পাঁচবিবিতে সংসার যুদ্ধে জয়ী ৪ নারী জয়িতা নির্বাচিত

অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী লাবলী বেগম (৩২)। তার স্বামী মোঃ নুরুল ইসলাম মাতাঃ মোছাঃ দেলোয়ারা খাতুন, ২ সন্তানের জননী লাবলী বেগম দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী । কোন মতে তাদের সংসার চলতো। ৯ম শ্রেণীতে পড়া লেখা অবস্থায় বেকার যুবক মোঃ নুরুল ইসলাম এর সাথে লাবলীর বিয়ে হয় ।বিয়ের পর তাদের ০২ সন্তান হয় । সন্তান সহ পরিবারের জন্য কিছু একটা স্বপ্ন নিয়ে লাবলী বেগম মন স্থির করেন।লাবলী বেগম একজন নারী যিনি বাজারে প্রথম টেইলার্স এর দোকান দেন প্রথমে সেলাই প্রশিক্ষন গ্রহণ করে বাজারে দোকান দেন।তিনি বাজারে টেইলার্স এর কাজের পাশাপাশি বাড়িতে কাপড় তৈরীর শিল্প কারখানার উদ্যোক্তা হয়ে যান।
সফল জননী নারী রাবেয়া বেগম দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। এস,এস,সি পাশ করার পর দরিদ্র বেকার যুবক ধরঞ্জী ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের নুরুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রাবেয়া বেগমের ০৪ সন্তান এবং ০৪ টিই মেয়ে। রাবেয়া বেগম ০৪ মেয়েকে পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত করার সপ্ন দেখেন। রাবেয়া বেগম বাড়িতে সবজির বাগান,হাঁস-মুরগীর খামার ও গরু পালন করে ০৪ মেয়েকে লেখাপড়া করিয়েছেন। ১ম মেয়ে নুরজাহান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশুনা করে,৩১ তম বিসি,এস-এ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে এম বি বি এস ডাক্তার হিসেবে কর্মরত।
নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেন রসুলপুর গ্রামের মৃত- জামাল উদ্দিনের কন্যা মিম্মা খাতুন। তিনি ৮ম শ্রেনীতে পড়ালেখা অবস্থায় দারিদ্রের কারনে তার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়।বাবা মা তার সুখের কথা চিন্তা করে পাশের গ্রামের জিয়ারুলের সাথে বিয়ে দেয়।বিয়ের পর মিমমা ভালোই ছিল কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই জিয়ারুল মাদক সেবনের সাথে জরিয়ে পড়ে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় মিমমা কে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।মিমমার বাবা-মা নিকট যৌতুক হিসেবে ১,০০,০০০/- দাবী করেন মিম্মার বাবা মা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শারীরিক ভাবে লাঠি দিয়ে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। মিমমা মায়ের বাড়িতে আসার পর স্বামী জিয়ারুল মিমমাকে তালাক দেয় এবং দ্বিতীয় বিয়ে করে।মিমমার পরিবার বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নেন। এবং কোর্টে মামলা চলছে।জীবন জীবিকার তাগিদে মিমমা ঢাকায় রানা প্লাজা গার্মেন্টেসে চাকুরী নেয়। কিন্তু ভাগ্যেও নির্মম পরিহাস রানা প্লাজা গার্মেন্টেস ভেঙ্গে পড়ে।
সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন কোটাহারা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের কন্যা মরিয়ম বেগম। তিনি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহন করেন পিতা ও স্বামীর নিজস্ব কোন সম্পদ নাই। বসত বাড়ির জমিতে বসবাস করেন। ০৪ সন্তান জন্মের পর স্বামী মারা যায়। বাড়িতে হাঁস-মুরগীর ও গবাদী পশু পালন করে সংসার পরিচালনা করেন। সমাজ উন্নয়নে মরিয়ম বেগমের ভুমিকা নিন্ম রুপঃ প্রাথমিক সাক্ষর জ্ঞানঃ মরিয়ম বেগম পামডো এনজিওর মাধ্যমে আদিবাসীদের উন্নয়নে কাজ করেন। তিনি আদীবাসীদের বাড়িতে বসে সাক্ষর জ্ঞান করাতেন।