শিক্ষার্থী নেই তবুও কয়রায় বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি
খুলনা অফিস ঃ কাগজে কলমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম থাকলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। একটি মাত্র টিনের খোলা ঘর তাও এক বছর যাবৎ মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি একটি জাতীয়করণের অপেক্ষমান তৃতীয় পর্যায়ের তালিকাভুক্ত বিদ্যালয়। সরেজমিনে কোন শিক্ষক শিক্ষার্থীর দেখা মেলেনি এ বিদ্যালয়ে। বলা যায়, বিদ্যালয় আছে শিক্ষার্থী নেই। তবুও বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের দাবি তুলছেন সংশ্লিষ্টরা। খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের খিরোল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে জাতীয়করণের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয় ধাপে বাদপড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের সুযোগ নিতেই শিক্ষাদপ্তরের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন খিরোল গ্রামের ঐ স্কুলের সংশ্লি¬ষ্ট পরিচালনা কমিটিসহ একই পরিবারে নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজন শিক্ষক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণের ঘোষণার মুহূর্তেই ২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নামে প্রায় ৩৩ শতক জমি দান করেন ঐ এলাকার জামাত সমর্থিত আব্দুর রাজ্জাক মোড়ল। এরপর একটি খড়ের ঘর করে সেখানে নিয়োগ দেয়া হয় জমি দাতার নিজের মেয়ে ছেলের বউ এবং অন্য দুই নিকট আত্মীয়কে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কাগজে কলমে বিদ্যালয় থাকলেও সেখানে কোন পাঠদান হয় না। এরপরেও বর্তমানে অস্তিত্বহীন স্কুলকে জাতীয়করণের পাঁয়তারা চলছে বলেও অভিযোগ গ্রামবাসীর।
এ ব্যাপারে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোড়ল জানান, অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ (আদালতে মামলা চলমান) ও জাতীয়করণ সম্পর্কে জানতে চাইলে কোন উত্তর দেননি তিনি।
কয়রা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত আলমগীর বলেন, আমি সম্প্রতি দায়িত্ব পেয়েছি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান বলেন, স্কুলটি ইতোপূর্বে উপজেলা শিক্ষা কমিটি অনুমোদন দিলেও তা বিধি মোতাবেক হয়নি কারণ একই গ্রামে আধা কিলোমিটারের মধ্যে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি এমপিও ভুক্ত দাখিল মাদরাসা (সংযুক্ত এবতেদায়ী শাখা) থাকা সত্বেও পাশাপাশি আরেকটি বিদ্যালয়ের কোন প্রয়োজনীয়তা নাই।