মসজিদগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণ ক্ষমতানুযায়ী সালাত আদায়ের সুযোগ দেয়া উচিত - ডা. শফিকুর রহমান
চলমান লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদের ধারণ ক্ষমতানুযায়ী সালাত আদায়ের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
গত বুধবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তৃতির প্রেক্ষাপটে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে। উক্ত ঘোষণায় গার্মেন্ট কারখানাসহ সকল কলকারখানা খোলা রাখা হয়েছে। এ সকল কলকারাখানায় হাজার হাজার শ্রমিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছে। অন্যদিকে মসজিদে সালাত আদায়ের ব্যাপারে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ছোট-বড় সকল মসজিদে মাত্র ২০ জন মুসল্লিকে সালাত আদায়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে। সাধারণ মুসল্লিরা মনে করে মসজিদের সাথে সরকারের এই আচরণ যুক্তিযুক্ত হয়নি। সরকারের এই আচরণে মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, সালাত হলো আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক স্থাপনের অন্যতম মাধ্যম। ধর্মপ্রাণ ইসলাম প্রিয় মানুষ দৈনিক ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের মাধ্যমে তারা আল্লাহর সাথে আত্মিক সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে। সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা যুক্তিসঙ্গত কিনা তা সরকারের ভেবে দেখা দরকার। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মনে করে সরকার যদি জাগতিক উন্নতি ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে শ্রমিক বহুল কলকারখানা চালু রাখতে পারে, সেখানে আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক স্থাপনের জন্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্বাভাবিকভাবে মসজিদে সালাত আদায়ের সুযোগও দেয়া যেতে পারে। তাই আমরা মনে করি, মসজিদগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ধারণ ক্ষমতানুযায়ী সালাত আদায়ের সুযোগ দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, পবিত্র রমযান মাস তাক্বওয়া অর্জনের মাস, আত্ম শুদ্ধির মাস। আত্মশুদ্ধির জন্য এ মাসে মুসলমানরা বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগী করে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদের ধারণ ক্ষমতানুযায়ী সালাত আদায়ের সুযোগ সৃষ্টির জন্য আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।