বুধবার ২৯ নবেম্বর ২০২৩
Online Edition

২০২০ সালে ৫ বিলিয়ন ডলারের তথ্য-প্রযুক্তি সেবা রফতানির আশাবাদ 

স্টাফ রিপোর্টার : শুধু উৎপাদক নয়, আগামীতে ডিজিটাল ডিভাইস রফতানিকারক দেশ হবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্য অর্জনে দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপনসহ তথ্য প্রযুক্তিখাতে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে আইটি ট্রেনিং সেন্টার ও আইসিটি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করছে সরকার। রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি আগামী ২০২০ সালে বাংলাদেশ ৫ বিলিয়ন ডলারের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও তথ্য প্রযুক্তি সেবা রফতানি করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস অ্যালায়েন্সের (ডব্লিউআইটিএসএ) মহাসচিব ড. জেমস জিম পয়সন্ট এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। 

অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন এক্সপোর সহ-আয়োজক বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো. শাহিদ-উল মুনীর, আইসিটি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলমসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যবসায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করলেন, বাংলাদেশতো অর্থনৈতিকভাবে তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীল। এরপর কী থাকবে? প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় উত্তরে বললেন, আইসিটি। আইসিটিতে আসলেই যে সফলতা আমরা দেখছি তার মাঝে সামনের দিনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় দেখছি। আইসিটির ওপর আস্থা রেখে আমরা বলতে পারি, লক্ষ্যমাত্রার আগেই আমরা এসডিজি অর্জন করব। 

‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯’ সমাপনী ও অ্যাওয়ার্ড নাইটে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশে প্রতিবছর পাঁচ কোটি স্মার্টফোন এবং চার লাখ ল্যাপটপ আমদানি করতে হয়। অথচ আমাদের এখানেই পাঁচ কোটি মধ্যবিত্ত গ্রাহক শ্রেণী রয়েছে যা একটি বিশাল মার্কেট। এমন অবস্থায় আমরা শুধু আমদানিকারক দেশ হিসেবে থাকতে চাই না। নিজেদের দেশে এসব ডিভাইস প্রস্তুত করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করতে চাই। আমরা হতে চাই রপ্তানিকারক দেশ, ছড়িয়ে দিতে চাই ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’। এজন্য যেসব খাতে কাজ করা দরকার সরকারি নীতি সেভাবেই প্রণয়ন করে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। যুব উদ্যোক্তাদের সব স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। এ লক্ষ্যে স্টার্টআপের জন্য ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সম্পর্কিত ইমার্জিং টেকনোলজি নিয়ে গবেষণার জন্য প্রধানমন্ত্রী রেখেছেন ৫০ কোটি টাকা। 

এর আগে তিনদিনের প্রযুক্তির এই আসরটিতে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে। তিনদিনই ছিল জমজমাট। দেশের তরুণদের উদ্ভাবিত রোবট, ডিভাইস এবং প্রযুক্তি দেখতে সবার আগ্রহ ছিল। আসরটিতে গেমারদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রদর্শনীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি রোবট ‘লি’। ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯ এর প্লাটিনাম স্পন্সর ওয়ালটন। গোল্ড স্পন্সর ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স। যৌথভাবে সিলভার স্পন্সর সিম্ফনি এবং ডিবিবিএল। প্রদর্শনীর ফোরজি এলটিই পার্টনার বাংলালায়ন। এডিএন টেলিকম, বাংলাদেশ টেকনো সিটি লিমিটেড, ডাহুয়া, ডেল, এইচপি, হিকভিশন, ইউসিসি এক্সপোর পার্টনার। গেমিং পার্টনার গিগাবাইট। ই-কর্মাস পার্টনার প্রিয়শপ ডটকম।

দেশের ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯ এর নলেজ পার্টনার। এক্সপোকে সফল করার জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য), সিটিও ফোরাম, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), বাংলাদেশ ওম্যান ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এবং বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ