বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সরকারি রাস্তায় প্রভাবশালীর প্রাচীর নির্মাণ হুমকির মুখে গভীর নলকূপ

কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা: যশোরের কেশবপুরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি জমি জবর দখল করে পাকা প্রাচীর নির্মাণ করায় একটি জনবহুল গ্রাম্য রাস্তা পাকাকরণ কাজে চরমভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ওই প্রাচীর অপসারণ করা না হলে হুমকির মুখে পড়বে ৩ গ্রামের সহস্রাধিক পরিবারের একমাত্র ভরসা আর্সেনিকমুক্ত সরকারি গভীর নলকূপটি। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। 
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর ফতেপুর সড়কের মজিদপুর গ্রামের চৌরাস্তা থেকে একটি ইটের সলিং রাস্তা গ্রামের ভেতর দিয়ে মজিদপুর কুশুলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে কুশুলদিয়া গ্রামে মিশেছে। রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পাকাকরণের কাজ শুরু হয়। গত ১ বছর আগে এ রাস্তার মজিদপুর আদর্শ ক্লাবের পাশের সরকারি জায়গা দখল করে পাকা প্রাচীর নির্মাণ করেন এলাকার প্রভাবশালী মনিরুজ্জামান। এ রাস্তা দিয়ে জনগণের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাটি দখলমুক্ত করতে গত বছরের জুন মাসে এলাকাবাসী আদালতে মামলা করেন। আদালতের রায়ে রাস্তাটি দখলমুক্ত করা হয়। এ ঘটনার কিছুদিন যেতে না যেতেই ওই ভূমিদস্যু রাস্তাটি দখল করে পুনরায় পাকা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন। এদিকে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ শুরু হলে মনিরুজ্জামান ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশে তার প্রাচীর অক্ষত রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। যার কারণে সরকারি জায়গায় ওই পাচিল রেখে ঠিকাদার সরকারি টিউবওয়েলের গোড়া দিয়ে রাস্তা নির্মাণের জন্য খুঁড়ে রেখেছে। আর এ সুযোগে ওই মহলটি টিউবওয়েলটি উচ্ছেদ চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। যার কারণে যে কোনো সময়ে টিউবওয়েলটি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ফলে আশপাশের ৩ গ্রামের সহস্রাধিক পরিবারের বিশুদ্ধ খাবার পানির একমাত্র ভরসা শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।   
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ঠিকাদারের লোকজন ওই রাস্তার সরকারি জমি বাদ দিয়ে ওই টিউবওয়েলটির গোড়ার গাঁথুনি পর্যন্ত মাটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে। টিউবওয়েলটির গোড়ার গাঁথুনি ভেঙ্গে ফেলা হলে যে কোনো সময় অকেজো হয়ে যেতে পারে। ওই প্রাচীর উচ্ছেদ করে যাতে সরকারি জায়গার ওপর দিয়েই রাস্তা নির্মাণসহ টিউবওয়েলটি যাতে অক্ষত থাকে তার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে মনিরুজ্জামান বলেন, টিউবয়েলের গা ঘেঁষে রাস্তা হচ্ছে। এতে চলাচলে বিঘœ হবে না। এলাকার মেম্বার আব্দুল আহাদ বলেন, কিছুদিন আগে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশে সে প্রাচীরটি সরিয়ে নিতে চেয়েছিল। বর্তমান সে সালিশ অমান্য করে প্রাচীর রক্ষার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ রায়হান কবীর সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগটি পেয়েছি। সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ