রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

অবিস্মরণীয় সাফল্যে রিয়াল মাদ্রিদ

নাজমুল ইসলাম জুয়েল : বিয়াল মাদ্রিদ যেন অন্য গ্রহের ফুটবল খেলছে। অনেক আশংকা আর অসত্যকে ভুল প্রমাণ করে ৩ জুনের ফাইনাল জিতে নিল জিনেদিনে জিদানের শীষ্যরা। ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে শিরোপা ধরে রাখলো স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। এ নিয়ে আসরের শিরোপার ডজন পুরো হলো তাদের। ওয়েলসের কার্ডিফে অনুষ্ঠিত ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ ইতালির জুভেন্টাসকে হারায় ৪-১ গোলের ব্যবধানে। প্রথমার্ধে ১-১ গোলে সমতা থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে খেই হারিয়ে ফেলে জুভেন্টাস। খেলার এক ঘণ্টা পর্যন্ত সমতা বজায় ছিল। এরপরে ৬১ মিনিটের সময় কাসেমিরো গোলের গেরো খোলেন। এর তিন মিনিট বাদেই ফের রোনালদোর গোল। জুভেন্টাস সমর্থকদের মাথায় হাত ওঠে তখনই। এর অহেতুক লাল কার্ড দেখে বহিষ্কৃত হন জুভেন্টাসের হুয়ান কুয়াদরাদো। ফলে তাদের খেলায় ফেরার সম্বাবনা ক্ষীণ হয়ে আসে। শেষ মুহুর্তে মার্সেলোর অসাধারণ ক্রস থেকে গোল করে জুভেন্টাসের কফিনে শেস পেরেক ঠুকেন আসেনসিও। আর ইতালিয়ান ক্লাবের পক্ষে প্রথমার্ধের ২৭ মিনিট অসাধারণ ব্যাক ভলিতে গোলটি করেছিলেন মারিও মানজুকিচ। ট্রেবল শিরোপা জেতা হলো না জুভেস্টাসের। তবে মওসুমে ডাবল শিরোপা জিতলো রিয়াল মাদ্রিদ। দুই গোল করে ম্যাচসেরা হন রোনালদো। এটা রিয়াল মাদ্রিদের দ্বাদশ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শিরোপা যা রেকর্ড। আর জুভেন্টাস এ নিয়ে সাতবার ফাইনালে হারলো যাও একটি রেকর্ড। এখন যেন চলছে রেকর্ডের ছড়াছড়ি।
রিয়াল ফাইনালে হারে না
এখন যেন নতুন দিনের সূচনা হয়েছে। সমর্থকরা এখন বলতেই পারেন- ফাইনালে হারে না রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপিয়ান ফুটবলের শীর্ষ আসর ইউরোপিয়ান কাপ কিংবা ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে তারা এ পর্যন্ত মোট সর্বাধিক ১৫ বার ফাইনালে উঠেছে। এতে তারা সর্বাধিক ১২বার শিরোপা জিতেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগ যুগে (১৯৯২ থেকে) তারা ফাইনালে উঠেছে সর্বাধিক ছয়বার। এরমধ্যে একবারও ফাইনালে হারেনি স্পেনের ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের যুগে তারা ১৯৯৭-৯৮, ১৯৯৯-২০০০ ও ২০০১-০২ মৌসুমে শিরোপা জয়ের পর সর্বশেষ চার মৌসুমে জিতলো তিন শিরোপা। ২০১৩-১৪ মৌসুমে কোচ কার্লো আনচেলত্তির অধীনে নিজেদের দশম শিরোপা জেতে তারা। এরপর জিনেদিনে জিদানের অধীনে টানা দুই মৌসুম শিরোপা জিতলো মাদ্রিদের ক্লাবটি। ইউরোপিয়ান লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ সর্বশেষ ফাইনালে হেরেছিল ১৯৮১ সালে। সেবার ফাইনালে লিভারপুলের কাছে হারে ১-০ গোলে। এরপর ৩৬ বছর ফাইনালে হার তাদের স্পর্শ করেনি। চ্যাম্পিয়ন্স লীগ যুগে পাঁচবার ফাইনালে খেলেছে স্পেনের আরেক ক্লাব বার্সেলোনা। কিন্তু শিরোপা জিতেছে চারবার। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমের ফাইনালে তারা হেরে যায় এসি মিলানের কাছে। অন্যদিকে ইতালির ক্লাব এসি মিলান ফাইনালে খেলেছে রিয়াল মাদ্রিদের সমান ৬ বার। কিন্তু এরমধ্যে শিরোপা জিতেছে তিনবার।
জুভেন্টাসের ফাইনাল ট্র্যাজেডি
এবার যদি ফাইনালে শিরোপা খরা কাটে, এমন প্রত্যাশা নিয়েই মাঠে নামে জুভেন্টাস। যদি বলা হয় রিয়াল মাদ্রিদ ফাইনালে হারে না, তাহলে বলতে হয় জুভেন্টাস ফাইনালে পারে না। ১৯৯২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ শুরু হওয়ার পর দুই দলই সমান সর্বোচ্চ ৬ বার করে ফাইনালে খেলেছে। কিন্তু ফলাফল সম্পূর্ণ বিপরীত। স্পেনের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ প্রতিবার ফাইনালে জিতলেও ইতালির ক্লাব জুভেন্টাস জিতেছে মাত্র একবার। হেরেছে পাঁচবার। সেটা ছিল ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে। এরপর ১৯৯৬-৯৭, ১৯৯৭-৯৮, ২০০২-০৩ ও ২০১৪-১৫ এরপর সর্বশেষ ২০১৬-১৭ মৌসুমের ফাইনালে হারলো জুভেন্টাস। ইউরোপিয়ান আসরে সর্বোচ্চ ৭ বার ফাইনালে হেরেছে জুভেন্টাস। মোট ৯ বার ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতেছে মাত্র দুবার। তাদের প্রথম শিরোপা ছিল ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে। আর সর্বশেষ ২০১৬-১৭ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ফাইনালে তারা হারলো ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে। 
অবিশ্বাস্য রেকর্ড
অনেক রেকর্ডের মাঝে আরো বেশকিছু রেকর্ড হয়েছে। ইতালিয়ান দলগুলোর রক্ষণভাগ বিশ্বসেরা। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ২০১৬-১৭ মৌসুমের ইতালির ক্লাব জুভেন্টাসের মাঝমাঠকে বলা হচ্ছিল, দুই কোরিয়ার সীমান্ত রেখা। রক্ষণভাগকে বলা হচ্ছিল চীনের প্রাচীর। আর গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন ছিলেন সিসা ঢালা কঠিন প্রাচীর। জুভেন্টাসের জাল ভেদ করতে হলে প্রথমেই বিশ্বের সবচেয়ে নিচ্ছিদ্র কোরিয়া সীমান্ত পার হতে হবে। তারপর চীনের প্রাচীর। আর সর্বশেষ থাকে বুফনের সিসা ঢালা প্রাচীর। এমন কথার সত্যতা পাওয়া যায় পুরো আসরের ফলাফল ও গোলের হিসাবের দিকে তাকালে। এবার একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে ওঠে তারা। ফাইনালের আগে পুরো আসরে ১২ ম্যাচে হজম করে মাত্র ৩ গোল! গ্রুপপর্বে লিঁও ও সেভিয়ার কাছে একটি করে গোল হজমের পর সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে মোনাকোর কাছে খায় এক গোল। নকআউটপর্বে সেটা ছিল তাদের একমাত্র গোল হজম। কোয়ার্টার ফাইনালে দুই লেগের ১৮০ মিনিটে বার্সেলোনার মতো দল বুফনকে পরাস্ত করতে পারেনি। যে দলে রয়েছে ‘এমএনএস’খ্যাত লিওনেল মেসি, নেইমার ও লুইস সুয়ারেজের মতো ফরোয়ার্ডরা। উল্টো বার্সেলোনা হজম করে ৩ গোল। এমন অপ্রতিরোধ্য চেহারা নিয়ে ফাইনালে ওঠে জুভেন্টাস। কিন্তু শিরোপার লড়াইয়ে জুভেন্টাসের এসব প্রতিরোধ কোনো কাজেই এলো না। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এক ম্যাচেই হজম করলো চার গোল। হারলো ৪-১ গোলের ব্যবধানে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে কোনোভাবেই রুখতে পারলেন না বুফন। ইতালিয়ান এ গোলরক্ষকের বিপক্ষে ফের জোড়া গোল করলেন রোনালদো। এমন কি এদিন রোনালদোর প্রথম শটেই পরাস্ত হন বুফন। কার্ডিফের ফাইনালে প্রথমার্ধে দারুণ খেলে জুভেন্টাস। ৪৫ মিনিটে রিয়ালের গোলমুখে অনটার্গেটে তারা ৪ শট নেয়। এরমধ্যে একটি গোলে পরিণত করেন মারিও মানজুকিচ। অন্যদিকে জুভেন্টাসের গোলমুখে অনটার্গেটে মাত্র একটি শট নিতে পারে রিয়াল। সেই একমাত্র শটে গোল করেন রোনালদো।  
অনন্য গৌরব জিদানের
খেলোয়াড় জিদানের পর কোচ জিদানের কীর্তি দেখল ফুটবল দুনিয়া। নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন জিনেদিন জিদান। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদকে টানা দুই শিরোপা জিতিয়েছেন তিনি। রিয়ালে তার কোচিং ক্যারিয়ার ৫১২ দিনের। এরমধ্যে দুই চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, এক লা-লিগা, এক ইউয়েফা সুপার কাপ ও এক ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে দলকে দুই মৌসুম কোচিং করিয়ে দুই শিরোপা জিতেছেন। ফুটবল ইতিহাসে খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা জয়ের সপ্তম নজির স্থাপন করেছেন জিদান। খেলোয়াড় হিসেবে তিনি রিয়ালের হয়ে ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা জেতেন। আর কোচ হিসেবে জিতলেন সর্বশেষ দুই মৌসুমে। তাকে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে আপনি কি এখন বিশ্বের সেরা কোচ? জবাবে ফ্রান্সের এ কিংবদন্তি বলেন, ‘না, না, আমি বিশ্বসেরা কোচ নই।’ ক্লাবের এমন অর্জনের জন্য খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ দিলেন তিনি। জিদান বলেন, ‘এটা আমাদের দারুণ একটি বছর। আমি ক্লাবের সব খেলোয়াড়কে অভিনন্দন জানাতে চাই। তাদের কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতায় এমন জয় সম্ভব হয়েছে। আমি খুশি। আমি এটা দেখাতে পারছি না। কিন্তু ভেতরে ভেতরে আমি সন্তুষ্ট।’
বুফনের হতাশার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
এবারে আর কাটলনা শিরোপা খরা। ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন। ইতালি ও জুভেন্টাসের গোলবারের নিচে তিনি যেন চীনের প্রাচীর। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার লিওলেন মেসি বুফনের বিপক্ষে খেলেছেন ৩ ম্যাচ। কিন্তু তাকে একটি গোলের সুযোগও দেননি বুফন। তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিপক্ষে। রিয়াল মাদ্রিদের এ পর্তুগিজ তারকার বিপক্ষে বরাবরই অসহায় বুফন। এখন পর্যন্ত কোন ম্যাচেই তাকে ঠেকাতে পারেননি জুভেন্টাসের গোলরক্ষক। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে বুফনকে দু’বার পরাস্ত করেন রোনালদো। বুফনের বিপক্ষে এই নিয়ে পাঁচ ম্যাচ খেললেন রোনালদো। এতে তিনি করেছেন ৭ গোল। বুফনের বিপক্ষে সর্বপ্রথম রোনালদো মুখোমুখি হন ২০১৩-১৪ চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপপর্বে। প্রথম দেখাতেই বুফনকে দু’বার পরাস্ত করেন। একই মৌসুমে ফিরতি লেগেও বুফনের হাতকে ফাঁকি দেন রোনালদো। এরপর ২০১৪-১৫ মৌসুমে সেমিফাইনালে দুই লেগেই জুভেন্টাসের বিপক্ষে গোল করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আর শনিবার বুফনকে আরো দুইবার পরাস্ত করেন রিয়ালের এ তারকা। খেলা শেষে বুফন বলেন, আমরা ভেবেছিলাম এ খেলায় জেতার জন্য আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী। এটা সত্যিই হতাশাজনক। আমি ব্যাখ্যা করতে পারবো না কেন দ্বিতীয়ার্ধে আমরা এমন বাজে খেললাম। রিয়াল মাদ্রিদ তাদের সামর্থ্য দেখালো। যোগ্য দল হিসেবেই তারা জিতেছে। তবে আমি মনে করি না এখানেই জুভেন্টাসের শেষ। আগামীবার ফের চেষ্টা করবো।
ইউরোপিয়ান আসরে সর্বাধিক শিরোপা
দল        শিরোপা        ফাইনাল
রিয়াল মাদ্রিদ (স্পেন)    ১২    ১৫
এসি মিলান (ইতালি)    ৭    ১১
বায়ার্ন মিউনিখ (জার্মানি)    ৫    ১০
বার্সেলোনা (স্পেন)    ৫    ৮
লিভারপুল (ইংল্যান্ড)    ৫    ৭
চ্যাম্পিয়ন্স লীগ যুগে সর্বাধিক শিরোপা
দল    শিরোপা    ফাইনাল
রিয়াল মাদ্রিদ (স্পেন)    ৬    ৬
বার্সেলোনা (স্পেন)    ৪    ৫
এসি মিলান (ইতালি)    ৩    ৬
বায়ার্ন মিউনিখ (জার্মানি)    ২    ৫
ম্যানইউ (ইংল্যান্ড)    ২    ৪
সর্বশেষ ১০ মৌসুমের ফাইনাল
মৌসুম    চ্যাম্পিয়ন    রানার্স আপ    ফল
২০০৭-০৮    ম্যানইউ    চেলসি    ১-১ (৬-৫)
২০০৮-০৯    বার্সেলোনা    ম্যানইউ    ২-০
২০০৯-১০    ইন্টার মিলান    বায়ার্ন মিউনিখ    ২-০
২০১০-১১    বার্সেলোনা    ম্যানইউ    ৩-১
২০১১-১২    চেলসি    বায়ার্ন মিউনিখ    ১-১ (৪-৩)
২০১২-১৩    বায়ার্ন মিউনিখ    ডর্টমুন্ড    ২-১
২০১৩-১৪    রিয়াল মাদ্রিদ    অ্যাটলেটিকো    ৪-১
২০১৪-১৫    বার্সেলোনা    জুভেন্টাস    ৩-১
২০১৫-১৬    রিয়াল মাদ্রিদ    অ্যাটলেটিকো    ১-১ (৫-৩)
২০১৬-১৭    রিয়াল মাদ্রিদ    জুভেন্টাস    ৪-১
রিয়াল মাদ্রিদের ১৫ ফাইনাল
১২ শিরোপা
১৯৫৬, ১৯৫৭, ১৯৫৮, ১৯৫৯, ১৯৬০, ১৯৬৬, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০২, ২০১৪, ২০১৬, ২০১৭।
৩ রানার্স আপ
১৯৬২, ১৯৬৪ ও ১৯৮১
জুভেন্টাসের ৯ ফাইনাল
২ শিরোপা
১৯৮৫ ও ১৯৯৬
৭ রানার্স আপ
১৯৭৩, ১৯৮৩, ১৯৯৭, ১৯৯৮, ২০০৩, ২০১৫, ২০১৭
খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা
মিগুয়েল মুনোজ
খেলোয়াড় : ১৯৫৬ ও ১৯৫৭ (রিয়াল), কোচ : ১৯৬০ ও ১৯৬৬ (রিয়াল মাদ্রিদ)
জিওভানি ত্রাপাতোনি
খেলোয়াড় : ১৯৬৩ ও ১৯৬৯ (এসি মিলান), কোচ : ১৯৮৫ (জুভেন্টাস)
ইয়োহান ক্রুয়েফ
খেলোয়াড় : ১৯৭১, ১৯৭২ ও ১৯৭৩ (আয়াক্স), কোচ : ১৯৯২ (বার্সেলোনা)
কার্লো আনচেলত্তি
খেলোয়াড় : ১৯৮৯ ও ১৯৯০ (এসি মিলান), কোচ : ২০০৩ ও ২০০৭ (এসি মিলান) এবং ২০১৪ (রিয়াল মাদ্রিদ)
ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ড
খেলোয়াড় : ১৯৮৯ ও ১৯৯০ (এসি মিলান) এবং ১৯৯৫ (আয়াক্স), কোচ : ২০০৬ (বার্সেলোনা)
পেপ গার্দিওলা
খেলোয়াড় : ১৯৯২ (বার্সেলোনা), কোচ : ২০০৯ ও ২০১১ (বার্সেলোনা)
জিনেদিনে জিদান
খেলোয়াড়: ২০০২ (রিয়াল মাদ্রিদ), কোচ: ২০১৬ ও ২০১৭ (রিয়াল মাদ্রিদ)।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ