বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩
Online Edition

বসানো হল পদ্মা সেতুর ৩৪তম স্প্যান

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা : মাত্র ৬ দিনের ব্যবধানে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বসানো হল দেশের মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ৭ ও ৮ নাম্বার পিলারের উপর ”টু-এ” নামের ৩৪ তম স্প্যান। আর এর ফলে  মূল সেতুর পাচ কিলোমিটারেরও বেশি অংশ দৃশ্যমান হয়েছে। অর্থাৎ ৫ হাজার ১০০ মিটার । আর এটি বসানো হলো ৩৩ তম স্প্যান”ওয়ান-সি”বসানোর মাত্র ৬ দিনের মাথায়। এখন বাকী রইল মাত্র ৭ টি স্প্যান । সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় লৌহজংয়ের কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ”শনিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় ২ নং মডিউলের ৩৪ তম স্প্যান “টু-এ” ভাসমান ক্রেন তিয়ানহু বহন করে বিকেল সাড়ে ৪ টায় সেতু দুটির পিলারে কাছে পৌছায়।পরে আলো স্বল্পতা ও প্রচন্ড বাতাসের কারণে শনিবার সেটি আর বসানো সম্ভব হয়নি। এর পর পুনরায় গতকাল রোববার সকাল ৮ টায় স্প্যানটি বাসানোর কাজ শুরু করে দেশী বিদেশী প্রায় দুশত শ্রমিক। পরে দীর্ঘ সময় ধরে এ্যাংকরিয়ের মাধ্যমে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ৩৪ তম স্প্যানটি বসানোর কাজ শেষ হয়। 

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান চলতি বছরের ১০ জুন ৫এ নামের ৩১ তম স্প্যানটি শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌ-রুটের মাঝ চ্যানেলে সেতুর জাজিরা প্রান্তের ২৫ ও ২৬  নাম্বার পিলারের উপর বসানো হয়েছিল। করোনা আর বন্যা পরিস্থিতির কারণে সেতুর অন্যান্য কাজ চললেও এরপর আর কোনো স্প্যান বসানো সম্ভব হয়নি। এরিমধ্যে বন্যা পরিস্থিতি ও পদ্মায় পানির উচ্চতা কমায় তিনটি স্প্যান বসানো হয়েছে। আর এ মাসেই সেতুর ২ ও ৩ নাম্বার পিলারে বসানো হবে ৩৫ তম স্প্যান ।  ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতুর অবকাঠামো। এরপর একে একে বসানো হয়েছে ৩৪টি স্প্যান। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। সব কটি পিলার এরিই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন লিমিটেড। 

দোতলা আকৃতির ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী পদ্মা সেতুর অবকাঠামো কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে।  

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ