এবার রাজশাহী বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঠেকাতে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এতে রাজধানী ঢাকাসহ গোটাদেশের সঙ্গে পরিবহন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে যাচ্ছে।
ওই দিন ভোর ৬টা থেকে রাজশাহী বিভাগে পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে রাজশাহী বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
বুধবারের (৩০ নভেম্বর) মধ্যে সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে এই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। তবে একদিন আগে অর্থাৎ আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) পর্যন্ত সেইসব দাবি পূরণ হয়নি।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের ফলে যথারীতি হয়রানির মুখে পড়বেন গণসমাবেশ আসা রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
বিএনপি নেতারা মনে করেন, ১১ দফা মূল বিষয় নয়, দেশের অন্যান্য গণসমাবেশের মতো রাজশাহীর গণসমাবেশে মানুষকে আসতে বাধা দিতেই কৌশলে এ পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
এ ধর্মঘটকে সাজানো নাটক উল্লেখ করে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, মূলত পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা সরকারকে এই পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে সহযোগিতা করতে চাইছেন। বিএনপির প্রত্যেকটা সমাবেশের আগেই বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় এমন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তবে এতকিছুর পরও মানুষ কোনো না কোনোভাবে গণসমাবেশে গিয়েছেই এবং শতভাগ সফলও হয়েছে। তাই ধর্মঘট দেওয়া হোক, আর যা-ই দেওয়া হোক না কেন- রাজশাহীতে ৩ ডিসেম্বরের গণসমাবেশে জনস্রোত নামবে। শুধু সমাবেশস্থল মাদ্রাসা মাঠ নয়, পুরো রাজশাহী শহর জনসমুদ্রে পরিণত হবে। কারণ হচ্ছে- ঢাকার বাইরে এটিই হলো বিএনপির শেষ গণসমাবেশ। তাই কোনো বাধাই কাজে আসবে না। বিশাল জনসমুদ্রই প্রমাণ করে দেবে যে এ ধরনের ধর্মঘট ডেকে বিএনপির সমাবেশ কোনোভাবেই ব্যর্থ করা যায় না।
তবে বিএনপির এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক বলেন, বিএনপির গণসমাবেশ সামনে রেখে এমন সিদ্ধান্তের বিষয়টি অমূলক।