রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের কোনও সুযোগ নেই
সংসদ রিপোর্টার : রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের কোনও সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। মাঠের বিরোধীদল বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের কোনও সুযোগ নেই। যারা আসছেন, তাদের ফিরে যেতে হবে। এসময় তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয়ের জন্য কক্সবাজারের উখিয়াতে ২ হাজার একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান। মন্ত্রী বলেন, সেখানে তাদেরকে খাদ্য এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে কামাল আহমেদ মজুমদারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘গত ২৫ আগস্ট থেকে ১৫/১৬ দিনে মিয়ানমার থেকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা আমাদের দেশে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুরো কক্সবাজার এলাকা ঘুরে এসেছি। কি অবর্ণনিয় অবস্থা তাদের। স্বচোখে না দেখলে বুঝা যাবে না। এই মানুষগুলোকে আমরা কি করবো। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চুপ করে থাকেননি। তিনি বলেছেন তাদের কোথায় রাখা যায় দেখ।’
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেমন জনগণের বন্ধু ছিলেন, শেখ হাসিনাও জনগণের বন্ধু। এই রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরাও যদি ওই রকম আচারণ করতাম তাহলে কি হতো? কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা তাদেরকে সাময়িক আশ্রয় দেবো, খাওয়ার ব্যবস্থা করবো, চিকিৎসা দেবো। কূটনৈতিক ভাবে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।’
তিনি বলেন, এরইমধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ায় ২৪ হাজার রোহিঙ্গা রেজিষ্ট্রেশন হয়েছে। আশপাশে আরো রোহিঙ্গা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমরা উখিয়াতে ২ হাজার একর জায়গা চিহ্নত করেছি। সেই জায়গায় তাদের সাময়িকভাবে রাখবো। মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, স্বদ্বীপের কাছে ঠেঙ্গারচর, যেটার নাম দেওয়া হয়েছে ভাসান চর। সেখানে ১০ একর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের রাখবো। কক্সবাজারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের সবাইকে এক জায়গায় এনে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। তারা বার্মার নাগরিক তাদের ফিরিয়ে যাওয়ার জন্য দেশী আন্তর্জাতিকভাবে চেষ্টা করবো। তবে এনিয়ে কেউ ঘোলা পানিত মাছ শিকার করার চেস্টা করবেন বলেও দাবি করেছেন মন্ত্রী।
ভূমিকম্প ঝুঁকিতে ঢাকার ৩২১ ভবন : ঢাকা মহানগরীতে ৩২১ টি ভবন ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী। এ কে এম রহমতুল¬াহ’র এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এতথ্য জানান। সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ২১২ টি এবং দক্ষিণে ১০৯ টি ভবন ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে।