মহেশখালীতে মিষ্টি কুমড়া চাষে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
সরওয়ার কামাল মহেশখালী ( কক্সবাজার) : লোকসান পুষিয়ে নিতে ঘেরের বাঁধে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে অথনৈতিক স্বচ্ছলতার পথে মহেশখালীর মৎস্যচাষিরা। মিষ্টি কুমড়া চাষে এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় কিছুটা হলে ও ফুরফুরে মেজাজে আছেন তারা। তবে তরি-তরকারি চাষ খরচটা একটু বেশি হয়েছে বলে জানান একাধিক চাষী। মিষ্টি কুমড়ার পাশাপাশি মাচান পদ্ধতিতে ও বাঁধে ঢেঁড়শ, কাচা মরিচ, বরবটি, পুইশাক, তরমুজ, করলা সহ অন্যান্য ফসলের চাষ এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাছ চাষের পাশাপাশি দৈনন্দিন একটা বাড়তি আয় এখান থেকে পাওয়া যায়। সে সাথে ঘেরের বাঁধে দীর্ঘদিন মজবুত থাকে। বেঙ্গল সুইট-২ হাইব্রীড জাতের ১৪শত বীজের চারা ঘেরের বাঁধে রোপন করেছেন হোয়ানক ইউনিয়নের কেরুনতলী নয়াপাড়া গ্রানের শফিউল আলম। নয়াপাড়া গ্রামের পশ্চিমে ১০ বিঘা ঘেরের ঘেরিতে তিনি এই মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছন। আরেক কৃষক শাপলাপুরের জয়নাল আবেদীন জানান, চারা রোপন থেকে শুরু করে ফলন ওঠা পর্যন্ত মোট খরচ হয়েছে আনুমানিক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো। চারা রোপন থেকে মাত্র ২ মাসের মধ্যে কুমড়ার গাছে ফলন এসেছেন। বর্তমানে বাজার দর ২৭ থেকে ৩০ টাকা হারে পাওয়া যাচ্ছে। তবে এভাবে যদি বাজার দর স্থিতিশীল থাকে তাহলে ৩ লক্ষাধিক টাকার মিষ্টি কুমড়া কেনা বেচা হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বড় মহেশখালী ইউনিয়নের পাহাড়তলী এলাকার কৃষক নজরুল ইসলামসহ একাধিক কৃষক জানান, চাষাবাদে খরচ বেশি হচ্ছে। তবে কৃষি বিভাগের কোন কর্মকর্তার পরামর্শ এখনো আমরা পায়নি। এ ব্যাপারে জানতে একাধিক বার কল দিয়ে ও মহেশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।