিশোরগঞ্জ নিয়ে যায়।
জানা যায়, শনিবার সকাল ৮টায় ফারুক মিয়া তার বাবাকে মোবাইল ফোনে এক লক্ষ টাকা চায়। নেশাগ্রস্থ ছেলেকে টাকা না দিলে সে তার দ্বিতীয় স্ত্রী জিরিনকে মারধর করে একটি রুমে বন্দী করে রাখে এবং নিচে কলাপসেবল গেইটে ভিতর থেকে তালাবদ্ধ করে রাখে। ফলে উক্ত ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি এনজিও অফিসের কর্তকর্তাগণও জিম্মি হয়ে পড়ে। কটিয়াদী পৌরসভার কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন ও কটিয়াদী থানার এসআই আবুল কালাম ঘটনাস্থলে আসলে মাদকাসক্ত ফারুক আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সে উপর থেকে হুমকি দিয়ে বলে টাকা না দিলে তার স্ত্রীকে মেরে ফেলবে। মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন বলেন, ইতি পূর্বে মাদকাসক্ত সন্তানের হাতে মুক্তিযোদ্ধা পিতা নির্মম ভাবে খুন হয়েছে। যেভাবে মাদকের ছড়াছড়ি চলছে কখন যে কার বুক খালি হয় আল্লাহই জানেন। মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে একটি সামাজিক আন্দোলন ও জোরপুলিশি তৎপরতা প্রয়োজন। কটিয়াদী থানার ওসি জাকির রব্বানী বলেন, মাদক সেবনকারী ও বিক্রয়কারীদের সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য দিলেই মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। হোসেনপুর সার্কেল এডিশনাল এসপি জামাল উদ্দিন বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের জিরো টলারেন্স, তবে সরিষার ভিতরে ভূত আছে। সে কারণেই মাদক নির্মুল হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, তাদের সম্পর্কে তথ্যদিয়ে সহযোগিতা করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।