ঢাকা, সোমবার 27 March 2023, ১৩ চৈত্র ১৪২৯, ৪ রমযান ১৪৪৪ হিজরী
Online Edition

ঢাকার অনেক হোটেলে তেহারী-বিরিয়ানি বিক্রি বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক : গরু এবং খাসির গোশত যাদের পছন্দ তারা পড়েছেন বেশ বিপাকে। অন্তত কয়েকদিনের জন্য তাদের এ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। কারণ গত কয়েকদিন ধরে ঢাকায় চলছে গোশত ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট। অনেকের পছন্দ কাচ্চি বিরিয়ানি, বিফ ভুনা খিচুরি, গরু বা খাসির কাবাব এখন সহজে মিলছে না।

ঢাকার অধিকাংশ হোটেল গরু এবং খাসির গোশতশুন্য গত সোমবার থেকে। গোশত ব্যবসায়ীদের ডাকা ধর্মঘট চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত।

ঢাকার একটি পরিচিত হোটেল স্টার কাবাব এবং রেস্টুরেন্টেরে একজন ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ জানালেন গরু এবং খাসির গোশতের চাহিদা তাদের হোটেলে সবচেয়ে বেশি। গত কয়েকদিন ধরে কাচ্চি বিরিয়ানিসহ গরু এবং খাসির গোশতের সাথে সম্পৃক্ত খাবার তারা তৈরি করতে পারছেন না।

আরেকটি হোটেলের ম্যানেজার জানালেন, প্রতিদিন তারা গড়ে একশ প্যাকেট কাচ্চি বিরিয়ানি বিক্রি করতেন। কিন্তু মাংস ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট শুরুর পর থেকে কাচ্চি রিবিয়ানি বন্ধ আছে।

গোশত ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাঁদাবাজি বন্ধ এবং আরো কয়েকটি দাবী বাস্তবায়নের জন্য তারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। ফলে ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাজার এবং পাড়া-মহল্লায় প্রায় সাড়ে চার হাজার গোশতের দোকান বন্ধ আছে বলে জানালেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম। তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন জায়গায় বাড়তি টাকা এবং চাঁদা দেবার কারণে গরুর মাংসের কেজি ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি করেও পুষিয়ে উঠা সম্ভব হচ্ছেনা ।

তবে ঢাকার অভিজাত হোটেলগুলোতে গরু এবং খাসির গোশতের আইটেম তৈরি হচ্ছে। এছাড়া অভিজাত সুপার-শপগুলোতে গরু এবং খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টের একজন ম্যানেজার জানালেন, তাদের স্টকে গরু এবং খাসির গোশত ছিল। ফলে মঙ্গলবার পর্যন্ত তারা কাস্টমারদের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছেন। কিন্তু বুধবার থেকে সেটি আর সম্ভব হবেনা বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, শহরজুড়ে গরু এবং খাসির গোশতের দোকান বন্ধ থাকায় মুরগীর দাম বেড়েছে। এমন অবস্থায় যাদের পছন্দের তালিকায় গরু এবং খাসির গোশত রয়েছে তাদের আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ