৭শ’ ৫০ টাকা বেতনের ২জন শিক্ষক দিয়ে চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়
শরীয়তপুর সংবাদদাতা : শিক্ষক নেতা পরিচয় দিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকে ২জন ভারাটিয়া শিক্ষক দিয়ে পরিচালনা করছেন ভেদরগঞ্জের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এহেন কাজটি করছেন ক্ষোদ ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ভারাটিয়া শিক্ষকদের বেতনও দিচ্ছেন তারা। বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে নেই কোন শিক্ষার্থী। মাসিক রির্টান দাখিল অনুযায়ী তৃতীয় শ্রেনীতে ৭ শিক্ষার্থী ও চতুর্থ শ্রেণীতে ৪জন শিক্ষার্থী দেখোনো হলেও বাস্তবে তা নেই। এতে বিদ্যালয়ের আশ পার্শে¦র এলাকায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে কোমলমতি শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। একাধিকবার বিদ্যালয়টিতে গিয়ে কোন কর্মরত শিক্ষকদের বিদ্যালয় পাওয়া যায়নি। তার পরেও বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজিরা খাতায় উপস্থিতির স্বাক্ষর রয়েছে পুড়ো মাসের। বিষয়টি ক্লাসটারের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা অফিসার জেনেও না জানার ভ্যান করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা আবু সায়েদ মাল ও সরজমিনে জানা যায়, সরকার প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয় বিহীন গ্রামে ১৫শ’ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প নামে ২০১০ সাল থেকে একটি প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পের অধিনে শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার দক্ষিন তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আবু সায়েদ মাল নামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর পর ২০১৪ সালের পহেলা জানুয়ারী থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। বিদ্যালয়টি পরিচালনার জন্য ইব্রাহীম খলিল নামের এক শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান ও মোশারফ হোসেনকে সহকারী শিক্ষকের অস্থায়ী ভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষকরা সপ্তাহের মধ্যে ৩ থেকে ৪দিন অনুপস্থিত থাকে। আর দুই জন ভাড়াটে (প্যারা) শিক্ষিকাকে মাসিক ৭৫০শ টাকা করে বেতন দিয়ে পরিচালনা করেন বিদ্যালয়টি।