পাল্টে যাচ্ছে খুলনার ট্রাফিক ব্যবস্থা
* সফটঅয়্যার ব্যবহারে তৈরি হচ্ছে ডাটাবেজ
* জরিমানা প্রদানে ব্যাংকিং সুবিধা, কমবে ভোগান্তি
খুলনা অফিস : গাড়ির মালিকানা, রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই-বাছাইয়ে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করেছে খুলনার ১০ জেলার পুলিশ। পাশাপাশি সড়কে ট্রাফিক আইনের মামলা ও জরিমানার অর্থ প্রদানে স্বচ্ছতা এবং ভোগান্তি কমাতে চালু হয়েছে ‘ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন এন্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম সফটয়্যার’।
বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ব্যবহার ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)’র মাধ্যমে সহজে জরিমানার অর্থ প্রদান করা যাবে। মোটরযান আইনে আরোপিত জরিমানা প্রদানে এখন থেকে কাউকে ব্যাংক কিংবা ট্রাফিক অফিসে যেতে হবে না। ব্যাংকের পজ মেশিন অথবা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে জরিমানার অর্থ প্রদান করা যাবে।
খুলনা ডিআইজি রেঞ্জ কার্যালয়ে এ বিষয়ে খুলনার ১০ জেলায় পুলিশের সাথে গ্রামীণফোন ও ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকের চুক্তি সাক্ষর হয়। এ অনুষ্ঠানে খুলনার ১০ জেলার পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টির ফলে পুলিশের সাথে নগদ টাকার লেনদেন হবে না। এতে দুর্নীতির সুযোগ কমবে। যে স্থানে জরিমানা করা হবে সেখান থেকেই পজ মেশিনের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক রশিদ গ্রহণ করে জরিমানা প্রদান করা যাবে।
জানা যায়, এই সফটঅয়্যার ব্যবহারের পুলিশের স্বয়ং সম্পূর্ণ ট্রাফিক ডাটাবেজ তৈরি হবে। সকল জেলা, মেট্রোপলিটন ও হাইওয়ে পুলিশ ইউনিটে কতগুলো মামলা হয়েছে তার পরিসংখ্যান জানা যাবে। এর আগে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সহযোগিতায় ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন সফটওয়ার ব্যবহারে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তাদের (টিআই, সার্জেন্ট, টিএসআই) প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।