শনিবার ০২ ডিসেম্বর ২০২৩
Online Edition

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কেমন করবে বাংলাদেশ?

-নাজমুল ইসলাম জুয়েল 
বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন অন্য যে কোন খেলার চেয়ে আলাদা। সেখানে জায়গাটা দিনে দিনে পোক্ত হচ্ছে। এর আগে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোয়ালিফাই করার প্রথম যে চ্যালেঞ্জটা ছিল সেখানে জিতেছে বাংলাদেশ। এবার দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মাঠে নেমে প্রমাণের পালা। নতুন হিসেবে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে এখন শুধুমাত্র ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংক্ষিপ্ত সংক্ষরণ টোয়েন্টি-২০ তে নতুন কাপ্তানীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। এছাড়া ক্রিকেটারদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি বাড়ানো হয়েছে। নতুন দায়িত্বের পাশাপাশি বেতন বোনাস বৃদ্ধির পর প্রথমে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এরপরই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে নামবে লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। গত দুই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আসলে বলা যেতে পারে সুযোগ পায়নি। আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা আট দল নিয়ে এ টুর্নামেন্ট আয়োজন শুরুর পর থেকেই দর্শক হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সে কারণে ২০০৯ ও ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা হয়নি।
এবার ফিরছে বাংলাদেশ মর্যাদার এ টুর্নামেন্টে। বিশ্বের সেরা আট দলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৭ নম্বরে। ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ র‌্যাঙ্কিংয়ে অন্তত আট নম্বরে থাকার প্রয়োজন ছিল। বাংলাদেশ দল সেখানে ৭ নম্বরে উঠে যায়। এখন পর্যন্ত সেই অবস্থান অটুট রেখেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারেরও ফেরার লড়াই। নিজেদের যোগ্যতা ও সামর্থ্য প্রমাণের লড়াই। সেই লড়াইটার আগেই দলে ফেরা ক্রিকেটাররা সুযোগ পাচ্ছেন নিজেদের প্রমাণ করার। আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে খেলবে দল। অনেক আলোচনা-সমালোচনার পর সেই দলে ফিরেছেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। সেখানে ভাল করতে পারলে নাসির সুযোগ করে নেবেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও। কারণ মূল দলে না থাকলেও আছেন স্ট্যান্ডবাই হিসেবে। এছাড়া দলে ফিরেছেন দুই পেসার রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলামও। এ তিনজনের লড়াই হবে নিজেদের ফিরে পাওয়ার। আয়ারল্যান্ডে গিয়ে তিন জাতি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ওই দলে আছেন নাসির। ঘরোয়া ক্রিকেটে সম্প্রতি দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখানোয় এ অলরাউন্ডারকে আয়ারল্যান্ড সফরের দলে নেয়া হয়েছে। কিন্তু জুনে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে নেয়া হয়নি নাসিরকে। ওই দলে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে নাসিরকে। নাসিরকে আয়ারল্যান্ড সফরে রেখে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে না রাখলেও পেসার শফিউল ইসলামকে ঠিকই আয়ারল্যান্ড সফর ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রাখা হয়েছে। দলে আবার ফিরেছেন শফিউল। সেই সঙ্গে ফিরেছেন পেসার রুবেল হোসেনও। নাসিরের মতোই অবস্থা হয়েছে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান ও পেসার শুভাশীষ রায়ের। আয়ারল্যান্ড সফরের জন্য ঘোষিত ১৮ সদস্যের দলে নাসির, সোহান, শুভাশীষ থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে নেই। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে তিনজনই থাকছেন। শ্রীলঙ্কা সফরে টোয়েন্টি-২০ খেলা তরুণ পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য স্ট্যান্ডবাই হিসেবে থাকছেন। এবার দল ঘোষণায় কোন চমকও নেই। পুরনোরাই দলে স্থান পেয়েছেন। খুব বেশি চমক যে থাকবেনা তা আগে থেকেই আচ করা গিয়েছিল।
না থেকেও যেন কিছু চমক ছিল। এই যেমন ঘড়োয়া টুর্নামেন্টে ভাল করা পর জাতীয় দলে বাজে খেলার কারণে কোন দলেই জায়গা হয়নি স্পিনিং অলরাউন্ডার শুভাগত হোম চৌধুরীর। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট আর ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে সাসেক্সে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সে উদ্দেশে ২৬ এপ্রিল দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সাসেক্সে গিয়ে ১ মে ডিউক অব নরফোকের বিপক্ষে এবং ৫ মে সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর আয়ারল্যান্ডে চলে যাবে দল। আয়ারল্যান্ডে ৭ মে গিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে। ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ ছাড়াও স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড খেলবে। ১২ ও ১৯ মে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ১৭ ও ২৪ মে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে মাশরাফিবাহিনী। অবশ্য ২৬ এপ্রিল ইংল্যান্ডগামী দলের সঙ্গে যাচ্ছেন না তিন ফরমেটেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বর্তমানে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার মাঝপথেই যোগ দিয়েছেন কন্ডিশনিং ক্যাম্পে। সাকিব ৪ মে সরাসরি আয়ারল্যান্ডে গিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে ২৫ মে ইংল্যান্ডে রওনা হবে বাংলাদেশ দল। সেখানে গিয়ে প্রথমে ২৭ মে পাকিস্তানের বিপক্ষে ও ৩০ মে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। এরপর ১ জুন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ দল। ৫ জুন অস্ট্রেলিয়া এবং ৯ জুন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। যদি বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলে তাহলে ম্যাচ বাড়বে। না হলে এখানেই বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিশন শেষ হয়ে যাবে। এতদিন টেষ্ট, ওয়ানডে আর টোয়েন্টি-২০’র তিন ফরম্যাটেই দুইজন অধিনায়ক দিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একই সময়ে তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশকে শেষবার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। ২০১৪ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক করার মাধ্যমে দুই অধিনায়ক তত্ত্বে নাম লেখায় বাংলাদেশ। সম্প্রতি তিন ফরম্যাটে ভিন্ন ভিন্ন অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশের ক্রিকেট। মাশরাফির অবসরের পর ১৬তম বোর্ড সভায় সাকিব আল হাসানকে টোয়েন্টি-২০ দলের নতুন অধিনায়ক ঘোষণা করেছে বিসিবি। নিজের নেতৃত্বে ২০১১ সালে প্রথম টোয়েন্টি-২০ ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জয় এনে দেওয়া মুশফিক বলছেন, তিন অধিনায়কের তত্ত্ব কতটা কাজ করছে তা সময়ই বলে দেবে। তার মূল চাওয়া তিন জন অধিনায়ক হলেও মাঠের ক্রিকেটে যেন পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অটুট থাকে। এ ছাড়া কিপিং সবসময়ই নিজের সেরাটা তুলে ধরতে সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। তিন অধিনায়কের যুগে আগের চেয়ে ভালো কিছু আশা করছেন জানিয়ে মুশফিক বলেন, ‘বর্তমানে অধিনায়ক নিয়ে যা করা হয়েছে এটাকে সময়ের দাবী বলেই মনে হচ্ছে আমার কাছে। এটা আসলে সময়ই বলে দেবে। তিনজন হয়েও কত ভালো হবে। এর আগে একজন হয়েও খুব যে আহামরি আমরা পরিবর্তন করতে পেরেছি বা পরিবর্তন হয়নি তাও না। আমরা ভালো করেছি, খারাপও করেছি। তিনজন হয়েও আমি দোয়া করি অবশ্যই যেন আমরা আগে যতটুকু করেছি তার চেয়ে যেন ভালো হয়। দিন শেষে এটা দলীয় খেলা। আমার মনে হয় যে দল হিসেবে আমরা গত ২-৩ বছর ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছি। সবাই ভালো করলে আমার মনে হয় বড় একটা প্রভাব পড়বে। যাতে কি না বাংলাদেশ দল আবারও ভালো রেজাল্ট করবে। আমরা এটা নিয়ে ফোকাস করছি। এটাই আমাদের টার্গেট।’
সর্বশেষ দেশের বাইরে দু’টি সিরিজে ম্যানেজার নিয়ে কম জল ঘোল হয়নি। এতদিনে জানা গেল জাতীয় দলের নিয়মিত ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন কেন দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড ও ভারত সফরে যাননি। বিসিবি’র এ পরিচালক ক্রিকেট কোচ পদে দায়িত্ব পালনে বেক্সিমকোর চাকরি নিয়েছেন ১ বছর আগে। চাকরির শর্ত অনুযায়ী এই কর্পোরেট হাউজের অ্যাসাইনমেন্টকে দিতে হচ্ছে অগ্রাধিকার। প্রথম বিভাগে বেক্সিমকোর মালিকানাধীন ক্লাব সাইনপুকুর যখন খেলেছে বলেই দলটির কোচ খালেদ মেহমুদ সুজন টিম ম্যানেজারের দায়িত্ব নিয়ে হায়দারাবাদ টেস্টে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যেতে পারেননি। শ্রীলংকা সফরের পুরোটা বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হিসেবে কাটিয়ে দিলেও সাসেক্সে ১০ দিনের অনুশীলন এবং আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হিসেবে দেখা যাবে না খালেদ মেহমুদ সুজনকে। বেক্সিমকোর পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত আবাহনী লিমিটেড ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে খেলছে বলেই ঢাকায় থাকতে হচ্ছে তাকে। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন বলে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ম্যানেজারের দায়িত্বটা তার উপর অর্পণের সিদ্ধান্ত দিয়েছে বোর্ড।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ম্যানেজারের দায়িত্ব নিতে আগামী ২৫ মে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন তিনি। দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক ম-লী অনুমোদন এবং তিন ভার্সনে তিন ক্রিকেটারের হাতে অধিনায়কের দায়িত্ব বিসিবি তুলে দেয়ার পর এবার যুক্তরাজ্য সফরে বাংলাদেশ দল পাচ্ছে ২ ম্যানেজার। সাসেক্স ১০ দিনের অনুশীলন ক্যাম্প এবং ১৯ দিনের আয়ারল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের দায়িত্বভার অর্পিত হয়েছে বিসিবির পরিচালক এবং মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের উপর। এদিকে মানসিকতার জোরেই এখনো টিকে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুঝা। নয়তো তার মতো দু’পায়ে আটটি অপারেশনের পর যেখানে স্বাভাবিক জীবন যাপন করাই দায় হয়ে পড়ে সেখানে মাঠে খেলাতো কঠিন কাজের চেয়ে বেশি। দুটি সফরকে সামনে রেখে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা কথা বলে যান সংবাদকর্মীদের সঙ্গে। সাসেক্সে কন্ডিশনিং ক্যাম্প নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘এটি আমাদের প্রস্তুতি ক্যাম্প। তবে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের উইকেটের পার্থক্য সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই। যতটুকু জানি, আয়ারল্যান্ডে এখন শীত। আর ইংল্যান্ডে গ্রীষ্ম শুরু হয়েছে। আমার মনে হয়, দু’রকম আবহাওয়ায় দু’ধরনের উইকেট হতে পারে। ১০-১২ দিনের ক্যাম্পে ভালো প্রস্তুতি হবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে যে ক’টি ম্যাচ খেলব, আমরা যদি ভালো প্রস্তুতি নিতে পারি এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে পারি, তাহলে আশা করি ভালো হবে।’
অধিনায়ক বলেন, ‘প্রস্তুতি ক্যাম্প অবশ্যই সহায়ক হবে। উইকেট ও কন্ডিশন কেমন তা জানা যাবে। ইংল্যান্ডে এখন গ্রীষ্ম শুরু হয়েছে। এটা তাড়াতাড়ি চলে যাবে। এটাও মাথায় রাখতে হবে। ২০১৫তে আমরা যেটা চেয়েছিলাম সেটা করতে পেরেছি। আবার নিউজিল্যান্ড সফরে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তাই এটা বলাও কঠিন যে, ক্যাম্প থাকলেই ভালো কিছু হবে। তবে প্রস্তুতির জায়গা থেকে বলতে পারি এটা সহায়ক হবে।’
আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি
তারিখ    ম্যাচ
১২ মে    বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড
১৭ মে    বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড
১৯ মে    বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড
২৪ মে    বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি
গ্রুপপর্ব
তারিখ       ম্যাচ        ভেন্যু   
১ জুন    বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড    কেনিংটন ওভাল
৫ জুন    বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া    কেনিংটন ওভাল
৯ জুন    বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড    কার্ডিফ

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ