শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দেশে আর কোন ৫ জানুয়ারির মত অবৈধ নির্বাচন হতে দেয়া হবে না

খুলনা অফিস : দলীয় কর্মসূচি পালন করতে না দিয়ে এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন পীড়ন চালিয়ে দেশে আর কোন ৫ জানুয়ারির মত অবৈধ নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন খুলনা বিভাগীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ। কুষ্টিয়া ও নড়াইলে বিএনপির প্রতিনিধি সভার অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদে রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে খুলনা বিভাগীয় বিএনপির প্রেস ব্রিফিংয়ে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি সব সময় শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিশ্বাস করে। রোববার খুলনা বিভাগের নড়াইল ও কুষ্টিয়া জেলায় বিএনপির প্রতিনিধি সভা করার জন্য পূর্ব অনুমতি দিয়েও শনিবার দিবাগত রাত ১০টায় অনুমতি প্রত্যাহার করে নিয়ে পুলিশ আওয়ামী পেটোয়া বাহিনীর ভূমিকা নিয়েছে। তারা এখন মৃত নেতাকর্মীদের নামেও মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দেশের বর্তমান রাজনীতি, দলের অবস্থান ও ঐক্য সম্পর্কে দলের তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিনিধি সভা চলছে। ২২ এপ্রিল থেকে সারা দেশের ৭৭টি সাংগঠনিক জেলায় এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু ৩ মে ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর মেয়র আব্দুল করিম মিন্টুর ইন্ধনে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বিএনপি চেযারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মশিউর রহমান, সাবেক এমপি আব্দুল ওহাবসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ জেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক আরিফুল হকসহ ৮ ছাত্রদল যুবদল কর্মীকে আটক করেছে।
খুলনায় নবগঠিত যুবদলের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল করতে গিয়ে এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে গিয়ে পুলিশী হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে। ন্যক্কারজনক বিষয় হলো, এক বছর আগে ইন্তিকাল করা স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তফা আরিফ সিদ্দিকী শুভও পুলিশের মামলায় আসামী হয়েছেন।  প্রেস ব্রিফিং থেকে বিভাগের বাকি ৭ জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাধাহীনভাবে, পালন, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন-বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কেসিসির মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জেলা সভাপতি এডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, ডা. গাজী আব্দুল হক, সিরাজুল ইসলাম, স ম আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, শেখ আব্দুর রশিদ, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, শাহিনুল ইসলাম পাখী, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, কামরুজ্জামান টুকু, আশরাফুল আলম নান্নু, মুর্শিদ কামাল, কে এম হুমায়ুন, একরামুল হক হেলাল, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, রবিউল ইসলাম রবি, মোস্তফা আমির ফয়সাল, শরিফুল আনাম প্রমুখ।

বিএনপিকে বাদ দিয়ে সরকারের পাতানো
নির্বাচন করতে দেয়া হবে না
- রুহুল কবির রিজভী
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপিকে বাদ দিয়ে সরকারের পাতানো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। দেশে অরাজকতা, গুম, খুন বৃদ্ধি পেলেও সরকারের কোন মাথা ব্যথা নেই। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদেরকে পুলিশ ও র‌্যাব পরিবারের সদস্যদের সামনে থেকে তুলে নিয়ে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করছে। পরে নদীতে, খালের পাড়ে ও রাস্তার পাশে লাশ পাওয়া যাচ্ছে। চীনের কাছ থেকে দুটি সাব মেরিন কেনার পরেই ভারতের গায়ে জ্বালা ধরে। তারা প্রতিরক্ষা চুক্তির নামে তাদের দেশের সেকেলে ও মরিচা ধরা ভোথা অস্ত্র বাংলাদেশের কাছে বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। ৫০ কোটি ডলারের ঋণ মঞ্জুর করেছে তাদের মজুদকৃত পুরাতন ও অকেজো অস্ত্র বিক্রির জন্য। যা পর্যাক্রমে সুদসহ ফেরত দিতে হবে। ভারতের মেঘালয়ের বিষাক্ত পানিতে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিন জেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। ধান বিনষ্ট, মাছ ও হাঁস মারা যাচ্ছে। ঐ অঞ্চলের মানুষকে অর্ধাহার ও অনাহারে রেখে প্রধানমস্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে নগ্ন পায়ে সমুদ্র বিহারে মেতে উঠেছেন। ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করলেও এদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন প্রতিবাদ করে না। বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শনিবার রাত ৮টায় খুলনায় প্রতিনিধি সম্মেলন শেষে ঢাকায় ফেরার পথে ফুলতলার নতুনহাট এলাকায় অনুষ্ঠিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক  ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিন মিঠুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ২০১৪-১৫ সালে ফুলতলা এলাকায় সরদার আলাউদ্দিন মিঠুর নেতৃত্বে সরকার বিরোধী আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি আগামীতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাপ্পি, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম তুহিন,  বিএনপি নেতা খান জুলফিকার আলী জুলু, লুৎফর রহমান শেখ, সৈয়দ ফজলুল হক সেলিম, কামাল হোসেন সাচ্চু, আকতার মাহমুদ, শেখ বখতিয়ার হোসেন, মোল্যা কামরুল ইসলাম, সৈয়দ আল সাকিল, জুয়েল ভূঁইয়া প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ