অসময়ের বৃষ্টিতে খুলনায় সঙ্কটে গম চাষ
খুলনা অফিস : খুলনায় কৃষকেরা যখন গম ও মসুরির ডাল বপনে ব্যস্ত ঠিক তখনই গত শুক্রবার থেকে একাধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এর ফলে খুলনায় গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে জেলার পাইকগাছায় গম চাষের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। এই বৃষ্টির ফলে মসুরির ডাল চাষাবাদে কোন প্রভাব না পড়লেও গম চাষে রয়েছে এর বিরূপ প্রভাব।
জানা গেছে, খুলনায় নবেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে গম ও মসুরির ডাল বপনের কার্যক্রম শুরু হয়। কাজ শুরুর পর হঠাৎ ডিসেম্বরের ৮ তারিখে শুরু হয় একাধারে বৃষ্টি। এই বৃষ্টি একাধারে ২-৩ দিন চলে। এদিকে খুলনার কৃষকেরা ব্যস্ত ধান কেটে ঘরে ওঠানোর কাজে। আরেকদিকে গম ও মসুরির ডাল বপনের জন্য ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে। এর মাঝে হঠাৎ বৃষ্টিতে তাদের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। খুলনায় এ বছর গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০ হেক্টর এবং মসুরির ডাল ১৪০ হেক্টর জমিতে। এই বপন কার্যক্রম চলবে আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে সাম্প্রতিক বর্ষায় বন্ধ রয়েছে এই বপন কার্যক্রম। তবে এই বৃষ্টির ফলে কোন ফসলের ক্ষতি হয়নি। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর বপনের পরিবেশ ফিরলে ফের গম ও মসুরির ডাল বপন করবেন কৃষকেরা। এ জন্য কৃষি বিভাগের বিকল্প কোন চাষাবাদ পদ্ধতি নেই। তবে যারা এই চাষাবাদ করতে না পারবে তারা আগেভাগেই বোরো ধান চাষ করবে বলেও জানা গেছে।
খুলনা খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল লতিফ বলেন, এ অঞ্চলে গম ও মসুরির ডাল বেশি চাষাবাদ হয় না। এ জন্য এগুলো নিয়ে তেমন চিন্তা ভাবনা নেই। তারপরেও এই বর্ষায় যারা ধান ও গম চাষাবাদ করতে পারবে না তারা বোরো চাষ করবে। আর এ মওসুমের ক্ষতি বোরোধানে কৃষকদের পুষিয়ে যাবে বলেও তিনি জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অনুসারে, খুলনায় এ বছর গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে বৃষ্টির আগ পর্যন্ত ১৭৭ হেক্টর জমিতে চাষ সম্পন্ন হয়েছে।
এর মধ্যে রূপসায় ২ হেক্টর, দিঘলিয়ায় ২ হেক্টর, ডুমুরিয়ায় ৫ হেক্টর, তেরখাদায় ১৫ হেক্টর, পাইকগাছায় ১৫০ হেক্টর এবং কয়রায় ৩ হেক্টর জমি। এদিকে মসুরির ডালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ হেক্টর জমিতে। অথচ ইতোমধ্যে ১০২ হেক্টর জমিতে এই চাষাবাদ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।