জ্যামাইকার মাটিতে বোল্টের শেষ জয়

জ্যামাইকার মাটিতে শেষ দৌড়টি দিয়ে ফেললেন গতি মানব উসাইন বোল্ট। আর এর মাধ্যমে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বোল্ট ভক্তদের কাছ থেকে পেয়েছেন আবেগঘন বিদায়। বিদায়বেলায় অবশ্য নিজের ফেবারিট ইভেন্ট ১০০ মিটারে শেষবারের মত বিজয়ীর মুকুটটাও মাথায় নিয়ে গেছেন। ২০০২ সালে এই ট্র্যাকেই ওয়ার্ল্ড জুনিয়র আসরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুর করা বোল্টকে বিদায় জানাতে ৩০ হাজার ভক্ত-সমর্থকও যেন আবেগে মুষড়ে পড়েছিল।৩০ বছর বয়সী বোল্ট ঘরের মাঠের পরিচিত ট্র্যাকে শেষবারের মত রেসার্স গ্র্যান্ড প্রিকে বিজয়ী হতে সময় নিয়েছেন ১০.০৩ সেকেন্ড। কিংবদন্তীকে বিদায় জানাতে এই দৌড়ের নাম দেয়া হয়েছিল ‘স্যালুট টু লিজেন্ড’। আগামী আগস্টে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপের পরে অবসরের ঘোষনা দেয়া বোল্ট বলেছেন, ‘আমার মনে হয়না আজকে ১০০ মিটারে দৌড়াতে আমার যতটা নার্ভাস লেগেছে তা আগে কখনো হয়েছে। এটা শুধুমাত্র আজকে এখানকার পরিবেশ ও মানুষদের জন্যই এমনটা হয়েছে। যে ধরনের সমর্থন তারা আমাকে পুরোটা সময় দিয়েছে তা সত্যিই নার্ভাস হবার মতই।’ প্রতিযোগিতা শেষ করে বোল্ট ট্র্যাকে ফিরে এসে ৫নং লেনকে চুমু দিয়ে দাঁড়িয়ে শেষবারের মত তার স্বভাবসুলভ লাইটিং-বোল্ট পোজ দিয়েছেন। এ সময় বোল্ট বলেন, এর কোন ভাষা নেই। নয়বারের অলিম্পিকের স্বর্নজয়ী বোল্ট গতকাল সন্ধ্যায় ১০০ মিটারে নিজের দ্রততম দৌড় দৌঁড়াতে পারেননি। কিন্তু তাতে মোটেই হতাশ নন সমর্থকরা। হাজার হাজার সবুজ-হলুদ জ্যামাইকান সমর্থকদের সামনে অনেকটা হেসে খেলেই বিজয়ী হয়েছেন বোল্ট। পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে তখন সমর্থকদের নাচ, গান আর ভুভুজেলার আওয়াজে মুখরিত ছিল। বাসস।