মতিঝিলে জনশক্তি অফিসে যুবলীগ নেতা খুন
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর মতিঝিলের একটি জনশক্তি অফিসে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্য খুন হয়েছেন। তার নাম মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫)। গতকাল সোমবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজান বলেন, ‘মতিঝিলের সিটি সেন্টারের পেছনের একটি ভবনের চারতলা থেকে চিৎকার শুনে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ সেখানে গিয়ে একটি জনশক্তি রফতানিকারক অফিসের ভেতর থেকে যুবলীগ সদস্য জাহাঙ্গীরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।’ বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীরকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট ভাই মো. জাহিদ জানান, তার ভাই যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ব্যবসায়ী। তাদের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। মতিঝিলের আরামবাগে তারা ভাড়া বাসায় থাকেন। বাবার নাম ইউনুস মোল্লা।
এসআই মিজান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ওই অফিসে আদম ব্যবসার লেনদেন নিয়ে জাহাঙ্গীর ও তার সঙ্গীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় জাহাঙ্গীরকে সবাই কিল-ঘুষি মারে। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তিনি মারা যান।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে কালচে দাগ রয়েছে। মুখে ঘুষির আঘাত রয়েছে। তবে শরীরের কোথাও রক্তক্ষরণ হয়নি।
মতিঝিল থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, আদম ব্যবসায়ীদের অফিসে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওমর ফারুক বলেন, ‘আজাদ ট্রেডিংয়ের মালিক আজাদের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর। আজাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক টাকা লেনদেন নিয়ে ঝামেলা ছিল খুরশেদ এবং ছেলে জিলানীর। বিকেলে মতিঝিলের সিটি সেন্টারের পেছনের একটি ভবনে তারা বিষয়টি নিয়ে বসেন। আজাদ তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীরকে এ বিষয়ে ডাকেন। এরই এক পর্যায়ে উত্তেজিত দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কাকির ঘটনা ঘটলে জাহাঙ্গীর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে জাহাঙ্গীরকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কর্তব্যরত চিবিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ তিনি জানান, ‘এ বিষয় নিয়ে আমরা খোঁজ খবর রাখছি। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’