আহত নেতাকর্মীদের নিতে আসা অ্যাম্বুলেন্সে পুলিশের ‘বাধা’

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর পল্টন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে দলের শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি জানান, অনেকেরই পায়ে, হাতে ও বাহুতে গুলি লেগেছে। এদিকে, আহত নেতাকর্মীদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য আনা দুটি অ্যাম্বুলেন্স পুলিশের ‘বাধা’য় ফেরত যায় বলে দাবি করছেন বিএনপি।
সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতা খন্দকার আবু আশফাক, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবুল কালাম আজাদ, সাবেক ছাত্রনেতা মেহবুব মাসুম শান্তসহ আহতদের সিএনজি ও রিকশায় করে, কাউকে কাউকে কোলো করে হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে।
আজ বুধবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে পুলিশ নয়াপল্টনে বিভিন্ন গলিতে ঢুকে অভিযান চালিয়ে সামনে যাকেই পাচ্ছে তাকেই মারধরের পর ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিন সকালে থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার পক্ষে স্লোগান দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। ব্যবহার করা হয় রায়টকার ও জলকামান।
অন্যদিকে স্লোগান দিয়ে পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে ফকিরাপুল মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের ছোড়া অসংখ্য টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে দলীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকা।