দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ কিম ২০২৪ পর্যন্ত শ্যুটিং কোচ

স্পোর্টস রিপোর্টার : দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ কিম ইল ইয়ংয়ের সাথে তিন বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলো বাংলাদেশ শ্যুটিং ফেডারেশন। এর আগেও দুই দফা কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন কিম ইল ইয়ং। দক্ষিণ কোরিয়ার এই পিস্তল কোচকে এবার লম্বা মেয়াদে রেখে দিল বাংলাদেশ শ্যুটিং ফেডারেশন। গত ১৪ মে বাংলাদেশ শ্যুটিং দলের দায়িত্ব নেওয়া কিম ইল ইয়ংয়ের সঙ্গে গতকাল বুধবার চুক্তি করে শ্যুটিং ফোডরেশন। ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক পর্যন্ত শাকিলদের অনুশীলন করাবেন কিম। রাজধানীর গুলশানে শ্যুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের কার্যালয়ে কোরিয়ান কোচ কিমের সঙ্গে শ্যুটিং ফেডারেশনের ২০২৪ সাল পর্যন্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান। কিম আপাতত শাকিলকে নিয়ে কাজ করবেন। পরবর্তীতে জুনিয়রদের নিয়েও কাজ করবেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অন্যতম সফল ডিসিপ্লিন শ্যুটিং। কমনওয়েলথ গেমসে শ্যুটিং থেকে বাংলাদেশ পদক পেয়েছে নিয়মিত। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ অলিম্পিকেও অংশ নেন শ্যুটাররা। তবে সেটা ওয়াইল্ড কার্ডে। আর ওয়াইল্ড কার্ড নয় আরচ্যার রোমান সানা, গলফার সিদ্দিকুর রহমানের মতো নিজ যোগ্যতায় সরাসরি অলিম্পিক খেলতে চান এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী শুটার শাকিল আহমেদ। উল্লেখ্য ২০১৬ সালে প্রথমবার বাংলাদেশে কোচ হয়ে এসেছিলেন কিম ইল ইয়ং। মাস তিনেক থাকার পর চলে যান। দ্বিতীয় দফায় ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের এসএ গেমস পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। নেপালের এসএ গেমসের শ্যুটিং অবশ্য বাংলাদেশের জন্য হতাশারই ছিল। কোনো সোনার পদক জিততে পারেননি বাকি-শাকিলরা। শ্যুটিংয়ের সাফল্য ফেরাতে তাই এবার দীর্ঘমেয়াদে কিম ইল ইয়ংয়ের সঙ্গে জুটি গড়ল ফেডারেশন। চুক্তির পর দক্ষিণ কোরিয়ার এই কোচও দেখালেন আশা। “বাংলাদেশে প্রতিভার অভাব নেই। আশা করি, তাদের মধ্য থেকে সেরাটাই বের করে আনব আমি।” শাকিল আহমেদ-আরমিন আশারা পিস্তল ইভেন্টের কোচ পেলেও আব্দুল্লাহ হেল বাকিরা রাইফেল ইভেন্টের কোচ পাননি এখনও। শ্যুটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইন্তেখাবুল হামিদ এ প্রসঙ্গে জানালেন আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা। “কিমের বেতনটা আগামী আগস্ট পর্যন্ত দিতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। এরপর আমাদের কোনো পৃষ্ঠপোষকের সন্ধান করতে হবে। এ ধরনের টেকনিক্যাল খেলায় সহজে স্পন্সররা এগিয়ে আসতে চায় না।”