নারায়ণগঞ্জ ফেরত পোশাককর্মী ও তার ভাবির করোনা পজিটিভ
খুলনা অফিস : নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রাকযোগে গত ২৪ এপ্রিল খুলনার দাকোপ উপজেলার খাটাইলের বাড়িতে আসেন পোশাককর্মী রামিয়া বেগম (২৩)। গত ১ মে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে রামিয়া ও তার ভাবি গৃহকর্ত্রী ফাতেমা বেগমের (২২) নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২ মে রাতে পাওয়া রিপোর্টে দুজনই করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। এ নিয়ে খুলনা জেলায় করোনা পজিটিভ হলো ১৬ জন। যার মধ্যে একজন মারা গেছেন।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, ২ মে খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে দু’জনের করোনা পজিটিভ হয়।
করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয়কারী এবং খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, 'খুলনা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে এ পর্যন্ত দুই হাজার ১৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জনের নমুনা পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে ১৬ জনই খুলনা জেলার। বাকি ৯ জন বিভাগের অন্যান্য জেলার।'
তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে খুলনার করিমনগরের আজিজুর রহমান এবং বাগেরহাটের চিতলমারীর কবির মোল্লা সুস্থ হয়েছেন। বাকি পজিটিভ এর মধ্যে তিন জন ঢাকায়, চার জন খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে এবং অন্যরা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোজাম্মেল হক নিজামী বলেন, 'পোশাককর্মী রামিয়ার দাকোপে আশ্রয় নেওয়ার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ১ মে তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়। একইসঙ্গে তার ভাবিকেও হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।'
তিনি আরও জানান, ওই দু’জনের করোনা শনাক্তের খবর পেয়ে রাতেই দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল ওয়াদুদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিফ উল হাসান, থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থলে যান। এরপর দু’জনের বাড়িসহ আশপাশের ৮০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়।