টিকেট সিন্ডিকেটের অতি মুনাফার মানসিকতাই হাজীদের হয়রানির কারণ -সংসদে ধর্মমন্ত্রী
সংসদ রিপোর্টার: আকস্মীকভাবে রাজকীয় সৌদী সরকার একাধিকবার হজ্বে গমনকারীদের ক্ষেত্রে এন্ট্রি ফি ২ হাজার সৌদী রিয়াল আদায় বাধ্যতামূলক করায় হাজী পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়া কিছু হজ্ব এজেন্সি প্রতিবছর বিলম্বে বাড়ি ভাড়া করে। এ বছর হজ্বযাত্রী বৃদ্ধি, মোয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি এবং টিকেট সিন্ডিকেটের অতি মুনাফার মানসিকতার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করায় নির্ধারিত সময়ে বাড়ি ভাড়া সম্পন্ন করে। অতি মুনাফার মানসিকতার হজ্ব এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জামালপুর-২ আসনের সদস্য ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এসব কথা বলেন। একই প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, বিমান বাংলাদেশ এবং সৌদী অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স নিয়োজিত টিকেটিং এজেন্সিগুলো কোন হজ্ব এজেন্সির কাছে কখন বা কতটি টিকেট বিক্রি করেছিল তার কোন তালিকা না পাওয়ায় কিছু সংখ্যক হজ্ব এজেন্সি ও তাদের হজ্বযাত্রীদের সময়মত বিমানে উড্ডয়নের বিষয়টি কাঙ্খিত মাত্রায় মনিটরিং করা সম্ভব হয়নি। সরকারের শতভাগ প্রচেষ্টা থাকা স্বত্ত্বেও নানাবিধ সমস্যার কারণে কিছু কিছু ত্রুটি দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত সরকারের প্রচেষ্টায় তা নিরসন হয়।
আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, হজে¦র নামে মানব পাচার বন্ধে হজ্ব এজেন্সিগুলোর প্রতি নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ই-হজ¦ সিস্টেম প্রবর্তন হওয়ায় হজে¦র নামে মানব পাচার শূন্যের কোটায় নেমে আসছে বলেও জানান তিনি।