স্মার্টকার্ড বিতরণে অব্যবস্থাপনা ও ভোগান্তির অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক: নাগরিকদের হাতে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্টকার্ড) তুলে দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুটি ওয়ার্ডের কয়েকটি এলাকায় এ স্মার্টকার্ড বিতরণের কাজ শুরু হয়। তবে অভিযোগ উঠেছে, কার্ড বিতরণে অব্যবস্থাপনা, লোকবলের অভাব ও কারিগরি ত্রুটির কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরা।
জানা যায়, কার্ড বিতরণ নিয়ে ছিল সঠিক প্রচারণার অভাব। নাগরিকরা কোন কেন্দ্র থেকে কবে কার্ড বিতরণ করা হবে, তা সঠিকভাবে জানতে পারেননি। ফলে নির্ধারিত এলাকার বাইরের অনেক নাগরিক কার্ড নিতে আসেন। এছাড়া প্রথম দিনে বেশি ভিড় হওয়ায় পরিস্থিতি সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হয় বিতরণকারী কর্মকর্তাদের। এক্ষেত্রে লোকবলের অভাবকে দায়ী করেন উপস্থিত কার্ড সংগ্রহ করতে ইচ্ছুকরা। ছিল যান্ত্রিক জটিলতাও। যন্ত্রের সফটওয়্যার ঠিকমতো কাজ না করায় কার্ড নিতে পারেননি উপস্থিতির বড় একটি অংশ। আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ মেলানোর পরও কার্ড না পাওয়ার অভিযোগ করেন অনেকে। ছিল না নাগরিকদের তথ্যসেবা দেয়ার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। এ বিষয়ে ইসি কর্মকর্তারা জানান, বয়স্ক নাগরিকদের অনেকের ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ মেলাতে সমস্যা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ না নিয়েই কাজ এগিয়ে নিতে হচ্ছে তাদের।
রাজধানীর রমনা থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য নির্ধারিত সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে কার্ড-প্রত্যাশীদের ভিড় দেখা যায়। সেখানে কাকরাইল (রমনা অংশ), ডিআইডি কলোনি, নিউ বেইলি রোড, কাকরাইল (মতিঝিল অংশের) বাসিন্দাদের মধ্যে স্মার্টকার্ড বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু তথ্য না জানার কারণে সেখানে নির্ধারিত এলাকার বাইরের অনেকেই ভিড় করেন। কার্ড বিতরণের বিষয়টি ভালোভাবে প্রচার করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন এদের কেউ কেউ। রমনার সার্কিট হাউজ এলাকার বাসিন্দা নীলুফার আলম জানান, ‘আমি এখানে আসার পরে বলছে, আজকে রমনার সব এলাকার বাসিন্দাদের স্মার্টকার্ড দেয়া হবে না। তাই চলে যাচ্ছি।’ নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে তেমন কোনো প্রচারণা না চালানোয় তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বলে জানান আরেক নাগরিক মফিজুল ইসলাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মুর্শেদ বলেন, ‘প্রথম দিন মানুষের ব্যাপক উত্সাহের কারণে সকালে বিতরণ কেন্দ্রে বেশ ভিড় ছিল। নির্ধারিত এলাকার বাইরের কিছু লোক ভুল করে কার্ড নিতে আসায় কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সফটওয়্যারের ত্রুটির কারণে কিছু ক্ষেত্রে স্মার্টকার্ড বাছাই করে বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টদের আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি নিয়ে রাখা হয়েছে। তারা পরে এসে কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। এর পর থেকে কার্ড বিতরণে আরো সতর্ক ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’